হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী রবিবার ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। বিয়ের জন্য একটি অত্যন্ত শুভ দিন। গত ছয় মাসে বিয়ের জন্য শুভদিন না থাকায় অনেকেই ১৬ মে’র রবিবারের অপেক্ষায় ছিল। সেদিন ভারতের কেবল মুম্বাই শহরেই ৫০ হাজার যুগল বিয়ে করেছে। দিল্লিতে সম্পন্ন হয় আরো ৫০ হাজার বিয়ে। এভাবে ভারত জুড়ে অসংখ্য যুগলের বিয়ে সম্পন্ন হয় রবিবার।
এই শুভ কাজ সম্পাদনের জন্য পুরোহিতদের নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। সমস্যা দেখা দেয় বিবাহ বাসর ব্যবস্থা করায়ও। ভোজনের আয়োজন করতেও বেকায়দায় পড়তে হয় বর ও কনে পক্ষকে। এই শুভদিন উপলক্ষে কেনাকাটারও ধুম পড়ে যায়।
একটি বিবাহ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির প্রধান রাহুল শর্মা বলেন, বিপুল টাকা ব্যয় হয় বিয়েতে। দুই-তিন লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোটি পার হয়ে যায় এতে। তবে বিবাহ ব্যবস্থাপকরা পান ২১ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে।
হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব অনুযায়ী বিয়ের কোন শুভ তিথি পাওয়া যায়নি গত ছয় মাসে। তাই বহু পরিবার বিয়ের জন্য রবিবারকে বেছে নেয়। কেন এইদিনই শুভ এবং কীভাবে তা নির্ধারিত হয় তার কোন বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা নেই। তবে হিন্দু ধর্মে এর ব্যাখ্যা আছে। পণ্ডিত বাসুদেব প্রসাদ বলেন, এই দিনে ক্রেতাযুগের শুভারম্ব হয়েছিল। হিন্দু দেবতা নারায়ণ মর্ত্যে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এ জন্যই দিনটিকে শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিন জীবনের যেকোন শুভ কাজ শুরু করা যায় এবং এতে সাফল্য আসে।
কয়েক বছর যাবৎ ভারতে বিয়ে বিচ্ছেদ বাড়ছে। দুই বছরে বেড়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশ। তবে পন্ডিত বাসুদেব প্রসাদ বলেন, অক্ষয়া তৃতীয়ায় বিয়ে করলে দাম্পত্য জীবন ভাঙবে না। সুখ-শান্তিরও অভাব হবে না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



