‘পথ ভুলে ভাই এসেছিলাম...’
সমকাল প্রতিবেদক
‘পথ ভুলে ভাই এসেছিলাম আমড়াগাছের কাছে / তাই না হলে হেথায় আসে এমন গাধাও আছে?’Ñ মৌচাক ভেঙে মধু খাওয়ার লোভে একদিন আমড়াগাছের কাছে এসেছিল এক ধহৃর্ত শেয়াল। কিন্তু মৌচাক ভাঙার সময় মৌমাছিদের সল্ফি§লিত আত্রক্রমণের মুখে পড়ে সে। তখন নিজের ভুল বুঝতে পেরে এভাবে ছড়া কাটতে কাটতে ভোঁ দৌড়ে কোনোরকমে পালিয়ে বাঁচে সে। এরপর শেয়াল আর কোনোদিন আমড়াগাছমুখো হয়নি।
কাল শুত্রক্রবার তেমন ঘটনাই ঘটল জাতীয় প্রেস ক্লাবে। মুক্তিযু™ব্দকালীন যু™ব্দাপরাধের জন্য অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেত্রেক্রটারি জেনারেল মোহাল্ফ§দ কামারুজ্জামান সেখানে গিয়ে উপস্টি’ত মুক্তিযো™ব্দাদের সল্ফি§লিত ধাওয়ার মুখে পড়েন। শুধু ধাওয়া নয়, মুক্তিযো™ব্দাদের হাতে লাঞ্ছিতও হন তিনি। জুতা ছুড়ে মারা হয় তাকে। সেই সঙ্গে তাকে লক্ষ্য করে ‘তুই রাজাকার’, ‘ধর ধর, যু™ব্দাপরাধীকে ধর’ ইত্যাকার নানান কটুবাক্য চারদিক থেকে ছুটে আসতে থাকে বৃ®িদ্বর মতো। অগত্যা মৌমাছির তাড়া খাওয়া প্রবাদের সেই নিরুপায় শেয়ালের মতো ভোঁ দৌড়ে পালিয়ে বাঁচতে হয় তাকে।
কাল বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদ সল্ফে§লন ছিল সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের। এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর কনফারেন্স মিলনায়তনে আরেকটি আলোচনা অনুষ্ঠান ছিল ‘স্ট^দেশ মঞ্চ’র ব্যানারে। ‘স্ট^াধীনতার ৩৭ বৎসর : প্রাপ্টিø ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মোহাল্ফ§দ কামারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে ভুল করে মিলনায়তন পেছনে রেখে ভিআইপি লাউঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সংবাদ সল্ফে§লন কেবল শেষ হয়েছে। লাউঞ্জের দরজা দিয়ে বের হতে শুরু করেছেন কয়েকজন মুক্তিযো™ব্দা। এ সময় কামারুজ্জামানকে চিনে ফেলেন মুক্তিযো™ব্দা কন্টিনজেন্টের ‘বিচ্ছু জালাল গ্র“প’র কয়েকজন মুক্তিযো™ব্দা। ব্যস, আর যায় কোথায়। মুক্তিযো™ব্দারা একযোগে তাড়া করেন তাকে। হতবিহ্বল কামারুজ্জামান কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন তার সাদা পাঞ্জাবি ধরে টানাটানি শুরু করেন। দহৃর থেকে কয়েকজন জুতা খুলে ছুড়ে মারেন তাকে লক্ষ্য করে। এভাবে প্রায় পাঁচ-ছয় মিনিট নাজেহাল হন তিনি। পরে প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের হস্টøক্ষেপে ছাড়া পান তিনি।
প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের কয়েকজন ক্ষিপ্টø মুক্তিযো™ব্দাদের হাত থেকে তাকে বাঁচাতে ব্যারিকেড দিয়ে কনফারেন্স কক্ষে ঢুকিয়ে দরজা বল্পব্দ করে দেন। কিন্তু তবুও ক্ষোভ কমে না মুক্তিযো™ব্দাদের। তারা দরজার বাইরে থেকে ‘তুই রাজাকার’, ‘ধর ধর, রাজাকারকে ধর’ সমানে গালমন্দ করতে থাকেন। এ সময় উত্তেজিত মুক্তিযো™ব্দারা কামারুজ্জামানকে কক্ষ থেকে বের করে আনার চে®দ্বা করলে ‘স্ট^দেশ মঞ্চ’র কয়েকজন বাধা দেন। এভাবে প্রায় ঘণ্টাখানেক উত্তেজনা চলার পর সেক্টরস কমান্ডাররা মুক্তিযো™ব্দাদের সরিয়ে নেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে কনফারেন্স মিলনায়তনের সামনে অবস্ট’ান নেয়।
উত্তেজনা চলাকালে প্রেস ক্লাবের এক সদস্য মিলনায়তন কক্ষে ঢুকে কামারুজ্জামানকে ধমকের সুরে কক্ষের বাইরে বের হতে নিষেধ করেন এবং বের হলে আরো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে বলে সতর্ক করে দেন। কামারুজ্জামানও কক্ষের বাইরে বের হওয়ার সাহস দেখাননি। এ সময় লাঞ্ছিত-বিমর্ষ কামারুজ্জামানকে ভীতসšúস্টø অবস্ট’ায় বসে থাকতে দেখা যায়।
কামারুজ্জামানের লাঞ্ছিত হওয়ার কথা শুনে সাংবাদিকসহ আশপাশের উৎসুক মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য সেখানে ভিড় জমান। এ সময় কেউ কেউ হাসিতে ফেটে পড়েন। এ ঘটনায় কামারুজ্জামান তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিত্রিক্রয়া জানাননি। তবে ‘স্ট^দেশ মঞ্চ’র ওই অনুষ্ঠানে আসা অপর এক অতিথি আবু নাসের মোহাল্ফ§দ রহমতুল্কèাহ সমকালকে বলেন, ‘প্রেস ক্লাব সবার জন্য। কে রাজাকার, কে মুক্তিযো™ব্দা তা বিচার করে অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই এখানে আসার অধিকার সবার রয়েছে।’
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



