somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নজয়ী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গতকাল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শপথ গ্রহন অনুষ্টান দেখলাম । দেখতে দেখতে আমি ভাবছিলাম একটা পরিবর্তনের কথা । এই সেই ওবামা যার পূর্বপূরুষরা আমেরিকায় এসেছিল কৃতদাস হয়ে আজ থেকে ৪০০ বছর আগে । যে সাদারা তাদেরকে নির্যাতন করা নিজেদের বিলাশিতার অংশ বলে মনে করত আজ তারাই ওবামাকে বসিয়েছে তাদের সর্বোচ্ছ ক্ষমতার আসনে । সারা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখছে আমরিকার প্রেসিডেন্ট একজন কৃস্ঞাঙ্গ । সারা বিশ্ব অবাক হলেও ওবামা নিজেকি অবাক তার এই সাফল্যে ? যে ছেলে কিন্ডারগার্টেনে পড়া অবস্তায় স্কুল শিক্ষিকার দেয়া জীবনের লক্ষ্য রচনায় লিখতে পারে - আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হেত চাই, আর যাই হোক এই সাফল্যে সে বিস্মিত হবে না, এটা তার কাছে শুধুই আরেকটা অর্জন । যে স্বপ্ন দেখতে জানে, স্বপ্নের পেছনে ছুটতে জানে, অসম্ভব অর্জনে সে বিস্মিত হয় না । আর এমন লোক যুগে যুগে আমেরিকায় আরো এসেছে বলেই তারা আজ এতো প্রতিষ্টিত । এমনই একজনের কথা আজ এখানে বলব যার নাম আমরা অবশ্যই জানি । তার বাবা ছিলেন একজন মাঝি অথবা কাটুরে । ভয়াবহ দারিদ্রের কারনে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল ১৮ মাস (তবে তিনি ছিলেন স্ব-শিক্ষিত)। বাবার পক্ষে সংসার চালানো সম্ভব ছিলনা বলে শৈশবেই তাকে চলে যেতে হয়েছিল অন্যের বড়িতে কাজের জন্য । সেই বাড়িতেই কোন এক অনুষ্টানে গৃহকর্তি সব ছেলে মেয়ে কে ডেকে জিজ্ঞেস করছেন তোমরা বড় হয়ে কে কি হতে চাও, কেউ বলছে ডাক্তার কেউ বলছে ইঞ্জিনিয়ার । দরজার পাশে দাড়ানো সেই ছোট্ট ছেলেটি ভাবছে কেউ কি তাকে জিজ্ঞেস করবে সে বড় হয়ে কি হতে চায় ? কিন্তু সেতো একটা কাজের ছেলে তাই কেউ তাকে জিজ্ঞেস করেনি । সবার যখন বলা শেষ তখন সে আগত অতিথীদের সামনে দাড়িয়ে বলল ম্যাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন না আমি কি হতে চাই ? তখন তাকেও বলতে বলা হল । সবার সামনে দাড়িয়ে সে সেইদিন বলেছিল "আমি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চাই" । তার কথা শুনে অনেকে হয়ত হেসেছিল, অনেকে ভেবেছিল ছোট্ট ছেলের প্রলাপ । কান্তু সেই ছেলেটি স্বপ্ন দেখত এবং জীবনে কখনই তার স্বপ্নের পথ থেকে বিচ্ছুত হয়নি । তরুণ বয়সে একটা মেয়েকে ভল লেগেছিল কিন্তু দেখেত সুন্দর না হওয়ার কারনে তাকে অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল । যার মনোবল দৃড়, যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার মানষিকতা নিয়ে রাস্তায় নামে সামান্য অপমানে সে দমে যাবে কেন ? এই মেয়েকেই তিনি জয় করেছিলেন পরবর্তীতে । যখন তার বয়স ২১ বছর তখন একটা ব্যবসা শুরু করেন, সেখান থেকে লাভত হলইনা বরং আসলটাও থাকলনা । ২৪ বছর বয়সে আবারও ব্যবসা শুরু করে ব্যর্থ হন । ২৬ বছর বয়সটা তার জীবনের একটা কঠিন সময়, অনেক সাধনায় যাকে পেয়েছিলেন সেই পিয়তমা স্ত্রী ইহলোক ত্যাগ করেন । ৩৪ বছর বয়সে কংগ্রেস নির্বাচনে পরাজিত । লক্ষ্য যার অনেক দুর এই সব ব্যর্থতা তাকে দমিয়ে দিতে পারে না । ৪৫ বছর বয়সে আবারও পরাজিত হলেন সিনেটর নির্বাচনে । ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হলেন ৪৭ বছর বয়সে । আবার ও সিনেটর নির্বাচনে পরাজিত হলেন ৪৯ বছর বয়সে । জীবনে এত পরাজয়ের পর আগুনে পুড়া স্বর্ণ হতে তার আর বকি নাই । আর সেই স্বর্ণ যখন ৫২ বছর বয়সে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তখন তিনি হয়ে গেলেন আমেরিকার সর্বকালের সেরা প্রেসিডেন্ট । নির্বচিত হওয়ার পর তার সেই গেটিসবার্গ বক্তিতা "government of the people, by the people, for the people, shall not perish from the earth". জা গণতন্ত্র প্রত্যাশি মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় উক্তি । এতক্ষণে হয়ত তাকে চিনতে পেরেছেন - তার নাম আব্রাহাম লিংকন ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:৩৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×