somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনে নারীর ছুঁড়ে দেয়া চ্যালেঞ্জ- পুরুষের জন্য তার অনন্য উপহার

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নারী-পুরুষের সম্পর্কগুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছা মূলত বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ধরণের মিক্সড মেসেজের প্রতি তৈরি এক ধরণের বিরক্তি থেকে। এমনকি পত্রিকায় ছাপানো কাউন্সেলরদের উপদেশও অনেকাংশেই মনে হয় ভুল এবং বিভ্রান্তিমূলক। তবে এ ক্ষেত্রে হয়তবা সামাজিক সীমাবদ্ধতাগুলো মেনে না নিয়ে উপায় নেই। তাই উপদেশের বেলায় তাদের পলিটিকালী কারেক্ট মনোভাবকেও পুরোপুরি দোষারোপ করা উচিৎ হবেনা।

অন্যদিকে এই ব্লগে শুধু ছেলে/পুরুষের ব্যক্তিত্ব নিয়ে লেখার ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে লেখার ভেতরের লুকোনো নারী-বিদ্বেষমূলক মনোভাব নিয়ে। দিনশেষে যেহেতু মানুষের চিন্তাভাবনা এবং দৃষ্টিভংগীই তার বাস্তবতাকে আকার প্রদান করে তাই লেখক হিসাবে এটুকু সীমাবদ্ধতা মেনে না নিয়েও উপায় নেই। এমনকি এ লেখাগুলো পড়ে যে অনেকে ভালো ছেলে থেকে হটাৎ এক লাফে ব্যাড বয় হয়ে যাবে সে ব্যপারেও আমার কোন সন্দেহ নেই, নিজেকে যদি বিন্দুমাত্র চেনা থাকে তবে এটুকু ভবিষ্যদ্বাণী বা গণনা আমি চোখ বন্ধ করে করতে পারি। কার্ল ইয়াং যাকে বলেছেন শ্যাডো পারসোনালিটি- Click This Link অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, মেয়েরা ব্যাড বয়দের দিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়, তবে ওই সম্পর্কগুলো কখনো হ্যাপি এনডিং পায়না, আর সবাই এটা কম-বেশি জানে। আর এজন্যই মূলত শুধু ছেলে/পুরুষদের নিয়ে লেখা, তাদের ব্যক্তিত্ব কেমন হওয়া দরকার অথবা ঠিক কিভাবে মেয়েদের সাথে মিশলে ভাল হয়, পুরুষের কোন গুণগুলো দেখে মেয়েরা আকৃষ্ট হয়। মাত্রাতিরিক্ত ভালো ছেলে অথবা আপোষহীন চরিত্রের ব্যাড বয় না হয়েও যে বরং আরো পরিণত এবং আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া সম্ভব সেটা অনুসন্ধান করাও এই ব্লগের অন্যতম লক্ষ্য। আর পলিটিকালী কারেক্ট মনোভাব নিয়ে লেখবার ইচ্ছা যেহেতু আমার নেই, তাই আলোচনা-সমালোচনা বিশেষভাবে কাম্য।

