কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানী বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয় গত বছরের ৭ জানুয়ারী। দু’দেশের মিডিয়া এ নৃশংস হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে। ফেলানীর লাশ ৩০ ঘন্টা পর ফেরত দেয় ভারতীয় বিএসএফ। ফেলানী নিহতের ৩০ দিন পর ফেলানীর বাড়িতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।
পরিবারের শোকের সঙ্গে নিজেও শোকাকিভুত হয়ে ফেলানীর বাবা নুর ইসলামের হাতে নগদ ৩ লক্ষ টাকা দেন। সেখানে তিনি বলেন, ফেলানীর মত আর কাউকে যেন সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে মরতে না হয়। কিন্তু তারপরও অনেক মরেছে। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পুলিশের আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, বর্ডারগার্ড মহাপরিচালক মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম। ওইদিন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় র্স্বষ্ট্র মন্ত্রী ফেলানীর বাড়ির কাচা রাস্তাটিও পাকা করে ফেলানীর নামে নামকরণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিশ্র“তির এক বছর পেরিয়ে গেলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ফেলানীর পিতা নুরু মিয়াকে নাখারগঞ্জ বাজারে ফেলানী ষ্টোর নামে একটি মুদি দোকান করে দিয়েছিল কিছুদিন পর। বর্তমান অবস্থা নিয়ে নুরু মিয়া বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া টাকায় কিছু জমি বন্ধক নিয়ে তাতে কৃষি কাজ করে কোন রকমে চলছি। ভালো কোন ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলেও তা করতে পারছিনা টাকার অভাবে।
ভারতীয় বিএসএফ তাকে হত্যার আগে তার উপড় নির্যাতন চালিয়েছে বলে গুঞ্জন ছিল। ফেলানী গুলি খেয়ে মৃত্যুর পর ৪ঘণ্টা কাটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে থাকারপর বিএসএফরা লাশ নামিয়ে ভারতের ভিতরে নিয়ে যায়। ৩০ঘন্টা পর বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন বিজিবির বৈঠকে তার লাশটি ফেরত দেয়। ফেলানীর মায়ের বড় বোনের ছেলের সঙ্গে ফেলানীর বিয়ে ঠিক করে।
এখনো ফেলানীর বাড়িতে মাঝে-মধ্যে ভাসে কান্নার রোল। সংসারের বড় মেয়ে ছিল ফেলানী। অভাবী সংসার হলেও মায়া মমতার কমতি ছিলনা। ফেলানীকে অলংকার পরিয়ে দিয়ে দোয়া করেছেন তাদের বিয়ের পর জীবন যেন সুখে কাটে।
প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফেলানীর বাড়িতে আগামীকাল কুলখানীর আয়োজন করেছে তার পরিবার।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




