গত ১ ও ২ অক্টোবর ২০০৯ দৈনিক আমাদের সময় মিয়ানমার পারমানবিক এবং সামরিক শক্তি অর্জনের বেশ কয়েকটি খবর ও প্রতিবেদন বেশ গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক জনাব নাইমুল ইসলাম খান সরকারের নির্ভরযোগ্য সুত্রের বরাত দিয়ে ‘মিয়ানমার বিষয়ে সাবধান!’ শিরোনামে একটি তথ্যবহুল লিড নিউজ করেছেন। প্রতিবেদন গুলোতে বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি ও তথ্য মোতাবেক, মিয়ানমার সামরিক শক্তির কাছে বাংলাদেশ নাকি একদিনও টিকে থাকতে পারবে না। প্রসঙ্গত: প্রশ্ন হচেছ, এত দিন পরে কেন এটা বোঝা গেল? স্বাধীনতার পুর্ব থেকে আজ পর্যন্ত দেশের একটি গোষ্ঠী বলে আসছে ‘দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে, দেশটা ভারত নিয়ে গেল’। স্বাধীনতাত্তোর থেকে অদ্যাবধি আর একটি গোষ্ঠী বলছে ‘দেশটাকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেললো’। এই ভারত পাকিস্তানের ধুঁয়া তুলে যে সব রাজনীতিবিদরা মুখে ফেনা তুলেছেন, তাদের উভয় পক্ষই দেশ পরিচালনা করেছেন এবং করছেন। নির্বাচনের আগে তাদের দেশ প্রেম বৃদ্ধি আর ক্ষমতায় গেলে দেশের স্বার্থ ভুলে যাওয়া এখন দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার।
লক্ষ্যনীয় বিষয় হচেছ, সরকারের কোনো মন্ত্রী কিংবা সামরিক বাহিনীর কোনো পদস্থ কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত কোনো ভাবে মিয়ানমার বিষয়ে দেশবাসীকে কিছু বলেননি। কোথায় আমাদের সেই দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী? দেশের মানুষ জানতে চায়। গত আটত্রিশ বছরে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল, বিউগল বাজিয়ে কুচকাওয়াজ আর জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে যাওয়া আসা ছাড়া তারা আর কি পেশাগত উন্নতি দেখাতে পেরেছে?
গত কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন আব্দুল জলিল ইস্যুতে বেশ সরগরম। সরকারের অবস্থা যখন বিব্রতকর। ঠিক তখনই কেন ব্রম্মা দেশের যুযুর ভয় এসে হাজির হলো? ইতিপুর্বে দেখা গেছে ভারত, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সরকার যখন অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে বেকায়দায় পড়ে ঠিক তখনই সীমান্ত সমস্যাকে সামনে নিয়ে এসে মিডিয়ার হেড লাইন করে। তবে কি এখানেও চিন্তার অবকাশ আছে? যেহেতু মিয়ানমার বিষয়ক খবরটি সরকারী সুত্রের সেহেতু কারো কারো মনে প্রশ্ন জাগে, এটি আব্দুল জলিলের ইস্যুটিকে চাপা দেওয়ার জন্য সরকারের রাজনৈতিক কৌশল কি না?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