গত চল্লিশ বছরে যেখানে নারী এবং নারী জাগরণের পক্ষে হাজার হাজার বই বাজারে এসেছ, এসেছে নারী জাগরণ নিয়ে কাজ করা অসংখ্য নেত্রী সেখানে পুরুষদের জন্য কিছু তো আসেইনি বরং এক এক সময় সমাজের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় আজকের যুগের পুরুষ স্মরণকালের মধ্যে সবথেকে বিভ্রান্ত। প্রেম এবং নারী থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিও জন্য তার বিদ্বেষ স্পষ্ট। [এমন কিন্তু নয় যে নারীমুক্তি হয়ে গেছে, তবে সম্পুর্ণভাবে নারীমুক্তির প্রক্রিয়া শেষ হবার জন্য পুরুষের মানসিকতা পরিবর্তন হওয়াটা সবচাইতে বেশি জরূরী] কারণ এদুজন না মিললে সমাজ কোনভাবেই ভালো একটা পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবেনা। প্রশ্ন আসবে, কেন শুধু পুরুষ কেন্দ্রিক লেখা? তবে কি শুধু পুরুষ মানুষই শক্ত হবে আর নারীর শক্ত হবার দরকার নেই? ব্যক্তিগত ভাবে যদি বলি, সম্পর্কগুলো নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে তাহলো হাজার বছরের পুরুষশাসিত সমাজে নারীর ওপর চাপিয়ে দেয়া ট্রেডিশনাল রোলগুলোর প্রভাব। বর্তমান সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্কের ঝামেলাগুলোর গভীরেই রয়েছে এই একটা কারণ- Click This Link
আর এ ভুলটা অন্তত এ যুগে আবার নতুন করে না হলেই ভালো হয়। নারী কেমন হওয়া উচিৎ সে ব্যপারে আমরা পুরুষেরা বলার কে? কেনই বা তার ওপর চাপিয়ে দিতে হবে নির্দিষ্ট কিছু রোল। হোক না সে তার নিজের মত। হাজার বছর ধরে তার লালিত স্বপ্নগুলোকে এবার সে বাস্তবতা দিক, নিজের গভীর কল্পনাগুলোকে সত্য করে তুলুক। একটা দুটা রোল [ নারী এমন হবে- নারী অমন হবে ] দিয়ে কেন তাকে বন্দী করে রাখবার চেষ্টা করা? এটাই তো পুরুষ জাতির ইনসিকিউরিটির সবচাইতে বড় প্রমাণ। নারীই ঠিক করুক তার পরবর্তী গন্তব্য। আর আমরা পুরুষেরা ঠিক করি আমাদের গন্তব্য। ফোকাস যখন অন্যকে পরিবর্তন করবার দিকে চলে যায় তখনই তো নিজস্ব ব্যক্তিত্বের ত্রুটিগুলো দেখতে ভুলে যাই আমরা। এটা যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে সত্য তেমনি নারীর বেলায়ও। নিজেকে নিয়ে, নিজের গন্তব্য নিয়ে যখন আমরা কাজ করবো শুধুমাত্র তখনই আমাদের পরিপূরক এনার্জির নারী বা পুরুষ কোন না কোনভাবে আমাদের জীবনে চলে আসবে। যাই হোক, আজকের লেখা মূলত একজন পুরুষের জীবনে নারীর ভূমিকার অনুসন্ধান করা। সেইসাথে জীবন বা নারীর চ্যালেঞ্জকে কিভাবে দেখা উচিৎ সেটাও এ লেখার অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু।

অবচেতনে নারী তার জীবনের পুরুষকে পরীক্ষা করে থাকে। এটা মূলত পুরুষ হিসাবে তার ব্যক্তিত্বের সামর্থ্য দেখবার একটা চাহিদা থেকে তৈরি। পুরুষের আধ্যাত্মিক স্বাধীনতা এবং ভালোবাসার গভীরতা জানবার জন্যই এই পরীক্ষা, তার নিজের প্রতি সততা মাপবার একটা উপায়। আর এই পরীক্ষাগুলো সাধারণত নারীর বিভিন্ন রকমের অভিযোগ, অসন্তোষ, চ্যালেঞ্জ, সন্দেহ, বিভ্রান্তি ইত্যাদি আকারে আসে। এমনকি একজন পুরুষের সর্বোচ্চ উদ্দেশ্যকে Click This Link হেয় করবার মাধ্যমেও এই পরীক্ষা করে থাকে নারী। আর এমনটা ভাবা উচিৎ হবে না যে, এসব পরীক্ষা একসময় থেমে যাবে এবং জীবন আরো সহজ এবং শান্তিপূর্ণ হবে। বরং পুরুষের ব্যক্তিত্বের প্রবলতা, সততা আর অকপটতা পরীক্ষার মর্মকে পুরুষের প্রতি নারীর উপহার হিসাবেই দেখা উচিৎ প্রতিটা পুরুষের। নারীর অভিলাষ পুরুষের সততা এবং ভালোবাসার গভীরতার প্রতি, আর একজন পুরুষ যতটা পূর্নতার পথে এগিয়ে যাবে, নারীর পরীক্ষাও আরো কঠিনতর হতে থাকবে।

