খবরঃ গনধর্ষণের পর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া ভারতীয় তরুণীর মৃত্যুতে সারাবিশ্বে তোলপাড়। তোলপাড় চলছে ব্লগ-ফেসবুকে। চলছে তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ। কিছু বলার আগে ফিরে যাই কিছু ফ্ল্যাশব্যাকে
ফ্ল্যাশব্যাক ১: ২০০১ সালের ২৩ ডিসেম্বর খিলগাঁওয়ে বিষপানে আত্মহননের পথ বেছে নেয় চারুকলার ছাত্রী সিমি বানু। মৃত্যুর আগে সিমির লেখা একটি চিরকুট তার মৃত্যুর ঘটনাকে আরও মর্মস্পর্শী করে তোলে। চিরকুটে লেখা ছিল খিলগাঁও থানার দারোগা বাশার এবং ৫ বখাটের নাম। এদের প্ররোচনায়ই সে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। উল্লেখ্য পড়ালেখার ব্যয়ভার মেটানো সম্ভব ছিলোনা বলেই বিয়ে সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আলপনা আঁকার কাজ করতো সিমি। এর জন্য মাঝে মাঝেই তার বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত হতো। সিমির বাসায় ফেরার পথে এলাকার বখাটেরা তাকে টিজ করতো। এ নিয়ে সালিস বসলে এলাকার মুরব্বিরা সিমিকে সন্ধ্যার পরে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেন।
ফ্ল্যাশব্যাক ২: খুলনা মহানগরের দৌলতপুর থানার পাবলা এলাকায় ২০০৩ সালের ১৫ এপ্রিল (পয়লা বৈশাখ) বখাটেদের অপমান সহ্য করতে না পেরে ফারজানা আফরিন রুমি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় খুলনাসহ সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর দৌলতপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় আত্মহত্যা প্ররোচনায় জড়িত চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করে। মামলায় আসামি করা হয় এলাকার বখাটে যুবক ও রুমিকে উত্ত্যক্তকারী রনি মোল্লা, তার সহযোগী হাসান, বাবু ও মিজানকে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামিসহ হাসান ও বাবুকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।মিজান পলাতক থাকে।
ফ্ল্যাশব্যাক ৩: ২০০২ সালের ১৭ জুলাই স্কুলছাত্রী সাফিয়া সুলতানা তৃষ্ণার আত্মহত্যা ছিল বহুল আলোচিত ঘটনা। ধর্ষণের গ্লানি থেকে রেহাই পেতে পুকুরে ডুবে মারা যায় সে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মেহেদী, শাহিন ও আরিফের ফাঁসির আদেশ হয়।
ফ্ল্যাশব্যাক ৪: ২০০২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পুঠিয়ার কাঠালবাড়িতে ঘটে যায় আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা। বখাটেদের ধর্ষণের শিকার মহিমা সামাজিক ন্যায়বিচার না পেয়ে বেছে নেয় আত্মহননের পথ। ওই ঘটনায় ৪ ধর্ষকের ফাঁসি ও ৬ অভিভাবকের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। এ ঘটনার কিছুদিন পরই নওগাঁর স্কুল শিক্ষিকা সেলিনাকে একই পথ বেছে নিতে হয়। গ্রামের রেজাউল করিম নামের এক যুবকের ফাঁদে পড়ে তিনি ২০০৪ সালের আগস্টে আত্মহত্যা করেন।
ফ্ল্যাশব্যাক ৫: ২০০৩ সালের ১ অক্টোবর যশোরে স্কুলছাত্রী পারভিন সুলতানা বখাটেদের উত্পাত সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
ফ্ল্যাশব্যাক ৬: ২০০২ সালের ১৯ মার্চ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্কুলছাত্রী সেলিনা আক্তার ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে। স্কুলে যাওয়ার পথে বখাটেরা তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করেছিল।
সিমি, রুমি, তৃষা, মহিমা, পারভিন, সেলিনা......এরপর কে???

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


