somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাধীনতার ৩৭ বছর পর ও আমার কাছে আজ মনে হচ্ছে আমরা স্বাধীন নই।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুদক ও যৌতুক

স্বাধীনতার ৩৭ বছর পর ও আমার কাছে আজ মনে হচ্ছে আমরা স্বাধীন নই। কারন গুলো নিচে ব্যখ্যা করছি। আমাদের পরেও অনেক দেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। তারা আজ বিশ্ব বাসীর কাছে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে বিশ্ব দর্পনে। আর আমরা আছিÑনিজ জাতীÑদেশÑজনগনকে কিভাবে শোষন করে নিজের পকেট ভরা যায় তা নিয়ে ব্যস্ত। যার ফলে আমাদের বিচার বিভাগ, শাসন ব্যাবস্থা, শিক্ষাÑসর্ব ক্ষেত্রে বিরাজ করছে অরাজকতা। দুরর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন দেশ বাংলাদেশ।
এটার জন্য দায়ী কে ?
নেতাÑনেত্রী না জনগন ?
আমরা কেউ স্বামীর আর্দশ, কেউ বাবার আর্দশ বাস্তবায়নে ব্যাস্ত। আসলে বর্তমানে আমরা কোন আদর্শের মধ্যে নেই। কারন হলো সকল নেতা নেত্রী তাদের সন্তানদের নিয়ে ব্যাস্ত। কারি কারি টাকা সন্তানদের জন্য বিদেশ পাচার করেছে। কেউ আমেরিকা কেউ বা লন্ডন। মজার ব্যাপার হলো সবাই দেশের উন্নয়ন চায়, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ চায়। কেউ আমেরিকা গিয়ে বলে দলের দুর্নীতিবাজদের বিচার করবো আবার কেউ বলে ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো। বাহ্ কি চমৎকার রাজনীতি রাজনৈতিক নেত্রীদ্বয়। আমরা আসলে বাংলাদেশের মানুষ আবেগময়। যার জন্য তারা ক্ষমা পেযে যায় আমাদের কাছ থেকে। স্বাধীনতার পর বড় দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা এই প্রথম এরেষ্ট হলো। সকল নেতার সম্পদের হিসাব চাওয়া হলো। বননেতা সম্পদের হিসাব দিতে গিয়ে অজ্ঞান - অনেক নেতা টিভির সামনে কাঁদতে থাকে - অনেক নেতা বিদেশে পলাতক - আর যাদের হিসাব দুদক পেয়েছে দুই দলের প্রায় সব নেতা বলেছে তাদের অবৈধ সম্পদ তাদের নয়, শশুর বাড়ী থেকে পাওয়া। শশুরদ্বয় মেয়েকে উপহার হিসাবে দিয়েছে। কি চমৎকার? সব নেতা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেছে? বাল্য বিবাহ যেমন অপরাধ? যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া সমান অপরাধ। এ অপরাধের শেষ কোথায়? বর্তমান সরকারের উচিৎ যারা এই যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেছেনে তাদের ৫ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া। আমাদের দেশের দুদক এখন যৌতুক মামলা নিয়ে ব্যস্ত। নেতাদের সম্পদ তো মানুষের রক্ত চোষা। এটা প্রতিকার চাই। জনগন যেকোন সরকারের কাছে চায় শুধু ৫টা জিনিস। খাদ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা ও কর্মসংস্থান। তার পাশাপাশি নিরাপত্তা। আমার ভাবতে অবাক লাগে-এত অভাবে মাঝেও সোনার বাংলার মানুষ গুলো হাসি মুখে মেনে নেয়। মেনে নেয় না রাজনৈতিক নেতারা। তারা এক নেতা অন্য নেতাকে বকা দেওয়া হয় তাদের অবস্থান শক্ত করার জন্য। দেশের উন্নয়নের জন্য তারা কখনও এক টেবিলে বসে না? তারা এক টেবিলে বসে তাদের বেতন ভাতা এবং দামি গাড়ীর জন্য। দয়াকরে নেতারা অনেক খেয়েছেন জনগনের টাকা। এখন দেশটাকে কিছু দেন। দেশের উন্নয়নের জন্য এক টেবিলে বসেন। না হয় আবার জেলে গিয়ে স্বরন করবেন অতীতের কর্মকান্ড। আমি একজন সাধারন নাগরিক। তাই কষ্ট লাগে মানুষের কষ্ট দেখলে। আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজ কারা? প্রশাসনিক দুর্নীতে পুলিশ, সচিব থেকে প্রায় একতৃতীয়াংশ সরকারী কর্মকর্তা দুর্নীতির সাথে জড়িত। বর্তমান সরকার তাদের সম্পদের হিসাব দেয়নি। ভয় পায় তারা-কেন? আমাদের দুর্ভাগ্য দুর্নীতি প্রধানের ছেলে ১৬ কোটি টাকা ব্যাংক চেক জালিয়াতি করে দেশের টাকা বিদেশে নিয়ে গেছেতার বিরুদ্ধে এখনও দুর্নীতির মামলা হয়নি। আমাদের আরও দুর্ভাগ্য এদেশের জনগন দুই নেত্রীকে এত ভালবাসেন - তারপর তারা কেন খারাপ নেতাদের পক্ষ নেয়? দুই নেত্রীর সৎইচ্ছা থাকলে দেশটা সোনার দেশ হবে। তাদের উচিৎ ব্যক্তিগত আক্রোস ভুলে গিয়ে সাধারন মানুষের ভালবাসার মূল্য দেওয়া। মানুষ যেন দুমুঠো ভাত খেতে পারে তার ব্যবস্থা করা। জন নিরাপত্তা দেওয়া। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় সীমানার মধ্যে রাখা। খেটে খাওয়া মানুষের পথে আপনারা রাজনৈতিক বাধা না দিয়ে তাদের আলোর পথ দেখান। আপনারা আলোকিত হন। দেশটাকে আলোকিত করেন। যেন বলতে না হয়। ধরা যাবে না -ছোঁয়া যাবে না-বলা যাবে না কথা পেলাম এমন স্বাধীনতা।

মোঃ মিজানুর রহমান রাজু। (রোম প্রবাসী)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×