তোমার ঘরে এ কারা এলো, মধুমিতা?
আগে তো দেখিনি তাদের। আর
এ কী পোশাক তোমার!!!
এ শুধুই ভণিতা নাকি
সত্যিই হয়েছো বারবণিতা?
মধুমিতা বলতো, 'ওর মুখটা আমি একদমই স্ট্যান্ড করতে পারি না- কোথায় যেন ওরাং ওটাংয়ের ছায়া আছে।" একথা মেট্রিকে তৃতীয় হওয়া শুভঙ্করের কানে গেলে সে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলো। খুব ভালোবাসতো সে মধুমিতাকে।
সে মধুমিতা সুন্দরী ছিলো তাই অহংকারও কম ছিলো না। সে মধুমিতা ছিলো শংকরের নবীনা উপন্যাসের একটি চরিত্র আর আমার মধুমিতা হলো বাংলাদেশের অন্যতম সিনেমা হল অথবা প্রেক্ষাগৃহ।
Dracula 2000; Investigation of Death নামগুলো দেখে তেমন কিছু মনে না হলেও পোস্টার দেখলে আর কিছুই মনে থাকবে না। মুভ্যি দুটি মধুমিতা সিনেমা হলে চলছে।
বিজয় স্মরণী দিয়ে আজ যাচ্ছিলাম, হঠাৎ চোখ পড়লো পোস্টারগুলি... ভাবলাম হয়তো নেপচুনে চলছে। কিন্তু মনের উপর দিয়ে স্টীম রুলার চালিয়ে দিয়ে নিচে ভেসে উঠলো মধুমিতা। বড্ড অবাক হলুম। স্মৃতিতে ভেসে উঠলো সেই মধুমিতা....
বিশেষ করে নাম আর Sorround Sound System-এর জন্যই মধুমিতায় সিনেমা দেখতে যেতাম। কখনো বিকেল, কখনো বা সন্ধ্যায়; মাঝে মাঝে একেবারে শেষ শো। কতো নির্মল আনন্দ পেয়েছি তোমার ঘরে গিয়ে। আর আজ!
ঘরোয়া রেস্টুরেন্ট। নটরডেম কলেজ। কবি জসিমদ্দদীন রোড.... কতো কিছু যে মনে পড়ছে। গুছিয়ে কিছুই লিখে উঠতে পারবো না। তবে মনে পড়ে তোমার ঘরের খাবার খাইনি কখনো। ঘরোয়াকেই তোমার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসিডার মনে করেছি। সেদিন দেখলাম , ঘরোয়াও বদলে যাচ্ছে। তোমার বদলে যাওয়া রূপ সেদিন দেখিনি। আজ দেখলাম। Dracula 2000; Investigation of Death -এর ভেতর দিয়ে।
হলে গিয়ে শেষ মুভ্যি দেখেছিলাম বলাকা'য়- হাছন রাজা। এরপর আর কোনো হলে গিয়ে মুভ্যি দেখা হয়নি। এতোক্ষণ ধরে এক আসনে বসে থাকার মতো সময় আর পাই না। বড্ড অলস হয়ে গেছি। তাই বলে তুমিও বদলে যাবে।
রিয়াজ, অমি আর আমি- আমাদের মুভ্যি দেখার কথা মনে হলেই তোমার ছবি ফুটে উঠতো মনে। কিন্তু আজ!!!
মধুমিতা, বড্ড দুঃখ দিলে আজ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



