মৃত মানুষের জন্য দুক্ষগাঁথা লেখা সাজে! কিন্তু কখনো মানুষকে জীবিতের জন্য সে আয়োজন করতে হয়। হয়তো বেমানান লাগে, তবুও…
কোথায়, কোন ভোরে এক কাঠালচাঁপার সাথে দেখা হয়েছিলো আমার । পৃথিবীর প্রথম সকালে যেদিন কৃষ্ঞচূড়া ফুটলো তার খোঁপার জন্য, আমি সেই কৃষ্ঞচূড়াকে দু’হাতে তুলতে গিয়ে দেখি হাতে লেপটে যাচ্ছে রক্তের দাগ ! তুমুল বর্ষায় ভেসে যাচ্ছে নীল নীল রাতজাগা সব সোহাগী চিঠি ।প্রিয় কচুরি ফুলের শরীর চেটে খাচ্ছে ঠিক শাপ না অথচ সাপের মতো দেখতে প্রানী।
একটা অদ্ভুত শহরের সাথে পরিচয় ঘটেছিলো ঘটনাক্রমে । সেখানকার মানুষগুলো ইশ্বরপুত্রের মতোন অন্ধের চোখে হাত বোলালেই খুলে যেতো দৃষ্টি । অথচ আমি সেখানে পৌছানো মাত্র ওদের পবিত্র হাতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ওরা আমার চোখ কেড়ে নিলো । বুকের যে পাশটায় মানুষের স্বপ্ন থাকে বলে কবি অথবা অকবিরা আন্দাজ করেন, সেখানটায় পুরে দিলো আগুনে জ্বলতে থাকা উত্তপ্ত লোহার শিক । আর একটা শকুন আমার মৃত শরীরকে খুবলে খাওয়ার বদলে কেমন বিস্ময়কর ভাবে আবার বাঁচিয়ে তুললো !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