আমাদের জীবনের প্রতিটা মূহুর্তই এক একটা সংগ্রাম কিংবা উৎসব। এবং নারীর সাথে অতিবাহিত প্রতিটি মূহুর্তও তাই, তবে সেগুলো আরও তীব্র এবং গভীর। জীবনে আসা প্রতিটা নারীর অস্তিত্বই আমাদের জন্য এক একটা পরীক্ষা। আর সম্পর্কের যে কোন সময় পুরুষকে চ্যালেঞ্জ করে সে এটাই দেখতে চায় যে, নিজের গন্তব্যের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি সে কতটা গভীরভাবে মেনে চলছে। নারীর জন্য সবচাইতে আনন্দের মুহুর্ত খুব সম্ভব সেটাই যখন একজন পুরুষ একইসাথে তার নিজস্ব সত্যের পথে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, স্থির, শান্ত এবং প্রেমময়। সে আপনাকে স্থানান্তর করতে অসক্ষম, কারণ আপনি যা আপনি তাই, সে থাকুক আর নাই থাকুক। সে তার কোন কঠিনতর রূপ দিয়েও আপনাকে আতঙ্কিত করতে ব্যর্থ, কারণ আপনার অদম্য ভালোবাসার কাছে তার যে কোন রুপই দুর্বল। সে আপনাকে আপনার পথ থেকে সরিয়ে দিতে অক্ষম কারণ নিজস্ব সত্যের প্রতি আপনার অঙ্গীকার সবকিছুর ওপরে। আর সময়ে সময়ে এই ভালবাসার পরীক্ষা সে অবচেতনেই নিতে থাকবে, যেটা প্রেমিকের জন্য তার সবচাইতে বড় উপহার। জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে একজন পুরুষের মুখোমুখি হবার প্রক্রিয়া থেকেও তার প্রেমিকা তার বিশ্বাসযোগ্যতা কতটুকু সেটা দেখতে সক্ষম। উচ্চাকাঙ্ক্ষী পুরুষের প্রতি নারীর দুর্বলতা এজন্যই। তবে তার মাঝে গভীর ভালোবাসা অনুপস্থিত থাকলে সে সম্পর্কের পরিণতি শেষ পর্যন্ত ভালো হয়না।

ধরুন, আপনি অফিসের কোন প্রজেক্টে কয়েক মাস অথবা কয়েক বছরের অমানুষিক কাজের পর অবশেষে ব্যপকভাবে সফলতা পেলেন। এ মুহুর্তে আপনি অনেক সুখী, সফল এবং পরিতৃপ্ত। বাসায় ফিরে স্ত্রীর সাথে আপনি এই সুখবরটি শেয়ার করলেন।

“আমার প্রমোশন হয়েছে।”
“ভালো”
“ভালো !!! তুমি জানোনা কতদিন ধরে এ মূহুর্তটির জন্য অপেক্ষা করছি আমি!!”
“জানি। তুমি যে বাসায় থাকো সেটাই ভুলে যেতে বসেছিলাম। বাজার থেকে পেঁয়াজ আনতে বলেছিলাম যে সেটা এনেছো ?” [ আমার বাবার সাথে এটা হতে দেখেছি, তাই এই উদাহরণ ]

“ওহ, সরি। ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কি যায় আসে, চলো আজ বরং সেলিব্রেট করে আসি বাইরে কোথাও।”
“সকালে অফিসে যাবার আগে বারবার বললাম পেঁয়াজ লাগবে, তোমাকে কাগজে লিখে দিলাম পর্যন্ত, কিভাবে ভুলে গেলে তুমি?”
“বললাম তো ভুলে গিয়েছিলাম। ঠিক আছে ঠিক আছে, বললাম তো নিয়ে আসছি এখন তোমার সাধের পেঁয়াজ।”
পুরুষের কাছে এ এক বিরাট রহস্য। কেন এমন করে নারী? তাও যখন কিনা উদযাপন করবার সময় তখন? তবে কি সে পুরুষের সাফল্যকে খাটো করতে চায়? না, তবে আপনার সাফল্যে তার কিছু আসে যায় না, যদি না আপনার হৃদয়ে এখনো সেই ভালোবাসা আর স্বাধীনতা না থাকে যা দেখে সে আপনাকে ভালোবেসেছিলো। আর যদি আপনি এখনো সেই স্বাধীনচেতা মনের ভালোবাসায় পূর্ণ প্রেমিক হয়ে থাকেন তবে সে যাই বলুক না কেন আপনি ভেঙ্গে পড়বেন না। সেটাই তো সে দেখতে চায়, আর এজন্যই পুরুষের দুর্বল স্থানটিতে তার আঘাত দেয়ার প্রবণতা।

