ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে এবং তিন লক্ষ মা বোনের সমভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পরবর্তিতে স্বৈরশাষকেরা করেছে শোষন সংবিধানকে করেছে কলঙ্কিত । কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে মুক্তি যুদ্ধের বিরুধীদের নিয়ে গেছে মহান সংসদে। কেউ ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হিসাবে ব্যাবহার করেছে জনগনকে শোষন করা স্বৈর শক্তিকে। কেউবা কমিউনিষ্টের নিতি জনগনকে শুনিয়ে ক্ষমতার লোভে আদর্শকে দিয়েছে বিসর্জন। গণতান্ত্রিক এই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যেই নেই গণতন্ত্রের চর্চা তারা বার বার গণতন্ত্রের কথা বলে জনগনকে করছে বিভ্রান্ত। দেশে গণতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র কায়েম করে গণতন্ত্রকে ভুলন্ঠিত করে জনগনের হাতে পায়ে পরিয়ে রাখা হয়েছে শেকল।
নূর হোসেন আর ডঃ মিলনের রক্তে ফেরত পাওয়া গণতন্ত্রের সাথে প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে প্রতারনা । কথা বলার বাক শক্তিকে করা হয়েছে হরন। দেশের জনগনের উন্নয়নের নামে করা হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের উন্নয়ন। দেশের রাস্তা ঘাট সেতু ব্রিজ সহ অবকাঠামো উন্নয়নের নামে দূর্নীতি লুটপাট করে দেশের জনগন এবং আগামী প্রজন্মকে করা হচ্ছে ঋৃনগ্রস্থ আর দেশের অবকাঠামোকে করা হচ্ছে দূর্বল থেকে আরো দূর্বল। যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার নিয়ে কারা হয় ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি। যেখানে প্রতিনিয়ত জাতীয় নেতাদের নোংরা রাজনীতির শিকার বানিয়ে তাদের সন্মান এবং মর্যাদাকে করা হয় পদদলিত আর তরুন প্রজন্মকে করা হয় তাদের ব্যাপারে দিধাগ্রস্থ। ক্ষমতা লোভীরা পালা বদল করে তাদের নিজের স্বার্থে পবিত্র সংবিধানকে করেছে ক্ষত বিক্ষত তাই স্বাধীনতার ৪০বছর পরও আমারা পাইনি একটি শক্তিশালী সংবিধান। বিচার ব্যাবস্থা সহ সমস্থ প্রশাসনকে করা হয়েছে দলীয় করন, যেখানে রাজনৈতিক ব্যাক্তির বাহিরে বিচার পাওয়া যায়না, বিচারের নামে করা হয় জনগনকে হয়রানী তাই জনগন এখন অত্যচার অবিচার মুখ বুঝে সহ্য করে তবুও বিচার প্রার্থী হয়না।
তারপরও জনগন নিরবে সয়ে যাচ্ছে শুধু আর কোন রক্তপাত না দেখার জন্য কিন্তু আমাদের এই নূন্যতম চাওয়াও পূরন হয়না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বারবার হয় রক্তাক্ত, ফেলানিরা ঝুলে থাকে কাটাতারের বেড়ায়, ধর্ষিত হয় আমাদের বোনেরা, আত্মস্বীকৃত খুনিদের ক্ষমা করে দেয়া হয় খুনের বৈধতা, দেশের অর্থনীতিতে প্রবসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়ে সর্বোচ্চ যোগান দিলেও সমাধান করা হয়না তাদের কোন সমস্যা বরং তাদেরকে করা হয় হয়রানির শিকার। বিদুৎ এবং গ্যাস উৎপাদন না করে দেশের কলকারখানায় বন্ধ করা হয়েছে সংযোগ স্থাপন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথকে করা হয়েছে রুদ্ধ। এতসব অবিচার অন্যায় অত্যাচারে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কেউ নেই। বিরুধী দলে যেই থাকুক তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দাবি ও তাদের নেতাদের মুক্তির দাবি ছাড়া রাজপথে নামেনা, তাদের কাছে আমাদেরকে তাদের সন্তান মনে হয়না তাই তারা তাদের বাড়ি ও সন্তানদের রক্ষা করার দাবী ছাড়া রাজপথে নামেনা। পুজিঁবাজারে নিঃশ্ব হয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর আর্তনাত কেউ শুনেনা। