ঢাকা, অগাস্ট ২৪ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তি বা অভিযুক্তদের হজে যেতে দেওয়া হবে না। কোনো অযাচিত ব্যক্তিকে হজে যেতে দেওয়ার জন্য সুপারিশকারীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হজযাত্রীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত এক সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, "যুদ্ধাপরাধী, বিদেশি নাগরিক, রোহিঙ্গা ও সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এজন্য অগাস্টের মধ্যেই সম্ভাব্য হজযাত্রীদের তালিকা পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কাছে দিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাওয়ার পরই হজযাত্রীদের হজে যেতে দেওয়া হবে।"
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তি বা অভিযুক্তদের হজে যাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "যাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ রয়েছে তাদের কাউকেই হজে যেতে দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে সংশি�ষ্ট সব সংস্থাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।"
সাহারা খাতুন আরো বলেন, "কোনো ব্যক্তি হজে গেলে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরতে হবে। না হলে ওই ব্যক্তিকে প্রেরণকারী হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে সনদ বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "প্রতিবছর হজের সময় বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে রোহিঙ্গা, বিদেশি নাগরিক, সন্ত্রাসী ও অযাচিত ব্যক্তিরা সৌদি আরবে যান। এরপর দেশে না ফিরে সেখানে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। এজন্য সরকার এ বছর কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।"
যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তি বা অভিযুক্তদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, "এ ধরণের ব্যক্তির নামে পাসপোর্ট ইস্যু করা হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লি�ষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল খান চৌধুরী, এসবি'র প্রধান জাবেদ পাটোয়ারি, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুর মাবুদসহ বিভিন্ন সংস্থা ও হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



