কিছু ঘটনা বলি একটু মনযোগ দিয়েন।মহানবী (সঃ) এর ইন্তেকালের পর যখন খেলাফতের দায়িত্ব হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) কে দেওয়া হয় তখন সাবা গোত্র এর বিরোধিতা করে লোকদের বুঝাতে শুরু করে আবু বক্কর সিদ্দিক খেলাফতের যোগ্য না।কিন্তু মানুষজন তখন তার কথায় কান দেয় নি।তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে নি।তারপরের অবস্থাটা হলো হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর খেলাফতের সময় তারা চুপি চুপি ওমর ফারুক (রাঃ) এর বিরুদ্ধে মানুষদের উস্কানি দিতে থাকে।কিন্তু তখন তারা সংখ্যায় কম ছিল তাই কিছুই করতে পারে নি।কিন্তু সাবা গোত্র এক অগ্নিপূজারীর দ্বারা ওমর ফারুক (রাঃ) কে শহিদ করান।
...
ইসলামের এক খলিফার মৃত্যু করায় সাবা গোত্র।তারপর যখন হযরত উসমান গনি (রাঃ) এর খেলাফত কাল শুরু হয় তখন সাবা গোত্র সম্পূর্নভাবে উসমান গনি (রাঃ) এর বিরোধিতা করে।যেহুতে ওমর ফারুক (রাঃ) এর ইন্তেকাল হয় তখন থেকেই সাবা গোত্র সাহাবাদের মাঝে ভেদাভেদ গড়ে তুলে।তারা সম্পূর্নভাবে উসমান গনি (রাঃ) এর উপর চড়াও হয়ে পড়ে।অবস্থা এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে যে উসমান গনি (রাঃ) কে তার ঘরের ভিতরে গিয়ে কোরআন পড়া অবস্থায় তাকে শহিদ করে।তারপর তারা আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে পড়ে কারন তারা চেয়েছিল যাতে হযরত আলী (রাঃ) খেলাফত পায় আর সেটাই হয়েছে।
...
কুপা নগরীতে আলী (রাঃ) এর সহচর বেশি ছিল তাই সে মদীনা থেকে তার দপ্তর কুপায় নিয়ে যায়।আর এইদিকে সাবা গোত্র মদীনা দখল করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।পরে হযরত জোবায়ের (রাঃ) আর হযরত তালহা (রাঃ) আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) কাছে যায় হযরত উসমান গনি (রাঃ) এর মৃত্যুর বিচার চাইতে।তো আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) প্রস্তাব দেয় তারা কুপায় যাবে হযরত আলী (রাঃ) কাছে হযরত উসমান গনি (রাঃ) এর হত্যার বিচার চাইতে।তো আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) এর সাথে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ একমত হয়ে কুপার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।আর এটাকে সাবা গোত্র আলী (রাঃ) এর কাছে যুদ্ধের ঘোষনা বলে প্রেরন করে।আর তারাও ২০ হাজার মানুষ একত্র করে যুদ্ধ করতে।কিন্তু আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) তাদের উদ্দেশ্যে বলে তারা যুদ্ধ করতে আসে নি তারা উসমান গনি (রাঃ) এর হত্যার বিচার চাইতে এসেছে।আলী (রাঃ) তাদের বলল সকালে এই বিষয়ে কথা হবে।সাবা গোত্রের লোকজন তাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য রাত করেই আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) এর একজন সহচরের উপর আঘাত করে।তারাও পাল্টা আঘাত করে।এরপর যুদ্ধ চলে।আলী (রাঃ) যুদ্ধ শান্ত করিয়ে আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) এর সাথে পরামর্শ করে।
...
আলী (রাঃ) এর আয়শা সিদ্দিকা (রাঃ) এর সাথে মিলে যাওয়াতে তারা তাকেও হত্যা করে।আলী (রাঃ) এর পরে তার বড় ছেলে হাসান (রাঃ) খেলাফত পায়।কিন্তু তিনি বিশৃঙ্খলা পছন্দ করতেন না তাই তার খেলাফত একজন বিজ্ঞ সাহাবীর হাতে তুলে দেন।তার এই কাজ সাবা গোত্রে কাছে ভাল না লাগাতে তারা তাকেও বিষপানের মাধ্যমে হত্যা করেন।হোসাইন(রাঃ) কে খেলাফতের লোভ দেখিয়ে কারবালার প্রান্তনে শহিদ করেন।ঘটনাগুলো বললাম কারন তারা কালের বিবর্তনে এখন "শিয়া-এ-আলী" জাতে পরিনত হয়েছে।আগের বছর হজ্বের মৌসুমে মিনায় পদদলিত হয়ে যারা মারা গেছে তাদের সবারই মৃত্যুর কারন ছিল বাতাসে বিষাক্ত গ্যাস।সৌদির বাদশার সন্দেহ ছিল এই কাজগুলিও শিয়ারাই করেছে।তাই তিনি ইরাক,ইরানের শিয়াদের এবার লিবিয়া হয়ে জেদ্দায় আসার জন্য বলেছিলেন।কারন লিবিয়ার একটা উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে যাতে মানুষের সম্পূর্ন বডি স্ক্যান করা যায়।
...
শিয়া সম্প্রদায়ের লোকগুলা এইবার সেই ভয়ে হজ্বে আসে নি।তারা ইরানে হুবহু কাবার মতো একটা ঘর তৈরি করেছে আর যাতে গিলাফও পড়ানো রয়েছে।আর যার চারপাশে ইয়া আলী লিখা।তারা ওইটাকেই কাবা মেনে এইবার হজ্ব পালন করল আর কারবালার প্রান্তরকে আরাফার ময়দান বলে ঘোষিত করল।তারা এইটাকেই এই বছর থেকে কেবলা মানা শুরু করলো।তাহলে যারা আল্লাহর মূল ঘরকে নাকচ করে নিজের বানানো কেবলা ব্যবহার করে তারা কিভাবে মুসলিম হয়?যারা মহানবী (সঃ) এর সাহাবা থেকে শুরু করে তার দৌহিত্র পর্যন্ত হত্যা করলো তারা কিভাবে মুসলিম হলো?
...
আর যারা এর অনুসারী তারা কিভাবে মুসলিম হয় আমার বুঝতে কষ্ট হয়।শিয়া সম্প্রদায় কখনো মুসলিম ছিল না আর হতেও পারে না। বর্তমানে আমাদের মাঝে শিয়াদের সংখ্যা কম।তারা যা করছে তা আমরা নরমালি নিচ্ছি কিন্তু মনে রাখতে হবে তারা ওই সময়ও কম ছিল আর ক্রমশই বেড়ে গিয়েছিল।আর এখনো তারা কম এর মানি এই নয় যে তারা কিছু করতে পারবে না।অবশ্যই তারা আপনাকে ঈমান হারা করতে পারে।তাদের কর্মকান্ডে যারা অংশ নিলো তারাও তাদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেলেন।আর তাদের অন্তর্ভূক্ত হওয়া মানি আপনি মুসলিম থেকে নাম কেটে নিলেন।ভুলে হয়তোবা করতে পারেন তওবা করে নিন আর শিয়াদের সাথে সম্পর্ক ছেড়ে দিন অন্যথায় ঈমান নিয়ে বেচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
...
লেখায়-মুহাম্মাদ আরজু (পথহীন মুসাফির)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