দুর্নীতির মামলায় মতিউর রহমান নিজামী গ্রেপ্তার হওয়ার পর আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত আমির করা হয়েছে।
এদিকে, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা. এম এ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মোহাম্মদ ইউসুফ একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার শরণখোলো উপজেলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি এম এ মালেক সরকারের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর শান্তি কমিটি তাকে কার্জন হলে সংবর্ধনাও দিয়েছিল।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গত ৩ এপ্রিল ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা সংশ্লিষ্ট ১৫৯৭ জনের যে তালিকা প্রকাশ করে তাতে শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের মধ্যে মোহাম্মদ ইউসুফেরও নাম রয়েছে।
ডা. হাসান বলেন, "জামায়াত আবারো একজন যুদ্ধাপরাধীকে ভারপ্রাপ্ত আমির করায় বুঝতে হবে অপরাধের বৃত্ত থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি।"
মোহাম্মদ ইউসুফ সম্পর্কে বাগেরহাট জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "১৯৭১ সালে তিনি মালেক মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার বাড়ি শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি খুলনায় হেলাতলায় ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চলে হত্যা-ধর্ষণ-লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেন।"
মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে মুজিব বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া শেখ কামরুজ্জামান টুকু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে খুলনা শহরের খানজাহান আলী সড়কের ভুতের বাড়িতে সর্বপ্রথম রাজাকার ক্যাম্প প্রতিষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতা চলত। মোহাম্মদ ইউসুফের বাহিনী ন্যাপের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর জব্বারসহ স্বাধীনতাপন্থী অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে।"
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০০৮ রাত ১২:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



