বাংলা মায়ের রক্তাক্ত শাড়ী
আজ বুকে অনেক কষ্ট নিয়ে এই লেখা লিখছি। আমাদের দেশ স্বাধীন হলো ৩৭ বছর। স্বাধীনতার পর আমরা কি পেলাম? (১) দারিদ্র (২) সর্ব ক্ষেত্রে দূর্নীতি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যারা স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন দিয়েছেন আর যারা আজও মুক্তি যোদ্ধা সনদপত্র নিয়ে আজও বেচে আছেন - কী দিয়েছি আমরা তাদের? যে সব মা-বোন তাদের সম্মান হারিয়েছেন, যারা পাকিস্তানে আর্মির দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন, তাদের জন্য আমরা কী করেছি? হাজারো মা-বোনের ইজ্জতের বিনীময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। সে সময়ের রাজাকার আল বদর ও আল সামস তাদের যদি আমরা মেরে ফেলতাম তাহলে আজ আমাদের এই লজ্জা বহন করতে হতো না। যে সন্তান তার মাকে হারিয়েছেন, কে দিবে তার মাকে ফিরিয়ে? জাতি না সরকার? আজ আমরা কাছে মনে হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে ভূল শিক্ষার একটা কৌশল হিসাবে বর্তমান সরকার রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সরকারী স্বীকৃতি স্বরূপ নির্বাচন কমিশনের এই নিবন্ধন ব্যবস্থা। নিবন্ধন কী? আমরা দেখছি নির্বাচন কমিশন একটা দলের গঠনতন্ত্রকে পূর্নগঠন করার নির্দেশ দেন। পূর্বের গঠনতন্ত্র নিবন্ধন করা হবে না - কারন সামান্য ব্যাপার।
জঙ্গীবাদ-মৌলবাদ-ফতোয়াবাদ-রাজাকার আলবদর-আলসামস এই ঘৃনীত শব্দগুলো থেকে জামাতকে নিঃর্দোষ প্রমান করার জন্য এই নিবন্ধন ব্যবস্থা। এখন রাজাকার তাদের পূর্ব কর্ম ভূলে গিয়ে একদিন বলবে - আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছি। সেদিন আর বেশী দুরে নয়। স্বাধীনতার পর থেকে এই ভূলগুলো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান সাহেব- আমাদের জাতির পিতা- তিনি রাজাকারদের সাধারণ ক্ষমা করেন। তবে সেটা সবাইকে না। রাজাকাররা এত বেশী চতুর তারা সেটা এমন ভাবে প্রচার করে যে, বঙ্গবন্ধু সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাজাকারদের রাজনৈতিক অধিকার দেয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজাকারদের নিয়ে বিএনপি’র বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। রাজাকাররা তত্বাবধায়ক সরকার ফর্মূলা আওয়ামী লীগকে বুঝিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আওয়ামী লীগ ও জামাত আন্দোলনের মুখে, খালেদা জিয়ার সরকার তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নিতে বাধ্য হয়। তারপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জামাতের সাথে তেমন কোন সম্পর্ক নষ্ট করে নাই। রাজাকারদের বিরুদ্ধে তেমন কোন আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। জামাত একসময় বিএনপি’র সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় বসে??? সব শেষ।
বাংলা মায়ের রক্তাক্ত শাড়ী সম্মান আজ সেই স্বাধীনতার চেতনা কোন কিছু নেই। যার সম্মান গেছে, যার সন্তান গেছে, তারা কি পেল? লাঞ্চনা-বঞ্চনা-ঘৃনা এই তিন শব্দ রাজাকার জামাত ডায়েরী থেকে মুছে গেছে। রাজনৈতিক নেতাদের ক্ষমতার মোহের কারনে আজ মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত। আর রাজাকার জামাত সুপ্রতিষ্ঠিত। এখন নির্বাচন কমিশন তাদের পাপ ধুয়ে মুছে জামাতকে রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন করলো। সাবাস রাজাকার জামাত তোমরা আজ সফল। সম্মান গেছে বাংলা মায়ের - সম্মান গেছে আমার বোনের আজ তারা গুমরে কাঁদে সারা বাংলা জুড়ে। নব প্রজন্ম এ ভূলের ক্ষমা করবে না। বর্তমান তত্বাবধায়ক সককার ও নির্বাচন কমিশনার। ’’ঘৃনা করি জাতির বিবেক কে।’’
জেগে উঠো মুক্তি যোদ্ধা - জেগে উঠো নব প্রজন্ম - উদয় হোক নব সূর্য - রাজাকার মুক্ত সুপ্রভাত বাংলাদেশ।
মোঃ মিজানুর রহমান রাজু (ইতালী প্রবাসী)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



