সা কা ' র রায় ফাঁস কেলেংকারী
নয়ন পেয়েছেন ৬০ হাজার টাকা ফারুক ৫০ হাজার
বর্তমান প্রতিবেদক :: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় ফাঁস করতে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে, যার অঙ্ক কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে। অথচ রিমান্ডে থাকা নয়ন পেয়েছেন মাত্র ৬০ হাজার টাকা। যদিও তাকে এক লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। রিমান্ডে থাকা অপর আসামি ফারুক হোসেন মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গত ১ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় ঘোষণার আগেই ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ের ১৬৫ পৃষ্ঠাই ফাঁস হয়ে যায়। পরদিন ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ঢাকার সিএমএম কোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। রাতেই ট্রাইব্যুনালে রায় লেখার কাজে ব্যবহূত কম্পিউটার, ট্রাইব্যুনালের সিসিটিভি ও পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। ৩ অক্টোবর ডিবি পুলিশ ট্রাইবুন্যালের কর্মচারী নয়ন মিয়া ও ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক বর্তমানকে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল হয়। অতএব রায় ফাঁস করা গেলে রায়ও বাতিল হবে। তিন মাস আগে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী রায় বাতিলের পরিকল্পনা করেন। এরপর তিনি বিষয়টি তার আইনজীবী ও পরিবারকে জানান। বিনিময়ে সংশ্লিষ্টদের মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার নিশ্চয়তা দেন। এরপরই শুরু হয় রায় ফাঁসের প্রক্রিয়া। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রায় ফাঁসের মূল দায়িত্ব পালন করেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান। তিনি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, রায় ফাঁস করতে পারলে যুদ্ধাপরাধের পুরো বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করা সম্ভব না হলেও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার বাতিল করা যাবে। তাতেও কাজ না হলে অন্তত তার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে। কড়া সমালোচনার মুখে সরকার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার বাতিল বা স্থগিত করতে পারে। কর্মকর্তা জানান, এরপর রায় ফাঁসের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। মেহেদী হাসান প্রথমেই যোগাযোগ করেন ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুকের সঙ্গে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে মেহেদী হাসান নয়নের মাধ্যমে অন্তত ১৫ বার বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে যান। রায় ফাঁস করার জন্য মেহেদী হাসান ফারুককে হাজার পঞ্চাশেক টাকা দেন। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান নয়নকে একটি পেনড্রাইভ দেন। প্রথম কিস্তিতে নয়ন রায়ের কিছু অংশ কপি করে দেন। এজন্য নয়নকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, নয়ন মাস্টাররোলে ট্রাইব্যুনালে প্রায় দেড় বছর ধরে দৈনিক ১২০ টাকা হাজিরায় চাকরি করতেন। নয়নকে দিয়ে ট্রাইব্যুনালের অনেকেই মাঝে মধ্যে ছোটখাটো চিঠিপত্র বা অর্ডারশিট টাইপ করাতেন। এজন্য ট্রাইবুন্যালের ওই কম্পিউটারটি ব্যবহার করতে নয়নের বেগ পেতে হয়নি। দ্বিতীয় দফায় আরেকটি পেনড্রাইভে রায়ের আরও কিছু অংশ কপি করে দেন। তখন তাকে আরও ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তৃতীয় দফায় তিনি আরও কিছু অংশ কপি করে দিলে তাকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। সর্বশেষ নয়নকে হাতে রাখার জন্য আরও ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। পুরো রায়ের কপি করে দিলে নয়নকে এক লাখ টাকা দেয়া হতো। কিন্তু নয়ন ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে ১৬৫ পৃষ্ঠা কপি করতে পারেন। ডিবি সূত্র বলছে, রায় ফাঁসের জন্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে। ওই টাকার বেশিরভাগ আইনজীবী মেহেদী হাসানের পকেট ছাড়াও অনেকের পকেটেই গেছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার রায় ফাঁসের জন্য এক কোটি টাকা কিংবা তারও বেশি টাকা বিনিয়োগ করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় দৈনিক বর্তমানকে বলেন, রায় ফাঁসের ঘটনায় টাকার লেনদেন হওয়ার তথ্য মিলেছে। তবে টাকার অঙ্ক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রিমান্ডে থাকা নয়ন ও ফারুকও রায় ফাঁস করে টাকা পাওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। তবে কে কত টাকা পেয়েছেন তা স্পষ্ট জানা যায়নি। - See more at: Click This Link
সা কা ' র রায় ফাঁস কেলেংকারী ][ নয়ন পেয়েছেন ৬০ হাজার টাকা ফারুক ৫০ হাজার
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।