somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে আসা। ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপের খবরাখবর

১৭ ই অক্টোবর, ২০০৬ রাত ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সিঙ্গাপুরে যে স্কলারশিপটা নিয়ে পড়তে এসেছিলাম সেটা ছিলো ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিংগাপুরের, 'রিসার্চ স্কলারশিপ'। ডিগ্রি অর্জন করো, মাথা খাটাও, রিসার্চ করো, ইউনিভার্সিটি আর সিঙ্গাপুরে অবদান রাখো - মাসে মাসে স্কলারশিপ পাও। অনেকের ধারনা বিদেশে পড়তে আসা মানে বিশাল খরচ, বাপের বোধ হয় কাড়ি কাড়ি টাকার বস্তা থাকতে হয়। আসলে সত্য না। মাঝে মধ্যেই তাই এখানেও বা দেশে অনেকে জিজ্ঞেস করে এরকম কথা: তা তোমার পড়তে ক্যামন খরচ হয়? প্রতি মাসে নিশ্চই অনেক টাকা?

আমাকে উত্তর দিতে হয়, একটা পয়সাও নিজের খরচ করতে হয় না। পুরোটাই ইউনিভার্সিটি পে করে, উলটো থাকা খাওয়ার খরচ দেয় যেটা বাংলাদেশের টাকায় অনেক। যে সব ছাত্র খুব একটা অবস্থাসম্পন্ন পরিবার থেকে আসে নি, তারা তাদের সেই টাকা বাঁচিয়ে গ্রামের বাড়িতেও খচর পাঠায়।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিংগাপুরের রিসার্চ স্কলারশিপটা দেওয়া হয় মেধার ভিত্তিতে। পৃথিবীর অনেক দেশের ন্যাশনালিটি থেকে বাছাই করে ওরা দিয়ে থাকে। কোন বন্ড নেই। যারা স্কলারশিপ সম্পর্কে অবগত না, তারা অবাক হয়। বলে, 'তোমাকে লেখাপড়া করাচ্ছে, সব টিউশন ফি ইউনিভার্সিটি দেয়; আবার উলেটা টাকাও দেয় স্কলারশিপ হিসেবে - এর পেছনে কারনটা কি? ওদের কি পাগলে পাইছে।'

পাগলে পায় নাই। গ্র্যাজুয়েটদের করা রিসার্চ এখানে আলসে বসে থাকে না। সরাসরি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজে লাগানো হয়। যেমন আমি যে বিষয়ে কাজ করি সেই রিলেটেড কাজে এখানে ইউনিভার্সর্িটির একটা স্পিন অফ কোম্পানীও আছে যারা জার্মানী, জাপানের নামীদামী কমার্সিয়াল কোম্পানীর সাথে প্রোডাক্ট নিয়ে প্রতিযোগিতা করে। প্রায় সব রিসার্চ কোন না কোন ভাবে ইউনিভার্সিটিকে অথবা পুরো সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আবার পাশ করার পরে অনেকেই এখানে চাকরুী করে। অনেক মেধাকে এভাবে দেশের ভিতরে কাজে লাগিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রাখে সিঙ্গাপুর। কারন এদের নলেজ বেইজড ইকোনমিতে মেধা ছাড়া উপায় নাই। কোন ন্যাচারাল রিসোর্স নাই এদের। সুতরাং দেশটার মূল শক্তিটাই আর এন্ড ডি, সার্ভিস ইত্যাদির উপরে যার জন্য ম্যানপাওয়ার খুব প্রয়োজন।

এসব কারনে পুরো নিজের গাটের পয়সা খরচ করে দেশের ইউনিভার্সিটিগুলো স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।

যারা আন্ডারগ্রাজুয়েট শেষ করে বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যেতে চান তাদের জন্য একটা ভালো স্কলারশিপের খবর ওয়ালা ওয়েবসাইট হলো: [link|http://scholarshipz.blogspot.com/|B
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ১২:১১
৩০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×