যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হোক। এটা জাতীয় দাবি। এ দাবি এখন প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ এই দাবিকে দলীয় ইস্যুতে পরিনত করতে সক্ষম হয়েছে। আর বেশিরভাগ যুদ্ধাপরাধী জামাতে থাকায় ও জামাতের সাথে বিএনপির আঁতাত এর ফলে এই ইস্যুটি বিএনপি খুব একটা ব্যবহার করতে পারেনি।
গত ৯৬ সালে হাসিনা সরকারের সময় তারা সব ধরনের অপরাধ করে করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বচার এর দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যেত। সেই বিচার হয়েছে। মধ্যে অন্য দলের সরকার সেই বিচারে অগ্রগতি কিছু না করলেও আসামীদের ছেড়েও দেয় নি।
দেশের মানুষ বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগের প্রতি চটে আছে। গো, আজমের যা বয়স তাতে খুব বেশিদিন বাঁচবে বলে ও মনে হয় না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে হাসিনা জনগনকে খুশি করার শেষ অস্রটিও ব্যবহার করে ফেলল। এবারে গো, আজমের জেলখানায় মৃত্যু হোক বা ফাঁসিই হোক , সেটা জাতির জন্য সুসংবাদ্। তবে সরকারের হাতে আর কোনো অস্র রইল না।
এখন সরকারের বড় বড় সমালোচনার জবাবে তারা যে বলে বেড়াবে যে আরও বড় টার্গেট বাকি আছে, সেই সুযোগ ও রইল না। আগের বার ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট চাইতে গিয়ে বলেছিল , বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন করতে আবারও তাদের ভোট দিতে হবে। সেইভাবে এই বিচার ঝুলিয়ে রেখে আবারও বিচার চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে জনগন ২০০১ সালে যে জবাব দিয়েছিল সেই একই ধরনের জবাব দিবে বলেই ধারনা আমার। বিচার যখন শুরুই হয়েছে সব সরকারের আমলেই স্বাভাবিক ভাবে চলার কথা"। সুবিধা হল এখন আওয়ামী লীগে যারা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী আছেন তাদের বিচার করতে হলেও বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে। জামাত পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেলে সেই ভোটগুলো তো আর আওয়ামী লীগে যাবে না। বিএনপিতেই যাবে। সুতরাং বিএনপির উচিৎ বেশ জোরেশোরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




