ঢাকা, অগাস্ট ২২ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে ফেরত দেওয়ার দিল্লী চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ আহমেদ রোববার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহানের বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
এতে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
রিটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহায়ক বাহিনীর সদস্যদের নাম প্রকাশের নির্দেশ চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।
এছাড়া আবেদনে ৩০ লাখ শহীদের নামের তালিকা প্রকাশেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল দিল্লীতে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আলোকে ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে মুক্তি দেয় বাংলাদেশ।
ওই চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ড. কামাল হোসেন।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, আবেদনকারীর প্রার্থনা হলো ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে তাদের বিচার করে শাস্তি দেওয়া।
কিন্তু দিল্লী চুক্তি এর অন্তরায়-এ কথা উল্লেখ করে আবেদনে বলা হয়, এই চুক্তি সংবিধানের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী। সংবিধানের প্রথম সংশোধনী ওই পাকিস্তানি সেনা সদস্য এবং সহায়ক সদস্যদের যুদ্ধপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের আওতায় আনার পথ উন্মুক্ত করে দেয়। কিন্তু দিল্লী চুক্তি এই সংশোধনেরও পরিপন্থী।
তাছাড়া সংবিধানের ৪৭ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেনা সদস্য, যুদ্ধবন্দি এবং সহায়ক বাহিনীর বিচারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার তাদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রিট আবেদনের শুনানি করবেন ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



