মেঘদিন ও রবীন্দ্রস্মৃতি বিষয়ক
আমি যার সঙ্গে থাকি তার তূণে ইতিহাস ও
বৃষ্টির স্তূপ । আমৃত্যু ভাড়া নেওয়া হোটেলের
কামরায় চকোলেটরঙের জানালা আর রেলিঙ
বাথরুমে ফুটে-ওঠা থুতু আর কাদার ভেতর
পদ্মপলাশের টলমল জল
জিনসের সুতোর ভেতর রাত্রি ও দিন, গুঁড়ো হয়ে-
ধুলো হয়ে জমে থাকা সিনেমার ফেস্টুন, ছবিঘর।
জিলিপির ফুটপাথে কালো কালো গোল গোল
শান্তপুকুর। দোকানির অনুগত ডাক, দুপুর দুটোর
সাইকেলটায়ারে উঠে আসা পীচ-চটকানো প্রেম
ব্যালকনি থেকে মেলে দেওয়া আকাশগঙ্গা শাড়ি,
সারসতুলোয় মাখামাখি নীল ট্রেন, এরিয়েল
তবু কাল চলে যাব পুনরায় নগর পেরিয়ে, চলে
যাব জলকাদা ঝোপঝাড় মাড়িয়ে মাড়িয়ে। যেইখানে
ঈষৎ কমলারঙ ধ্বংসের বিস্তৃতি। রবীন্দ্রস্মৃতির ধুলো।
মাটি খুঁড়ে যেই স্তূপ─যতটুকু ফুটে আছে সুরকিরঙ
চত্বর, খিলান, সুড়ঙ্গ, ঢালুপথ। কয়েকটি নারিকেল
গাছ, মসৃণ বাতাস গড়ানো সুস্থির সকাল
এইখানে দেখা হবে তার সাথে। ধূসর বর্ণের মাথা,
হাতে হাত। ভাঙা সিংহাসনের হাতলে এক হাত রেখে
নিভু নিভু সূর্য। মাঝে মাঝে শীতল বাতাস, মাঝে মাঝে
বৃষ্টিমার্জিত খুব কনকনে হাওয়া
.........

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