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য প্রতিবাদ করে না, গার্মেন্টস কর্মীদের নূন্যতম দাবী পূরন হয়না। দেশের অর্থনীতিকে পুজিঁবাদদের হাতে তুলে দিয়ে মুল্যস্ফিতি উর্ধ্বমূখী করে দেশের অর্থনীতিকে করা হয়েছে পঙ্গু। বন্যার্তদের অনুদান লুটপাট করে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলোকে রাত কাটাতে হয় বাঁধের উপর ঝুপড়ি ঘরে।
আমাদের নূন্যতম মৌলিক চাহিদা খাদ্য নিরাপত্তা চিকিৎসা গুলো পূরন হয়না। বরং আমাদের সাথে করা হয় উপহাস ঠাট্টা। দেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা উন্নত বলে নিজেরাই যায় বিদেশে চিকিৎসা নিতে। আমাদেরকে কম খেতে দেয়া হয় পরামর্শ। খানা খন্ধে ভরা রাস্তাঘাটে দূর্ঘটনায় হলে আমাদেরকে কারা হয় পশুদের সাথে তুলনা। জনসংখ্যা যেখানে আমাদের প্রধান সমস্যা সেখানে জনসংখ্যার নিয়ন্ত্রনের জন্য নেয়া হয়না কোন পদক্ষেপ বরং প্রত্যেকের নয় সন্তান নেয়ার দেয়া হয় পরামর্শ। তারপরও এত অত্যাচার অবিচার অন্যায় সহ্য করে আমরা প্রতিনিয়ত নতুন করে স্বপ্ন বুনি নতুন করে আশা দেখি কিন্তু এই মিথ্যে স্বপ্ন আর কত! নির্বাচনের আগে আমাদেরকে দেখানো হয় হাজারো স্বপ্ন আর নির্বাচনের পরে দেখানো হয় আমাদের কে বৃদ্ধঙ্গুলি। কেউ দেশ বাচাঁও মানুষ বাচাঁও কেউবা দিনবদলের পরিবর্তন বলে সাধারন জনগনের সাথে করে যাচ্ছে প্রতারনা। আজ দেশের মানুষের নূন্যতম নিরাপত্তা নেই তাই বাচাঁর আশাও নেই।
দেশের মানুষের পরিবর্তন হয়নি হয়েছে রাজনীতিবিদের পরিবর্তন। দেশের সাধারন যুব সমাজের কর্মসংস্থান হয়না, করা হয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের কর্মসংস্থান। আমরা এমন গণতন্ত্র চাইনি যে দেশের স্বাধীনতা বিরুধীরা স্বাধীন দেশের পতাকা গাড়িতে লাগিয়ে ঘুরবে রাজপথে। আমরা এমন গণতন্ত্র চাইনি যেখানে ধনী গরিবের মধ্যে থাকবে আকাশ সমান ব্যবধান। আমরা এমন গণতন্ত্র চাইনি যেখানে দেশের অর্থ দিয়ে নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তিদের স্বপ্ন পূরন হবে, আমরা এমন গনতন্ত্র চাই যেখানে জনগনের অর্থ দিয়ে জনগনের স্বপ্ন পূরন হবে। আমরা এমন গনতন্ত্র চাইনি যেখানে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করতে নষ্ট করা হবে জনগনের শত শত কোটি টাকা অথচ চিন্তা করা হবেনা এই অর্থ দিয়ে কত শত পরিবারকে করা যেত সয়ংসম্পূর্ন কত হাজার বেকার যুবকের জন্য করা যেত কর্মসংস্থান। আমরা এমন বুদ্ধিজিবী চাইনি যে দেশের বুদ্ধিজিবীরা হবে সুবিধাবাদী শুধু টিভি টক-শোতেই তুলবে কথার ঝড়, আমরা এমন রাজনিতীবিদ চাইনি যে দেশের তরুন সমাজকে শেখাবে নোংরা রাজনীতি।
তবে আমাদের সাধারন জনগনও এ জন্য দায়ভার এড়াতে পারিনা। আমরা কি সচেতন? আমরা কি যোগ্য প্রার্থী থাকলে তাদেরকে মূল্যায় করি? আমরা কি দেশের সমস্যাগুলো সমাধানে এগিয়ে এসেছি? না আমরা শুধুই কেউ ডাকার জন্য অপেক্ষা করছি অথবা অন্যরা করবে নিজেরা ভোগ করব এই ভেবে চুপ করে আছি আর বসে বসে সরকারকে রাজনিতীবিদের গালা গাল করছি। আমরা কি আমাদের সন্তানদের সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করছি। আমরা আমাদের দেশের জন্য কতটুকু অবদান রাখছি! নকি শুধু এ দেশে জন্ম বলেই এ দেশটা আমার দাবী করছি? আমাদের সত্যিই কি কিছু করার নেই!
