
গুগল ঘেঁটে জানতে পারলাম, মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব প্রতি বক্তৃতার জন্য প্রায় $125,000 (এক লাখ পঁচিশ হাজার) আমেরিকান ডলার সম্মানী নেন। এর সত্যতা আমি যাচাই করতে পারিনি, তবে এএই স্পিকার্স (view this link) এবং প্রিমিয়ার স্পিকার্স ব্যুরো (view this link) নামের দুটি ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যাটি পাওয়া গেছে। সেখানে আরও কিছু তথ্য ছিল, যেগুলো থেকে বোঝা যায় তার একেকটি বক্তৃতার আসল ফি নির্ধারণের বিভিন্ন দিক রয়েছে। তবে, সে বিষয়ে আর বিস্তারিত যাচ্ছি না, কারণ এত টাকা গোনার হিসেব মেলানো আমার পক্ষে কঠিন!
এখন থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগের কথা। ক্রিস বনিংটন view this link নামের এক বিখ্যাত ব্রিটিশ পর্বতারোহীকে ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য কিছু দেনদরবার করেছিলাম। দেনদরবার মানে কয়েকটা ইমেইল চালাচালি। তখন ঢাকায় পর্বতারোহণ নিয়ে বেশ ধুমধাম চলছিল। ভাবলাম, যদি কোনো আইকনিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এসে তার একটি বক্তৃতার আয়োজন করা যায়, তাহলে ব্যাপারটা চমৎকার হবে। সেই উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করলাম। কিন্তু ব্যাপারটা বেশি দূর এগোতে পারেনি। এ ধরনের ব্যক্তিত্বের সাথে আমার মতো কারো সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ ছিল না, এবং এদের জন্য সাধারণত বিভিন্ন এজেন্সি নিযুক্ত থাকে। আমিও ঠিক তেমনই একটি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। সম্মানীর অংকটি জানার পর আর পিছু হটতে বাধ্য হলাম—পাঁচ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড, মাত্র এক ঘণ্টার জন্য! তার ভ্রমণ এবং থাকা-খাওয়ার খরচ তো আলাদাই। তখনকার মতোই, আজও এই টাকার পরিমাণটা বেধরক মনে হয়। বনিংটন সাহেবের গল্প আর বাংলাদেশে বসে শোনা হলো না।
ইউনুস সাহেবের ফি নিশ্চয়ই এর চেয়ে অনেক বেশি হবে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে বক্তৃতা দিতেন, তাহলে হয়তো আরও বেশি সম্মানী পেতেন। কিন্তু এবার সেটা আর হচ্ছে না। আমরা ধরে নিতে পারি, এটা তার জন্য একটা ব্যক্তিগত আর্থিক ক্ষতি। তবে যারা তার বক্তৃতা সরাসরি শুনেছেন, তাদের জন্য এটা বিশাল সুযোগ ছিল—এবার একেবারে বিনামূল্যে ইউনুস সাহেব!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


