গতকালের প্রায় ৪৫ মিনিটের ভাষনে বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম জিয়া অনেক গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন। অনেকের ধারনা ছিল বিএনপির সা কা চৌধুরীকে বাঁচাতে তিনি বোধহয় এবার চট্রগ্রামে গিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য দিবেন। কিন্তু সেটা তিনি করেন নি।
এর কারনগুলো বিশ্লেষন করলে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে........
১। যুদ্ধাপরাধী ইস্যু সরকার কতৃক ইতিমধ্যেই হাস্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়ে গেছে।
২। তত্বাবধায়ক ইস্যু জনগনের কাছে অনেক গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে। ফলে তাদের নতুন ইস্যুর দরকারও নাই। আর এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধী উস্যু টেনে আনলে পুরো বিষয়টি উল্টো মোড় নিবে। সুতরাং জামাতের শত দাবী উপেক্ষা করেও খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে কিছুই বললেন না।
৩। সরকারের একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ড শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধী ইস্যু দিয়ে ঢেকে দিতে চায় । কিন্তু সেটা সম্ভব না। এটা বিএনপি বুঝে গেছে।
তারা হয়ত মনে করছে যে এই সরকার এমনিতেও এই বিচার করে যেতে পারবে না। ফলে এটা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। আর সাঈদীর বিরুদ্ধে যারা স্বাক্ষী দিল তাদের আনাড়ীপনা দেখে সরকারের প্রস্তুতি বোঝার কিছু বাকি থাকে না। ফলে সম্ভবত এই ইস্যু নিয়ে আর মাথা না ঘামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। ফলে আগামী মার্চে তারা যে সরকার পতনের একদফা দাবীতে আন্দোলনে যাবে তাতে যেন যুদ্ধাপরাধী ইস্যু না আসে এ বিষয়ে বিএনপি অনেক সতর্ক থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




