১৯৭১ সালে যারা ধর্ষন করতো তারা আলেম ছিলো কিন্তু আজকের ধর্ষক জেনারেল শিক্ষিত।
১৯৭১ সালে যারা ধর্ষন করেছে তাদের ব্যপারে আর কোন ধর্ষনের অভিযোগ নাই। কিন্তু এখন যারা ধর্ষক তাদের ব্যপারে অভিযোগের শেষ নাই।
এখন যারা ধর্ষন করে তারা স্বীকার করে যে তারা ধর্ষক কিন্তু ৭১ যাদের বলা হয় ধর্ষক তারা ফাঁসিতে মৃত্যুর পরও স্বীকার করেনি।
এখন যারা ধর্ষন করে তাদের চেহারা দেখও মানুষ মনে করে তারা ধর্ষক কিন্তু ৭১ যাদের বলা হয় ধর্ষক একটা আংশ ছাড়া কেউ তাদের ধর্ষক মনে করে না।
১৯৭১ সালে যারা ধর্ষন করেছে তাদের তেমন প্রমান না থাকার পরও বিচার হয়েছে কিন্তু এখন প্রমান থাকার পরও ফাঁসি হয় না।
১৯৭১ সালের চেয়েও কি এখন ধর্ষক শক্তিশালী?
আমার তো মনে হয় ৭১ সালের চেয়ে এখন আরো মর্মান্তিক। যেমন-
ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। বগুড়ার এই প্রভাবশালী নেতা শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হননি, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার ও এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন।
শুক্রবার বিকেলে তাঁরা কিশোরী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। জাতীর শ্রেষ্ঠ গুণ্ডা বাহিনীর কাজ। মা মেয়েকে ধর্ষণ করে মাথা ন্যারা করে দিয়েছে জাতীর কুকুররা।
তাদের এই কাজ আমি কিন্তু বিস্মিত হয়নি, কারন তাদের এইটাই পেশা।
এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে দেশে প্রায় দেড় হাজার ধর্ষণ, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
এর মধ্যে ২৫৮টি ধর্ষণ ও ৫৫টি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ১৫টি ও ধর্ষণচেষ্টার ৬০টি ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে। পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের প্রথম চার মাসে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু পাচার, যৌন নিপীড়ন, আত্মহত্যা, বাল্যবিবাহ, অপহরণ ছাড়াও বিভিন্নভাবে এক হাজার ৫৬৬টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৫৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৬২, মার্চে ৭১ ও এপ্রিল মাসে ৬৭ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
অন্যদিকে, ২০১৬ সালের হিসাবমতে, গত বছর ৮৪০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়। এর মধ্যে বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) ২৮০ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া এ বছরের জানুয়ারি মাসে ১৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৩, মার্চে ১৪ ও এপ্রিলে ১৪ নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
২০১৬ সালে মোট গণধর্ষণের ঘটনা ছিল ১৬৬টি। এর মধ্যে বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) ৪১ নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে মহিলা পরিষদের তথ্যে জানা গেছে।
মহিলা পরিষদ জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চারজন, ফেব্রুয়ারিতে চারজন, মার্চে তিনজন ও এপ্রিলে চার নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালের প্রথম চার মাসে এমন ঘটনার সংখ্যা ছিল পাঁচটি। গত বছর ৪৪ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
এ ছাড়া ২০১৭ সালের প্রথম চার মাসে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৬০টি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১২, ফেব্রুয়ারিতে ১৬, মার্চে ২০ ও এপ্রিল ১২ নারী ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন। গত বছর প্রথম চার মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪২।
১০ মাসে ধর্ষণ ৭৭২
নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ নভেম্বর ২০১৪, ০১:৪২
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর মতে এ বছর সারা দেশে ৭৭২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার খবরের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
৭১ সালে ভিনদেশীরা ধর্ষন করেছে একটা বুঝ নেয়া যায় কিন্তু আজ আমার দেশের তাও আবার সরকার দলের লোক । সরকার যদি নজর না দেয় তবে এর ভয়াবহতা অনেক ভয়ংকর হবে।
আসলে আমাদের দেশে প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যোগসাজশে অপরাধ কর্মকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যার ফলে সঠিক বিচার হয় না । আমরা এর প্রতিকার চাই। বিচার চাই। চাই শান্তি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৫৪