কেষ্টপুরের দুর্ঘটনা ঘটোনার জন্য বহু মানুষকে বহু দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। প্রথমেই রাস্তাটিকে বানাতে হয়েছে ছাটনাগপুরের ঢেউখেলান টাড়, তার পর সেখানে ছেড়ে রাখতে হয়েছে অগুন্ত গরু। বাসচালকদের বোঝাতে হয়েছে শৃঙ্খল ছাড়া আর হারাবার কিছু নেই। আইন ভাঙলেও ধরার কেউ নেই। শুধু বাসের পিছনে ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন’ লিখে রাখলেই হবে। আইন মানার দায়িত্ব অন্যের। বাসের কারিগরি পরীক্ষা বা বাসচালকদের পেশাগত দক্ষতা যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই। ইউনিয়নের চাঁদা দিয়ে কমরেড সদস্য পদ বজায় রাখুন। তা হলেই হবে। পুলিশ দমকল ডুবুরিদের রাহাখরচ দিয়ে বলতে হয়েছে বনবিতান ঘুরে আসতে। তাই তো দুর্ঘটনার অত পরে তাঁরা এলেন।
আর সবার উপরে মন্ত্রী সত্য। তাই যে দিনের কাগজে এই দুর্ঘটনার খবর, সে দিনের কাগজেই মন্ত্রীবরের সোঅহং ঘোষণা, আমি মহাপুরুষ। এত মৃত্যু, এত শোকের পরেই তিনি নির্বিকার, নিরুত্তাপ, দুঃখেষু অনুদ্বিগ্নমনা। সত্যিই তো, সমকাল মহাপুরুষদের চিনতে প্রায়শই ভুল করে।
এ ধরনের দুর্ঘটনা এত দিন ঘটত গায়ে-গেঞ্জ, নদিয়ায়, মুর্শিদাবাদে, মালদায়। মন্ত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ তিনি গ্রাম শহরের সেই ছদ্ম ভেদরেখা মুছে দিতে পেরেছেন। পরিশেষে একটি প্রস্তাব। এই রকম ঘটনা ঘটতে পারে আচ করেই গা গেঞ্জর যাত্রীরা বাসের ছাদে ওঠেন, যাতে বাস খালে পড়লে সাতার কেটে পাড়ে ওটা যায়। কলকাতাতেও সেই পদ্ধতি চালু হোক। অনেক লোকের প্রাণ বাচবে। অটো যদি সামনে ডান দিকে লোক নিতে পারে বাসই বা ছাদে লোক নিতে পারবে না কেন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