দেশের জনগনের এই ক্রান্তি লগ্নে দেশের সাধারন জনগন একটি তৃতীয় শক্তির প্রয়োজন বোধ করছে কিংবা একজন আহমেদ নিজাদ কিংবা একজন মাহাথীরের প্রয়োজন অনুভব করছে। এই দেশটা নির্দিষ্ট কোন ব্যাক্তি বা পরিবার, কোন গোষ্ঠী বা দলের নয়। এই দেশটা দেশের সমস্ত জনগনের এই দেশটা আমাদের সকলের। তাই আমরা তরুন সমাজ প্রমান করব এই দেশে আরো দশটি শক্তি থাকলেও জনগনের চেয়ে বৃহত এবং বড় শক্তি নেই।
কারোর ডাকের অপেক্ষা আর নয়- আর কোন দেরি নয়।
আমাদের কোন নেতার প্রয়োজন নেই। আমাদের কোন নেতা নেই।
আমরা সাবাই একেকজন আহমেদিনেজাদ, আমরা মাহাথীর।
আপনি যদি মনে করেন আপনি একজন সত্যিকারে দেশ প্রেমিক তাহলে আসুন সত্যিকারের গণতন্ত্রের জন্য আমাদের প্রিয় দেশের জন্য এবং আগামী প্রজন্মকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দেয়ার জন্য একটি প্লাটফর্মে দাড়িয়ে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করি।
এই দেশের স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লক্ষ শহীদ জীবন দিয়েছে, তিনলক্ষ মা বোন সমভ্রম দিয়েছে। নূর হোসেন, ডঃ মিলন জীবন দিয়েছে। আমরা কি অন্তত আমাদের জীবনটি এই দেশের জন্য উৎসর্গ করতে পারিনা?
আমাদের এই জীবন উৎসর্গই হবে সমস্ত অন্যায় অবিচার অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সরুপ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর দেশ গড়ার প্রথম পদক্ষেপ।
আমরা এক লক্ষ সত্যিকারের দেশপ্রেমিক দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর দেশ ও গণতন্ত্র উপহার দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকব এবং সর্বধা সবার অগ্রভাগে থাকব। আর কোন দিধা নয় আপনি এগিয়ে আসুন আমরা এক এক করে এক লক্ষ দেশপ্রেমিক হয়ে যাব।
দেশে ও সত্যিকারের গণতন্ত্রের জন্য আপনার জীবন উৎসর্গ করতে- ফেইসবুকের এই পেজটিতে জয়েন করে কমেন্টের মাধ্যমে আপনার জীবন উৎসর্গ করুন এবং পেইজটির সাথে আপডেট থাকুন।
Life for the Real Democracy of Bangladesh (LRDB)
আমরা নির্দিষ্ট কোন দলের জন্য নই। আমরা দেশের ও সত্যিকারের গনতন্ত্রের জন্য, আমরা দেশের জনগনের ও মানবতার জন্য, আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য।
আমরা নিজেদেরকে গড়ব এবং নিজেদের দেশ নিজেরাই গড়ব।
পেইজের লিংকটি ছড়িয়ে দিন।
ব্লগে প্রকাশিত আমার লেখা- মূল পোষ্টের লিংক অথবা লেখকের নাম উল্লেখ পূর্বক শেয়ার কার যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




