পাসপাের্ট-ভিসা নিয়ে ঢুকে চেষ্টা
ডাকাতির, ধৃত সাত বাংলাদেশি
চােরাপথে নয়। বৈধ পাসপাের্ট-ভিসা নিয়ে ডাকাতি করতে এসে ধরা পড়ল বাংলাদেশের সাত দুষ্কৃতী। আর পাচ জন ভদ্রলােকের মতাে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপােল সীমান্ত দিয়ে এসেছিল ওরা।
এর আগে বাগুইআটি, বারাসত ও বসিরহাট থেকে ডাকাত ধরার পর জানা গিয়েছিল যে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের কাছে পাসপাের্ট-ভিসা ছিল। বুধবার তেমনই সাত বাংলাদেশি দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুপ্রতীম সরকার বলেন, ‘‘পরপর কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, পাসপাের্ট-ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এসে দুষ্কর্ম করে দেশে পালিয়ে যাচ্ছে ডাকাতেরা। এ ব্যাপারে আমরা সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আরও বাড়িয়েছি।’’
বুধবার গভীর রাতে বনগার মণিগ্রাম থেকে ব্যাঙ্ক ডাকাতির উেদ্দশ্যে জড়াে হওয়া ইকবাল হােসেন, বাবলু সর্দার, সইফুল ইসলাম, জাকির হােসেন, সেলিম সর্দার, মহম্মদ হবি চৗেধুরী এবং রহিম শেখ নামে ওই সাত জনকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ‘সিজ’ করা হয় তাদের পাসপাের্ট ও ভিসা। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল ও যশােহর জেলায়। বৃহস্পতিবার তাদের বনগা মহকুমা আদালতে তােলা হয়। বিচারক তিন জনকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত, বাকিদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেন।
জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, দলটির পাণ্ডা জাকির। তারা এ দেশে প্রায় ১০টি ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত। বাংলাদেশেও তাদের বিরুেদ্ধ নানা অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযােগ রয়েছে। ‘কাজ’ সেরে ফেরার সময়ে পেট্রাপােলের নির্দিষ্ট একটি মুদ্রা বিনিময় কেেন্দ্র তারা টাকা ভাঙিয়ে নিত। বনগা থানার আইসি সিঞ্জৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পাসপাের্ট-ভিসা নিয়ে ঢুকে এ দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও পােস্ট অফিসে ডাকাতির ঘটনার জড়িত ছিল এই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। ওদের সঙ্গে আর কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গােপালনগরের চালকিতে একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে দলের পাণ্ডা মহম্মদ বাদল। তাকে জেরা করেই বাকিদের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। কিন্তু এত দিন গ্রেফতার করা যায়নি। গত ২১ এিপ্রল ওই সাত জন পেট্রাপােল দিয়ে ঢুকে বনগা শহরের একটি লজে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযােগ, বনগা শহরের হােটেল ও লজগুলি দুষ্কৃতীদের আস্তানা হয়ে উঠেছে। কিন্তু পুলিশের নজরদারি থাকে না। পুলিশ অবশ্য অভিযােগ মানেনি।
আনন্দবাজার সৌজন্যে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




