আমরা শিকড়ের একান্ত অনুগামী!
শিকড়ের গতি নিম্মগামী;
তাই আমরা ক্রমাগত অধোপানে
তীব্র গতিতে যাত্রা করছি।
শিকড় রসদ যোগায় ফুল-ফল-পাতা-ডাল-বাকলের,
আমরা তাই ক্রমাগত সমাজের কতগুলো
ছাল-বাকলকে
যুগিয়ে যাচ্ছি রসদ।
শিকড় দেখেনা আলোর মুখ,
আঁধারে তার বসত;
আমরা তাই আলো ছেড়ে
ক্রমাগত ছুটে চলি আঁধারের পানে!
আমাদের পূর্বপুরুষ অন্ধ ছিল,
কারণ তারা শিক্ষিত ছিল না আমাদের মত;
সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় মানুষের জ্ঞান,
বিকশিত হয় মেধা ও মনন;
আমরা কিন্তু শিকড়ের একান্ত অনুগামী!
টেনে নিই অন্ধকারের গাঢ় পর্দা তাই,
জড়িয়ে ধরি দেহে পরম আবেগে!
তাতে খূঁজে পাই পূর্বপুরুষদের অমল স্পর্শ,
শিকড়ের কাঁচা গন্ধ!
আমরা নড়ি না পূর্বপুরুষদের অনুশাসন ছেড়ে একচুল!
তাদের মতই অনুশাসন ভাঙি
রাতের নিমগ্ন আঁধারে!
আমরা বিবাহবিচ্ছেদ নয়,
বেছে নিই পরকীয়া!
আমরা প্রকাশ্যে বিয়ার ছুঁই না,
রাতের পর রাত জালা জালা হুইস্কি আর রাম গিলে যাই নির্বিকার!
আমরা প্রকাশ্যে শুই না পরনারীর সাথে,
রাতের আঁধারের সাথে সাথে নেমে যাই পার্কে আর হোটেলে নৈশসুন্দরীর খোঁজে।
আমরা শিকড়েরর একান্ত অনুগামী!
আর তাই পূর্বপুরুষদের বিস্তৃত শিকড়কে ভিত্তি করে
গড়ে না তুলে অনিন্দ্য বৃক্ষ
আমরা কেবলই শিকড়ের বিস্তার ঘটাচ্ছি।
মাইলের পর মাইল শিকড়ই কেবল,
কোন সবুজ পাতা নেই,
কোন পুষ্ট শাখা নেই,
কোন বীজবাহী সুমিষ্ট ফল নেই,
পাখিদের নিরংহ সঙ্গীত
আমরা শুনিনি কোনদিন!
কিংবা শুনতে চাইনি!
আমরা মূলত একটি বিশাল আলুগাছে পরিণত হচ্ছি,
যা পরিশেষে একটি পঁচে-যাওয়া-আলু ছাড়া
সৃজিবে না কিছুই!
২৭.১০.২০০৯