হঠাত ঘুম ভেঙে গেল..
বৃথা চেষ্টা সারারাত এপাশ ওপাশ
ঘন নিসঙ্গতার চোরাবালিতে ডুবতে ডুবতে
কেবলি আছড়ে পড়ছে উদসীন কিছু দির্ঘশ্বাস...
পুরোনো চিঠির মতো হাহাকারের বরফ গলা জল
আমাকে ভিজালো সহসাই..
ভুলে যাওয়া নামের প্রলম্বিত উচ্চারন
ঘুম ভাঙা ঝড়ের মতোন
লন্ডভন্ড করে দিল...
কিছু দেখার বা বুঝার আগেই
আবারো একটা অহেতুক কষ্টবোধের সহবাসে
একটা লম্বা ভ্রমনের মতো কয়েক ঘন্টা স্মৃতিচারণ...
এমন তো কখনো হয়না..
এই গরল সময়েও একটা নির্ভেজাল ঘুমের জন্য
নিজেকে মনে করি ঢের ভাগ্যবান...
আমি রোবটের মতো ঘুমাতে পারি যখন তখন
যে নারীর গন্ধ একটু আগে দিয়েছে একটু খানি ঝিলিক
সেই নারীর... সেই অন্তরতমা নারীর বিয়ের রাতেও
ঐরকম একটা বিরহ বিক্ষত রাতেও
আমি.. স্বাভাবিক ঘুমিয়ে ছিলাম
অন্যসব রাতের মতোই.....
সারারাত ঘুম হয়নি.. এমন ইতিহাস মনে পড়েনা
হঠাৎ কেন এমন হলো..?
এই অহেতুক প্রশ্নটা.. বহু গলিপথ
ঘুরেছে আমার সাথে,
আর কোথাও কোথাও মিলেছে বিভ্রন্তিকর কিছু ্উত্তর
একদিন তার হৃদয়টা আকাশের মতো হয়ে উঠে ছিলো
আমি সেখানে উড়েছিলাম স্বপ্নমেঘ..
আঁধারেও সাথে ছিলো ঝলমলে রোদের আবেগ
স্মৃতিরো অসুখ আছে - নিঃসঙ্গ রাত
কিছু সাদাকালো রঙিন হয় - কিছু রঙিন হয় সাদাকালো
অক্ষত একটা উচ্চারনের প্রলেপ রেখে গেল যে রাত
তার ভোরের আলোরা সাক্ষী ছিলো...
আবারো সাত কাহন... অন্তজরিপ
সকালে বাগানে যাইনি প্রতিদিনের মতো
দেখিনি.. ফুটেছে কিনা নতুন কোন কলি
গুমোট বিছানায় চোখ বন্ধ করে
শুধু বার বার ভুলে যেতে চেয়েছি... সেই মুখ,
হঠাৎ ঘুমভাঙা নির্ঘূম রাতে...
বিস্মৃত যে মুখের নবজাগরন
ভীতি ও প্রাপ্তিহীন - নিরপেক্ষ রেখায়
সেখানে জমে আছে আদিম শিহরন..
ভুলেগেছি আমাকেও... ঐসময়ের..!
এইসব আসলে জোড় করে ভুলে থাকা,
এইসব আসলে স্বেচ্ছাচারীতা আর উন্মাদনার..
অনসনের ফটোগ্রাফ....
বেলী ফুলের গন্ধের মতো রাতগুলোতে
প্রেম ও প্রতিজ্ঞায়.. মহামিলনে আমরা ভাসতাম
সে বলতো- ’আলোরা আমাদের প্রেমে গান করে..
আর অন্ধকারেরা খুঁজে পায় কাঙ্খিত আশ্রয়..’
কথাগুলো ভুলে যাওয়ার মতো - সহজলভ্য স্মৃতি আমাদের ছিলোনা
ভুলেগেছি.. এইকথা তবু নিজেকে বলি
শত সহস্র বার.. নিরুচ্চারণ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




