somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউনুস সাহেবের ফ্রি বক্তৃতা এবং তার কোটি টাকার ক্ষতি

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




গুগল ঘেঁটে জানতে পারলাম, মোহাম্মদ ইউনুস সাহেব প্রতি বক্তৃতার জন্য প্রায় $125,000 (এক লাখ পঁচিশ হাজার) আমেরিকান ডলার সম্মানী নেন। এর সত্যতা আমি যাচাই করতে পারিনি, তবে এএই স্পিকার্স (view this link) এবং প্রিমিয়ার স্পিকার্স ব্যুরো (view this link) নামের দুটি ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যাটি পাওয়া গেছে। সেখানে আরও কিছু তথ্য ছিল, যেগুলো থেকে বোঝা যায় তার একেকটি বক্তৃতার আসল ফি নির্ধারণের বিভিন্ন দিক রয়েছে। তবে, সে বিষয়ে আর বিস্তারিত যাচ্ছি না, কারণ এত টাকা গোনার হিসেব মেলানো আমার পক্ষে কঠিন!

এখন থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগের কথা। ক্রিস বনিংটন view this link নামের এক বিখ্যাত ব্রিটিশ পর্বতারোহীকে ঢাকায় নিয়ে আসার জন্য কিছু দেনদরবার করেছিলাম। দেনদরবার মানে কয়েকটা ইমেইল চালাচালি। তখন ঢাকায় পর্বতারোহণ নিয়ে বেশ ধুমধাম চলছিল। ভাবলাম, যদি কোনো আইকনিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এসে তার একটি বক্তৃতার আয়োজন করা যায়, তাহলে ব্যাপারটা চমৎকার হবে। সেই উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করলাম। কিন্তু ব্যাপারটা বেশি দূর এগোতে পারেনি। এ ধরনের ব্যক্তিত্বের সাথে আমার মতো কারো সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ ছিল না, এবং এদের জন্য সাধারণত বিভিন্ন এজেন্সি নিযুক্ত থাকে। আমিও ঠিক তেমনই একটি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। সম্মানীর অংকটি জানার পর আর পিছু হটতে বাধ্য হলাম—পাঁচ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড, মাত্র এক ঘণ্টার জন্য! তার ভ্রমণ এবং থাকা-খাওয়ার খরচ তো আলাদাই। তখনকার মতোই, আজও এই টাকার পরিমাণটা বেধরক মনে হয়। বনিংটন সাহেবের গল্প আর বাংলাদেশে বসে শোনা হলো না।

ইউনুস সাহেবের ফি নিশ্চয়ই এর চেয়ে অনেক বেশি হবে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যদি তিনি ব্যক্তিগতভাবে বক্তৃতা দিতেন, তাহলে হয়তো আরও বেশি সম্মানী পেতেন। কিন্তু এবার সেটা আর হচ্ছে না। আমরা ধরে নিতে পারি, এটা তার জন্য একটা ব্যক্তিগত আর্থিক ক্ষতি। তবে যারা তার বক্তৃতা সরাসরি শুনেছেন, তাদের জন্য এটা বিশাল সুযোগ ছিল—এবার একেবারে বিনামূল্যে ইউনুস সাহেব!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০০
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×