সে ঠিকই জানে এই সাফল্যটা আপনার জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। এবং সেকারনেই এটাকে সে ছোট করছে, আপনাকে কষ্ট দেবার জন্য নয়। আর বেশিরভাগ মেয়েরা এটা করবে একদম অবচেতনভাবে। এটা তার অস্তিত্বের এমন একটা অংশ যে সচেতনভাবে তার চিন্তাও করা দরকার হয় না। বরং তার প্রেমিকের মানসিক স্থিতি দেখবার জন্যই এমনটা করা। সে বুঝতে চায় যে, আপনার ব্যক্তিত্বের ভালোবাসা বা স্বাধীনতা যেমন তার প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে না তেমনি তা যেন কেবল আপনার বৈষয়িক সাফল্যের ওপরেও নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে। সে বুঝতে চায় যে আপনি এখনো সেই বিশেষ ব্যক্তিত্বের অধিকারী লোক, যিনি যে কোন পারিপার্শ্বিকতার পরেও তাকে ভালোবাসতে সক্ষম।

অস্বীকার করবার উপায় নেই যে, এই পথটি কঠিন। এমনকি জীবনের দুর্বল মূহুর্তগুলোতে আমরা পুরুষেরা আরো সহজ কোন নারীকেই হয়ত জীবনসঙ্গী হিসাবে আশা করি। তবে যে পুরুষ নিজের সবটুকু দিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে চায়, নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে যে সঙ্কটের মুখোমুখি হয়ে নতুন পথ পাড়ি দিতে চায়, নারীর এই ধারাবাহিক পরীক্ষাকে তার উপহার হিসাবেই উপলব্ধি করবার কথা। তার প্রেমিকা তার সবচাইতে সাধারণ ভার্শনটি নিয়েই খুশি হোক, এটা সেও চায় না। নিজস্ব মিশনের দিকে তার যাত্রা যদি থাকে অব্যাহত, তবে মন্দ কিংবা ভালো, যে কোন সময়েই সে সুখী থাকবে। প্রেমিকার অনুমোদন অথবা চুলে বিলি কেটে দেয়ার ওপর অথবা অফিসে প্রমোশনের ওপর তার সুখ নির্ভর করবে না।

আমাদের জীবনের নারী যদি হয় দুর্বল, তবে আমার আপনার দুর্বল ভার্শন নিয়েই সে সুখী হবে। তবে সে যদি হয় শক্ত মনের নারী, তবে তার কাছে প্রেমিকের চুলে বিলি কেটে দেবার অতিরিক্ত শিশুসুলভ চাহিদা তাকে বিরক্ত করবে। যদিও আপনার ব্যক্তিত্বের শিশুসুলভ অংশটিকে একটি ভালো মনের নারী ঠিকই ভালোবাসবে, তবে তার চাহিদা সবসময়ই থাকবে সব বাধা-বিপত্তি পার করা আপনার ব্যক্তিত্বের সেই অদম্য অংশটিকে নিয়ে।

ঠিক এ কারনেই নারী তার জীবনের পুরুষকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করবে, বিশেষ করে তার সাফল্যের মুহূর্তগুলোতেই, আপনার দুর্বল অংশগুলোতে আঘাত করবে সে আপনার মানসিক স্থিতি পরীক্ষা করবার জন্য। আর সে মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়লে তার অনুমোদনের ওপর আপনার সুখের নির্ভরশীলতা তাকে হতাশ করবে এবং আপনার ব্যক্তিত্বের বিশ্বাসযোগ্যতাও তার কাছে কমে যাবে। আর প্রেমিকার এই আঘাতের পরেও যদি আপনি থাকেন পরিপুর্ণ এবং শক্ত, একইসাথে কৌতুকপূর্ণ এবং সুখী, তবে ধরে নেয়া যায় যে পরীক্ষায় আপনি উত্তীর্ণ।

