প্রিয় ব্লগার,
সম্প্রতি দেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন কেমন হয়েছে, নির্বাচনে গণ মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন কতখানি ঘটেছে তা নিয়ে আমরা কিছু বলতে চাই না কারন - সকলের চোখই আমাদের চোখ, সকলের অনুভুতিই আমাদের অনুভুতি। অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ কাগজে কলমে যতখানি না এগিয়েছে, বাস্তবে তারচেয়ে আরো বেশি এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। বাস্তবে এই ব্যর্থতার পেছনে আছে প্রধানত - রাজনৈতিক অস্থিরতা, দূর্নীতি এবং পরিকল্পনাহীনতা।
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি শক্তিশালী ভুমিকা পালন করছে। ক্ষেত্র বিশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত মতামতের উপর ভিত্তি করে দেশের নীতিনির্ধারকরা গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্তও নিচ্ছেন। ফলে, মত প্রকাশ এবং যৌক্তিক আলোচনার ক্ষেত্রে ব্লগাররা যে সমাজের গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ হয়ে উঠছে তা আজ সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমরা সকলেই লক্ষ্য করেছেন, গত নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত ছিলো বিভিন্ন দলের ইশতিহার, প্রতিশ্রুতি বা পরিকল্পনা সমুহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন দলের ইশতিহার নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। আমরাও চেয়েছি, আমরা চেয়েছি, ব্লগাররা দেশকে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনার ব্যাপারে নিজেদের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করুক। অনেকেই ভাবছেন, এই সব ইশতেহার লিখে কি লাভ হলো, কেউ কি আর দেখবে?
আমরা আনন্দের সাথে বলতে চাই, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ অনেকেই আছেন, যারা এই ব্লগে ব্লগিং করেন। তারা সকলেই খুব আগ্রহ নিয়ে ব্লগারদের এই সব ইশতেহার পড়েছেন, অবাক হয়েছেন সকলের ভাবনার গভীরতায়।
আমার আহবানে সাড়া দেয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। ব্যক্তিগতভাবে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
চলুন এবার
'আমার ইশতেহার' নামক প্রতিযোগিতার ফলাফল নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। আমার ইশতেহার নামক প্রতিযোগিতায় ১৩ জন লেখক অংশগ্রহন করেছেন। ইচ্ছেকৃতভাবে প্রতিযোগিতার নিয়ম না মানায় একজনের লেখাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
সকলের ইশতেহার পড়ে বুঝা গেলো গড়পরতা মৌলিক বিষয়ে সবার ভাবনা একই রকম। অনেকেই চমৎকার শুরু করেছেন কিন্তু মাঝপথে এসে সাধারন রাজনৈতিক দলগুলোর মত শ্রেফ বুলি আউড়ে গেছেন। আমরা কিছু মৌলিক ধারনা পেয়েছি এই সব ইশতেহার থেকে। তারমধ্যে একটি হচ্ছে উদ্যোক্তা মন্ত্রনালয় এবং ইশতিহারে খাদ্যের বিষ ক্রিয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি। বর্তমান সময়ে খাবারের যে পরিমান ভেজাল দেয়া হয় তার জন্য এই ধরনের একটি পদক্ষেপ নিলে মন্দ হয় না।
দ্বিতীয়ত , উদ্যোক্তা মন্ত্রনালয়ের ধারনাটি যদিও বেশ ইউনিক তথাপি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অনেকটা একই কাজ করে যাচ্ছে। এ মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে বেকারত্ব নিরসনে বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনশক্তিতে পরিণত করা। পাশাপাশি বেকারদের জন্য আরো আছে কর্মসংস্থান ব্যাংক। এখানে বিনা জামানতে বেকারদের ব্যবসায়ের জন্য পুঁজি সরবরাহ করা হয়।
তৃতীয়ত, প্রায় সবাই ইশতেহার লিখেছেন নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে। অর্থাৎ যে যে বিষয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন , তিনি মুলত সেই বিষয়টিকে ফোকাস করার চেষ্টা করেছেন। যদিও ইশতেহার লেখার সাথে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সম্পর্ক থাকা উচিত নয়, তথাপি যে অভিজ্ঞতা সকলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে, তাকে স্বাগতম জানাতেই হবে।
যাইহোক, যে কয়টি ইশতেহার প্রকাশিত হয়েছে তার প্রতিটিই গুরুত্বপূর্ন এবং চমৎকার। এখান থেকে ভালো মন্দ বিচার করা বেশ কঠিন একটি কাজ। তবুও এই অপ্রিয় কাজটি আমাদেরকে করতে হয়েছে।
আমাদের বিবেচনায় যৌথভাবে সবচেয়ে জনবান্ধব ইশতেহার
এই দুটো ইশতেহার লিখেছেন যথাক্রমে খায়রুল আহসান এবংকাওসার চৌধুরী
অভিনন্দন প্রিয় খায়রুল ভাই এবং কাওসার ভাই। আপনাদের উপহার বুঝে পেতে দ্রুত আমাদের সাথে যোগাযোগ করুনঃ
[email protected] অথবা [email protected] এই ঠিকানায়।
এছাড়া ব্লগার অর্ফিয়াসের বাঁশি
অভিনন্দন আপনাকেও। আপনার উপস্থাপিত পয়েন্টগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ন। এছাড়া নতুন লেখক হিসেবে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকেও উপহারের জন্য মনোনীত করা হলো।
উপহার বুঝে পেতে অনুগ্রহ করে উপরে বর্ণিত ঠিকানায় দ্রুত আপনাদের বিস্তারিত ঠিকানা ও ফোন নাম্বার জানিয়ে যোগাযোগ করুন।
যারা যারা অংশগ্রহন করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
শুভ ব্লগিং।