বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
-----------------------------
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর
দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
...
মক্কা বিজয়ের আগে হাতেগোনা কিছুসংখ্যক লোক ইসলাম গ্রহন করতেন।কিন্তু মক্কা বিজয়ের পর মানুষ দলে দলে ইসলামের পতাকাতলে আসতে শুরু করলেন।তখন আল্লাহ্ তা'আলা সূরা আন-নাসর নাযিল করলেন।যখনই দলে দলে ইসলামের পক্ষে মানুষ আসতে থাকে এর অর্থ দাড়ায় পৃথিবীতে ইসলাম কায়েম হয়ে গেছে।মহানবী সঃ এর উপর নবুয়তের যে দায়িত্ব ছিল তা সম্পন্ন হয়েছে।এখন তিনি আল্লাহর সাথে দিদার করবেন মানি মহানবী সঃ এর ইন্তেকালের ঘোষনা এর সূরার মাধ্যমে আল্লাহ দিয়ে দিয়েছিলেন।
...
মহানবী সঃ যখন আয়াতগুলো সাহাবাদের শুনালেন তখন সূরাটির অর্থ না বুঝে সাহাবারা আনন্দে উল্লাস করতে থাকলেন।তখন আবু বকর সিদ্দিক রাঃ মসজিদে নববীর এক কোণে গিয়ে জারাজার হয়ে কাঁদতে শুরু করলেন।আবু বকর সিদ্দিক রাঃ এর এমন অবস্থা দেখে সাহাবারা গিয়ে বললেনঃ কি ব্যাপার আবু বকর এতো খুশির সংবাদেও তুমি কেন কাঁদছো?
আবু বকর সিদ্দিক রাঃ জবাবে বললেনঃ এতো খুশির সংবাদ না এর মাঝে আমি রাসূলের চলে যাওয়ার বেদনা দেখতে পাচ্ছি।
সবাই অবাক হয়ে মহানবী সঃ কে গিয়ে জিজ্ঞাস করলেন।মহানবী সঃ ও একই জবাব দিলেন যে "আমারও মনে হয় তোমাদের মাঝে আমি আর বেশিদিন থাকবো না।
...
এই কথা শুনে সাহাবাদের মনে শোকের বার্তা বয়ে গেল।অতঃপর কিছুদিন পর মহানবী সঃ অসুস্থ হয়ে পরলেন।সবার মনে আশঙ্কা ধরে গেল।দিনরাত শুধু কাঁদতেন আর মহানবী সঃ এর খোঁজ খবর নিতেন।মহানবী সঃ এর বিদায়ের দিন যখন ফাতেমা রাঃ কে জিজ্ঞাস করা হলো তিনি বললেন "নাই নাই বাবা আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন"।এই একটা শব্দ শুনে সব সাহাবাদের চোখ থেকে অবিশ্রত জলে বয়ে যেতে লাগল।কিছু কিছু সাহাবা এমন দোয়া করলেন "হে আল্লাহ যে চোখ তোমার রাসূলকে দেখেছে সে চোখ এখন তোমার রাসূলকে দেখতে পারবে না এই চোখ আমার আর চাইনা।আল্লাহতালা সঙ্গে সঙ্গে তাদের দোয়া কবুল করে নিলেন।তারা অন্ধ হয়ে গেলেন।
...
এই ছিল মহানবী সঃ এর বিদায়ের ঘটনা।যা শুনলে আজও মনে শোক বয়ে যায়।কিন্তু আজ কিছু লোক তার মৃত্যুতে ঈদ পালন করে।স্লোগান দেয় সকল ঈদের সেরা ঈদ।এটা সাহাবাদের কোন আদর্শ আমি শুধু জানতে চাই?মহানবী সঃ এর বিদায়ে কোন সাহাবা খুশি হয়েছিলেন বা ঈদ পালন করেছিলেন আমার জানা নেই কোন হাদিসে কোরানের নির্দেশে তারা এই কাজ করে ভাবলেই অবাক হই।মহানবী সঃ এর সৈনিক তারা।ঠাট্টা করছি না বড় আজিব লাগে এইসব কর্মকান্ড দেখলে।এই দিনে মহানবী সঃ জন্ম নিয়েছেন ভাল কথা এই দিনেই তিনি ইন্তেকালও করেছেন।
...
আপনারা জন্মকে উদ্দেশ্য করে উল্লাস করছেন শরবত বিলি করছেন তো মহানবী সঃ এর ইন্তেকালের জন্য কি করলেন?নবুয়তের পর মহানবী সঃ ২৩ বছর দুনিয়াতে ছিলেন এই ২৩ বছরে কোন দিন সাহাবারা মহানবী সঃ এর জন্মদিন পালন করেছিলেন?সাহাবারা শোক পালন করেছিলেন।এটা সাহাবাদের আদর্শ।ইন্তেকালে ঈদ পালন করা মহানবী সঃ এর শত্রুদের আদর্শ হতে পারে কারন মহানবী সঃ ছিলেন বাতিলের আতঙ্ক।এখন তিনি ইন্তেকাল করেছেন বিধায় তারা বাতিল আবার স্থাপন করতে পারবেন তাই খুশি হতে পারেন।এখন যারা উল্লাস করে তারা কি বাতিলের পক্ষে নয়।খেয়াল রাখবেন ইসলাম অনুমোদিত মুমিনের জন্য ২ ঈদ আর এর বাইরে মুনাফেকের জন্য ৩ ঈদ হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০৫