“পেঁয়াজ তো আমি আনবই, আগে তোমার খবর তো শুনি” বলেই তার হাত ধরে নাচের ভংগীতে তাকে একবার ঘুড়িয়ে কাছে টেনে গভীরভাবে চোখে চোখ রেখে তাকে ভালোবাসার আশ্বাস দেয়া মাত্র সে আপনার ভালোবাসার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে। আপনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে এখন সে সহজ হতে পারে, কারণ এ মুহুর্তে আপনি চরম বিশ্বাসযোগ্য। আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করবার জন্য আপনার তার অনুমোদন দরকার নেই, আপনি স্বাধীনভাবে তাকে ভালোবাসা দিয়ে যেতে সক্ষম। আপনার ব্যক্তিত্বের একদম গভীর হতে ভালোবাসা প্রবাহিত। আপনি সেই পুরুষ যার সত্যের প্রতি নিষ্টা দেখে সে প্রেমে পড়েছিল, আপনি সে, জীবনকে গভীরভাবে ভালোবেসে যে নিজস্ব গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম, এমনকি প্রেমিকার কঠোর সমালোচনাও আপনার হৃদয়কে রুদ্ধ করতে ব্যর্থ, আপনার সত্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে দুর্বল করতে অক্ষম। কঠোর পরিশ্রমের পর হাসিল করা প্রমোশনের দিনেও যে পেঁয়াজের বিড়ম্বনাকে রসাত্মক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে সক্ষম আপনি সেই অসাধারণ প্রেমিক।

এই লোকটিকেই সে বিশ্বাস করতে পারে। আর এখন সময় সাফল্য উদযাপনের। এখন সে আরাম করে তার সমস্ত টেনশনের কথা ভুলে যেতে পারে, আপনার সাথে আনন্দে অংশগ্রহণ করতে পারে। আর এটা স্থায়ী হবে অত্যন্ত কম সময়ের জন্য। হয়তবা একদিন, হয়তবা ১০ মিনিট। তারপরেই আসবে পরবর্তী পরীক্ষা। কারণ এ পরীক্ষা শেষ হবার নয়, তার প্রেমিকের ধারণক্ষমতা দেখবার জন্যই তার এমন আচরণ, তার সকল অভিযোগ আর অসন্তোষের পরেও যে প্রেমিকের ভালোবাসার ক্ষমতা, বিশেষ করে তার এই অসন্তোষের মুহুর্তগুলোতেই প্রেমিককে সবচাইতে বেশি বুঝতে পারে মেয়েরা।

প্রতিনিয়ত এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে একজন শক্ত পুরুষকে। এ থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই, প্রেমিকা বা স্ত্রী বদলেও আপনি পালাতে পারবেন না। কাউন্সেলরের কাছে গিয়েও এটা পরিবর্তন সম্ভব নয়। একটা মেয়ের আপনাকে পরীক্ষা করবার একমাত্র অর্থই হলো সে আপনাকে ভালোবাসে। এজন্যই সে আপনার ভালোবাসা অনুভব করতে চায়, আপনার সত্যকে উপলব্ধি করতে চায়। আর সে জানতে চায় যে, প্রেমিক হিসাবে পুরুষের ভালোবাসা ও সত্য তার ছুঁড়ে দেয়া যে কোন শক্ত তীরের থেকেও মজবুত।

সবচাইতে অদ্ভুত ব্যপার এটাই যে, পুরুষকে সবচাইতে কঠিনভাবে পরীক্ষা করা নারীই তাকে সবচাইতে বেশি ভালোবাসা দিতে সক্ষম। কারণ তার পরীক্ষা দিয়ে পুরুষের ব্যক্তিত্বের সবচাইতে পূর্ণ এবং চমৎকার অংশটিকে বের করে আনাটাই তার উদ্দেশ্য। আর আমার আপনার ব্যক্তিত্বের সর্বোচ্চ অংশটিকে ভালোবাসতে পারাতেই যার পূর্ণতা, কেনই বা সে তার কম কিছু নিয়ে খুশি হবে? আপাত দৃষ্টিতে এই পথটি আসলেই কঠিন। তারপরও, আপনি যদি সত্যিকারের স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাওয়াকেই আপনার জীবনের গন্তব্য মনে করেন, তবে এই বন্ধুর পথটিই হবে আপনার পথ।

https://www.facebook.com/DoctorXBD
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৮
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×