আগের লেখার লিংক
Click This Link
লেখাটি আপনারা পড়েছিলেন নিশ্চয়ই। অনেকে তাবিজ নিয়ে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস করে অনেক কমেন্ট করেছেন। আমিও অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে পোষ্ট টি করেছিলাম।
যাই হোক এই ঘটনাটি আসলেই তাবিজ এর প্রভাব ছিল কিনা , বা পরে কি হয়েছিল সেটা অনেকে জানতে চেয়েছেন। আর একটু আগে সে আমার সাথে যোগাযোগ করেছিল। সে আসলে বাসায় গিয়ে তাদের ব্লাকমেইলের স্বীকার। সে যখন কথা বলছিল তখন অনেক ক্লান্ত লাগছিল। তাকে প্রতিদিন গড়ে তিন চারবার মারধোর করে। তাও অনেক নির্যাতন করে। আর ওর বাবা মা, ভাই সবাই বাসায় বসেও ওকে চুল ধরে মেরেছে।
শেষে বলেছে যে এর পরেও আমার কাছে আসতে চাইলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। সে অনেকটা বাধ্য হয়ে আমার সাথে তাবিজের নাটকটি করেছে। যাই হোক না কেন, শেষ মেষ বলেছে তার শেষ অনুরোধ আমি যেন দ্রুত একটা বিয়ে করি। আমি ওকে এ্যাডভোকেট সালমা আলীর নাম্বার দিতে চাইলাম। সে নিল না। সে তার নিয়তি মেনে নিয়েছে। অনেক ক্লান্ত লাগছিল তার গলাটা। স্পষ্ট বলেছে তুমি আর আমার নেই। আমি ওকে বলিনি যে আমি অনেক অসুস্থ। আমি ল্যাবএইডে আছি। আমার ছোট বোনকে ফোন করে সেটাও সে জেনে নিয়েছে। যাই হোক , ওরা একটি চঞ্জল , চটপটে, স্বাপ্নিক , সুন্দর , ভাল মনের মেয়েকে বন্দি করে এখন মনের মত নির্যাতন করছে। তাও ঢাবির খুবই মেধাবী ছাত্রী সে।
এখন যেহেতু ও আসতে চাইছে না। নিয়তি মেনে নিয়েছে , আমি প্রথম কয়েক মিনিট চেষ্টা করলাম, যাতে এখনও সে চেষ্টা করে যায়। আমি তার সঙ্গ দেব। কিন্তু সে অনড় ছিল। শেষে বলেছে সে ফোন করলে যেন রাগ না করি। যেন ফোন ধরি। কারন সে সারাক্ষন ই নির্যাতনে থাকে। হয়ত খুব কম ই কথা বলবে, কিন্তু যখন ফোন করে তখন যেন ফোন ধরি।
যাই হোক তাবিজের ঘটনাটি আমি যেভাবে শুনেছিলাম সেভাবেই বলেছি। কিন্তু বিষয়টা আসলে এই রকমই। এখন ওর স্বামী , সেও ঢাবির ছাত্র, সে যদি নির্যাতন না করে ওকে অনেক ভালবাসত পারত তাহলে আমি দুখ পেতাম না। কিন্তু কেন যে ওরা ওকে এত নির্যাতন করে কে জানে! ও তো এখন প্রায় আধা পাগল হয়ে গেছে। কতবড় ব্লাকমেইলার এই পরিবারটা। চিন্তা করা যায়??

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




