বিপন্ন বনের বিপন্ন মানুষদের উষ্ণতায় (চতুর্থ কিস্তি)
দোখলা বাজারে চা খেয়ে চলে এলাম পীরগাছায়। বচনদাকে বাড়িতেই পাওয়া গেল। রান্না-বান্না করছেন। ভাত আর বিভিন্ন ঔষধি গাছের পাতা দিয়ে টাকি মাছের ভর্তা। জোর করেই ভাত খাওয়ালেন। মধুপুর আসার ৬/৭ দিন আগে বচনদাকে জানিয়ে ছিলাম, সেই সুযোগে তিন বগনা চু রান্না করে রেখেছেন আমার জন্য। তার থেকে প্রথমে একটা নামানো হল। এরই মধ্যে তিরেশদাও এসে হাজির হলেন, আসলেন পাশের বাড়ির অলিশনদাও। দেখতে দেখতে তিনটাই শেষ করে দিলাম চারজনে। বচনদা হয়ত ভেবেছিলেন একটা রাতের জন্য রেখে দিবেন, বুঝতে পেরে তাকে জানালাম রাতের ব্যবস্থা করা আছে। সকালেই বিজন্তীদি একটা দিখ্যা (চু তৈরির সবচেয়ে বড় মাটির মটকি) নামাতে চেয়েছিলেন। আমি রাজি হয়নি, বলেছিলাম রাতে খাব। জেনে বচনদার হাসি আরেকটু প্রশস্ত হলো। মিশনের সামনে চা-সিগারেট শেষ করে আমরা দু'জনে চলে এলাম তেমাথায়। সুজনদা (সুজন দেব বর্মণ- প্রথমবার মধুপুর এসে আদিবাসীদের মধ্যে এই সুজন বর্মণের সাথেই আমার পয়লা পরিচয় হয়েছিল) বরাবরের ন্যায় চা-সিগারেট-মিষ্টিপানের আতিথেয়তায় ভাসালেন। আমরা কেউই কোনদিন তার কাছ থেকে কখনো খালি মুখে ফিরতে পারিনি। এজন্য আমরা মজা করে আমাদের নতুন কোন বন্ধুকে উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই এলাকার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বলে। এখানে কিছুক্ষণ কাটানোর পর বচনদা তার ভায়রা বাড়ি নিয়ে গেলেন। তেমাথার এই এলাকাটা মূলত সূর্যবংশীয় বর্মণদের পাড়া। বর্মণ পাড়ায় অনেকবার আসা হয়েছে-থাকা হয়েছে আমাদের, সবাই মোটামুটি পরিচিত। বর্মণ পাড়ার কয়েক বাড়ি পর আমরা চলে এলাম তার ভায়রার বাড়ি। এই পাড়ায় মান্দি পরিবার বলতে বচনদার শ্বশুড়র আর দুই ভায়রার পরিবারই। তো আমরা বড় ভায়রার বাড়িতেই বসে পড়লাম। ভায়রা বেচারা ছুটিতে বাড়ি এসেছেন, দুপুর বেলা একটু ঘুমোচ্ছিলেন। ঢাকায় কী একটা কোম্পানীতে ড্রাইভিং এর চাকরি করেন। ফ্রেশ হয়ে বারন্দায় আমাদের সামনে এলেন। নামটা মনে করতে পারছি না, কী ম্রং যেন, রাখী ম্রং এর খালাতো ভাই হন সম্পর্কে। যাক, পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, বিশ্বায়ন নিয়ে তার ধারণাগুলো আমাদের দীর্ঘ আড্ডায় ছেদ টানতে চাইছিল না। আলাপচারিতায় আঁচ পেলাম অনেক ক্ষোভ পুষে রেখেছেন তার পোড় খাওয়া বুকটাতে। মিশনারী, বনবিভাগ, রাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রতি তার ক্ষোভ যেন অনেকটা প্রকাশ্যই বলা চলে। তেমাথার আশেপাশে বাইরে থেকে আগত কলাবাগানের বাঙালি মালিকদের হাত ধরে বাংলা মদ বিক্রি নাকি শুরু হয়েছে ইদানিং। বিষয়টা উনাকে বেশ ভাবাচ্ছে এবং এটা বন্ধ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবেন এমনটাও জোর দিয়ে জানালেন। আমি জানি না উনি ঠিক কতটা সফল হতে পারবেন। (অসমাপ্ত)
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
শোকের উচ্চারণ।
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?
৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?
মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।
এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন
আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন