Goal! The Dream Begins
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
স্বপ্ন ছোঁয়া যায় , তা ধরে রাখা কি সম্ভব ? আবেগ ভালোবাসা কষ্টের নন্দনশৈলী ঘিরে বেড়ে ওঠা ছবির গল্প । ১১৮ মিনিটের ইংরেজি ও স্পেনিশ ভাষার চলচ্চিত্র Goal! The Dream Begins মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। স্বপ্ন দেখা এক তরুণের ফুটবলার হয়ে ওঠার জীবন নিয়ে আবর্তিত মুহূর্তগুলোর অবেচ্ছেদ্য অংশ ফুটে ওঠেছে ছবির ফ্রেমে । মাইক জেফ্রির গল্প অবলম্বনে ছবির কেন্দ্রীয় সান্তিয়াগো মুনেজ চরিত্রে অভিনয় করেছে কুনোবেকার,ছবিটি পরিচালনা করেছেন পরিচালক ড্যানি কেনন ।
একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের আবেগ ধরা পড়েনা প্রায়সময় তার পরিবারের কাছে । পরিবার প্রায়সময় চায় ছেলেটা লেখাপড়া করুক কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের ভেতরের আবেগ একমাত্র খেলোয়াড় নিজেই বুঝতে পারে । একজন স্ট্রাইকার যখন তার পায়ের ছোঁয়ায় বলটিকে সামনের দিকে নিয়ে ছুটে চলে তখন মনে হয় যাবতীয় স্বপ্নগুলো সেই বলের সাথে ছুটে চলছে । কি আবেগ কি বিষাদ সব যেন মাঠের ওই বলটির মধ্যেই আছে । একটি গোল দেয়ার অনুভূতি কতটা ছুঁয়ে যায় গোল দেয়া খেলোয়াড়টিকে তা সেই মানুষটা ব্যতিত কেউই উপলব্দি করতে পারেনা । বল ছুটে চলে সাথে স্বপ্ন ছুটে চলে, আর তার স্বার্থক রুপ পায় বিপক্ষে দলের গোলপোস্টে যখন বলটি যায় । একটি গোল একটি মুহূর্তের অনুভূতি, মাঠজুড়ে দর্শকের করতালি কিন্তু সেই একটি গোল দিতে কিংবা এ অবস্থানে আসতে যে কাঠখোর পোড়াতে হয় খেলোয়াড়টিকে তা কতজন জানে ? পিছনের গল্পেরও আরও অনেক পিছনে থেকে যায় আরও পেছনের গল্প । সেই গল্পে তিক্তটাই বেশি ফুটে থাকে ।
Goal! The Dream Begins একটি স্বপ্নের শুরু হওয়ার গল্প । এক তরুণের গল্প নিয়ে ছবির গল্প । যেখানে ছুটে চলা বলের সাথে ছুটে চলে তরুণের ফুটবলার হয়ে ওঠার স্বপ্ন । আবেগ-ভালোবাসা সব ফুটবল কেন্দ্রিক তরুণ সান্তিয়াগো’র । যার বাবা চায় না সে এ ফুটবল খেলার জীবনটা বেছে নিক , কিন্তু অদম্য ইচ্ছা তার সে একদিন বড় ফুটবল দলে খেলবে । স্বপ্ন মানুষ দেখেইতো স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্যে , তাই তরুণ সান্তিয়াগো ছুটে চলে তার স্বপ্নের সাথে দুর্নিবার গতিতে । এ জীবনে স্বপ্ন ঘুরে দুই দলের একটি বলকে ঘিরে , আর কাংখিত গোল দিয়ে যে দল এগিয়ে থাকতে পারে শেষ বাঁশি বাজার আগে সেই দলই বিজয়ী । সেই দলই স্বপ্ন ছুঁতে পারে, সে দলের খেলোয়াড়রাই পারে মানুষের কাছে কিংবদন্তী হয়ে উঠতে । সান্তিয়াগো স্বপ্নচারী ফুটবল জগতের মানুষ , যার অস্তিত্বে রক্তে ফুটবল মিশে গেছে । সেখানে তার ধ্যান-জ্ঞান যাবতীয় ভালোবাসা গোল এ ফুটবল ।
ম্যাক্সিকান পরিবার হারনান মুনেজের বড় ছেলে সান্তিয়াগো , তার ইচ্ছে তার পরিবারের হাল ধরবে একসময় তার বড় ছেলে । কিন্তু ফুটবল খেলা পাগল এই ছেলে শহরের এক স্থানীয় ক্লাবে খেলে । তার স্বপ্ন একদিন ফুটবল দল নিউক্যাসেলে খেলবে , তার দাদী ভাই তার খেলা দারুণভাবে উপভোগ করে , তার বাবার কাছে সে অপাংক্তেয় এজন্যে । কিন্তু এ ফুটবলারের ভাগ্যে তাহলে আসলে কি হয় ? সে কি নিউক্যাসেলের জার্সি গায়ে নিয়ে খেলতে নামবে নাকি মাঝপাথে এ বড় আসরের জগত থেকে চলে আসতে হবে ? বল যেভাবে ছুটে চলে তার পায়ের জাদুতে তেমনি ছবির গল্পতেও জাদুর অবস্থান কি হবে ? আসলে কি সে সেই এগারোজন খেলোয়াড়ের মধ্যে সেই সৌভাগ্যবান খেলোয়াড় হতে পারবে যার পায়ের ছোঁয়ায় গোল হবে , যে হয়ে উঠবে মানুষের কাছে কিংবদন্তী খেলোয়াড় ।
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্মৃতিপুড়া ঘরে
বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন