তিনি ১৯৬৪ সালে তৎকালীন ছাত্রলীগে যোগদান করে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনে তিনি পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব ও পালন করেন।
বলছিলাম রাজশাহী জেলার একজন রাজনীতিবিদ সরদার আমজাদ হোসেন এর কথা। সরদার আমজাদ হোসেন বাংলাদেশের রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ষাটের দশকে ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসা আমজাদ হোসেন আওয়ামী লীগ থেকে কয়েক দফা সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় পার্টিতে গিয়ে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
স্ত্রী ফেরদৌস নিগার হোসেন ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এ ছাড়া তার বড় ছেলে সরদার সানিয়াত হোসেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, মেয়ে মুশারাত হোসেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষক, আরেক ছেলে ইসরাত হোসেন ইউএনডিপিতে কর্মরত। সরদার আমজাদ হোসেন নিজেও রাজনীতি বাইরে বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখতেন। তার প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থ ও রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই এর মধ্যে আছে অর্ধশতাব্দীর মূল্যায়ন, বাংলাদেশের জয়-পরাজয়ের রাজনীতি, একুশ শতকের সিঁডিতে বাংলাদেশ।
১৯৬৪ সালে আওয়ামী ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে সরদার আমজাদের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৬৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান আমজাদ। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
আমজাদ হোসেন ১৯৭০ সালে প্রথম পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৮৭ সালে সাংসদ থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী হন আমজাদ হোসেন। এরশাদের শাসনামলে খাদ্য, মৎস্য ও পশু সম্পদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
২০০৭ সালে জাতীয় পার্টি ছেড়ে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন সরদার আমজাদ হোসেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
এরপর থেকে রাজনীতিতে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান আমজাদ হোসেন। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকেলে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
*** তথ্য সমূহ বিভিন্ন পত্রিকা এর খবর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। উনার নামে উইকিপিডিয়ায় একটি পাতাও তৈরি করেছি। কেউ চাইলে সেখানে তথ্য যোগ করতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৯