প্রথমেই আমাদের টেস্ট দলের নামগুলি দেখে নিই।
১।তামীম ২।নাফীস ৩।নাজিমুদ্দিন ৪। আশরাফুল ৫। মুশফিক ৬।সাকিব ৭। রিয়াদ ৮।নাসির ৯। নাঈম ১০। শুভ ১১। সানি ১২। রুবেল ১৩। নাজমুল ১৪। শাহাদাত ১৫। রবিউল click this link
এবার মূল একাদশ কেমন হতে পারে সেটা দেখি।
১। অটোমেটিক চয়েস তামিম।
২। নাফীস
৩। যদি আশরাফুল এবং নাজিমুদ্দিন এর মধ্যে একজন কে নিতে হয় তাহলে আমার পছন্দ আশরাফুল। টেকনিক , অভিজ্ঞতা, ক্রিকেটীয় সামর্থ্য সব দিক থেকেই সে এগিয়ে। (এখানে যদি শব্দটা লাগানোর কারন পরে বলছি)
৪। মুশফিক। অধিনায়ক হওয়ার পর ও এই পজিশন এই খেলছে এবং ওর এখানেই নিয়মিত ব্যাট করা উচিত বলে মনে করি।
৫। সাকিব
৬। রিয়াদ
৭। নাসির। নাসির এরই মধ্যে বেশ ভাল কয়েকটা ইনিংস খেলেছে। কিন্তু এখনই ওকে আরও উপরে ব্যাটিং এ পাঠানোর পক্ষে আমি নই। ও যত রানই করুক না কেন ওকে ক্রিজে বেশ সাবলিল দেখায়। যেটা আমাদের অনেক ব্যাটসম্যান এর মধ্যেই দেখা যায়না।
৮। সাকিব যে শুধু আমাদের অন্যতম প্রধান একজন প্লেয়ার তা নয় ওর কারনে আমাদের টিম কম্বিনেশন এর ব্যাপারটাও অনেক সহজ হয়ে যায়। যার উদাহরন হল ৮ নাম্বার পজিশন। অন্যান্য দেশের টেস্ট দলে ৮ নাম্বারে যেখানে আমরা একজন পুরোদস্তুর বোলার দেখি সেখানে সাকিব এর কল্যাণে আমরা সেখানে একজন অলরাউণ্ডার খেলাতে পারি। কারন সাকিব আমাদের অন্যতম প্রধান বোলারও বটে। এখন অলরাউণ্ডার হিসেবে শুভ এবং নাঈম এর মধ্যে আমার পছন্দ নাঈম। কারন ব্যাটিং এর কথা চিন্তা করলে নাঈম, শুভ অপেক্ষা ভাল বলে মনে করি।
এবার নাজিমুদ্দিন এর বেপারটাতে আসি। ওখানে ‘যদি’ লাগানোর কারন টিম কম্বিনেশনটা একটু অন্যভাবে চিন্তা করলে নাজিমুদ্দিন এবং আশরাফুল দুই জনই মূল একাদশে থাকতে পারে। নতুন বলে আমাদের ব্যাটসম্যানরা প্রায়শই চোখে সর্ষে ফুল দেখে এবং পাকিস্তানের স্পিন বিভাগ যথেষ্টই মানসম্পন্ন। সেদিক থকে চিন্তা করলে আমাদের মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের যেন নতুন বল ফেইস করতে না হয় এবং যখন স্পিনাররা বল করতে আসবে তখন যেন তারা ক্রিজে থাকে সেই চিন্তা করে ৮ নাম্বারে কোন অলরাউণ্ডার না খেলিয়ে আমরা ৩ নাম্বারে নাজিমুদ্দিনকে নামাতে পারি। আর সে তো টপ অর্ডারেই ব্যাটিং করে। সেক্ষেত্রে আশরাফুল থেকে নাসির পর্যন্ত সবাই এক ধাপ নিচে ব্যাট করবে।
তবে আমার ব্যক্তিগত ধারনা নির্বাচক কমিটি ২য় কম্বিনেশন এ যাবে না। অর্থাৎ ৩ এবং ৪ এ নাজিমুদ্দিন এবং আশরাফুল কে খেলানো হবে না ।যদি যান তাহলে দুটি প্রশ্নের অবতারণা হবে।
ক। নাঈম এবং শুভ কে দলে রাখার যৌক্তিকতা কি?
খ। এই দুজনের জায়গায় জেনুইন কোন ব্যাটসম্যান ( রকিবুল, জুনায়েদ, শুভাগত, অমি এদের মধ্যে যেকোনো দুই জন) কেন নেওয়া হল না? তাহলে নাম্বার ৩ এবং ৪ এ আমাদের অপশন আরও বাড়ত।
৯। সানি
১০। রুবেল
১১। রবিউল, নাজমুল, শাহাদাত এর মধ্যে আমার আপাতত পছন্দ নাজমুল কে। শাহাদাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর সাথে যে স্পীডে বল করল তাতে তাকে আর পেসার বলা যাচ্ছেনা। রবিউল এর বোলিং স্পীড ও কম। তবে ওর বলে সুইং করে। পিচে আর্দ্রতা থাকলে ওকে নেওয়া যেতে পারে। তারপরও আমার পছন্দ নাজমুলই থাকবে। অন্য দুজন থেকে স্পীড বেশি এবং কালে ভদ্রে সুইং ও করাতে পারে।
আমাদের অধিনায়ক মুশফিক এর প্রতি রইল বিশেষ শুভকামনা। কারন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিরুদ্ধে খুব একটা দেখা না গেলেও পাকিস্তানের সাথে এই সিরিজে তার উপর অধিনায়কত্তের চাপ বেশ লক্ষণীয় ছিল। গতকালের ম্যাচে ১ম অর্ধ ৩০ মিনিট আগেই শেষ হয়ে গেলে আমাদেরকে তখনি ব্যাটিং এ নামতে হবে এটা সহজেই অনুমেয় ছিল। কিন্তু তারপরও আম্পায়াররা যখন মুশফিককে এ বিষয়ে বলছিল তাকে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়তে দেখলাম। একজন অধিনায়কের মুখে এত সহজেই চিন্তার ছাপ আসা উচিত না বলেই মনে করি। আর মুশফিক আমাদের দলের মধ্যে একজন সাউন্ড টেকনিক এর ব্যাটসম্যান বলেই পরিচিত। কারন অন্য সকলের চেয়ে ও সোজা ব্যাটে খেলে বেশি। কিন্তু কালকের ম্যাচে ও নামতে না নামতেই ক্রস ব্যাটে ( লেপ সুইপ ) খেলতে গিয়ে আউট হয়। যা ওর ধাচের সাথে যায় না।
পরিশেষে আমাদের টিম এর প্রতি শুভকামনা জানিয়ে শেষ করছি।