বিশেষ গোপন এজেন্টের মাধ্যমে খবরে প্রকাশ:
গত পরশু সমগ্র দেশব্যাপী ব্যাপক বারিবর্ষণের পরপরই দেশের মশক সম্প্রদায় শসস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। গতকাল, বালুরডোবা থেকে মশাজেনারেল মশকুইটও বাংলাদেশ ভূখন্ডে মশাদের রাষ্ট্র 'মশাঙ্গভূমি' এর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর থেকে মশাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় এবং অনেক তরুন মশা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেয়। বিশেষ প্রতিনিধির খবরে জানা যায়, মশারা কুয়েটে তাদের প্রধান ক্যাম্প স্থাপন করে সারাদেশে তাদের অধিকার আদায়ের কর্মপরিকল্পনা শুরু করেছে। মশাদের জাতীয় নেতা সৈয়দ মশা মশাই এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, "এতদিন ধরে আমরা বাঙালির দুঃশাসন সহ্য করে এসেছি, কিন্তু আর নয় - এই ব-দ্বীপ এর আমরাই যে আসল অধিবাসী তা সবাইকে মনে করিয়ে দিয়ে বলতে চাই, রক্ত যখন নিয়েছি আরও রক্ত নিব, এদেশের সব মানুষের রক্ত আমরা খাব ইন্শাল্লাহ।"
এদিকে দেশের বিভিন্ন নগরের দূর্গে ও নগরভবনে খোঁজ নিলেও কোন প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে সাধারণ বাঙালি কয়েল, অ্যারোসল ইত্যাদি ব্যাবহার করে বিচ্ছিনতাবাদী মশাদের রুখে দাঁড়ানোর সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সর্বশেষ খবর, অসংখ্য মশার শাহাদৎ বরণ করার খবর মিললেও এখনো এই যুদ্ধে কোন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নাই। তবে অতি শীঘ্রই মশারা ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সহ অনেক 'উইপন অফ ম্যাস ডেস্ট্রাকশন' এর ব্যাবহার শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




