somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপি ঘরানার বুদ্বিজীবি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য ও নিকট অতীতের কিছু কর্মকান্ড ।

১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর বদান্যতায় স্বাধীনতার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। এবং সে ছিল বঙ্ঘবন্ধুর একজন প্রিয়পাত্র। অথচ এই তিনি খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টা এবং আমরা প্রায়ই দেখি টেলিভিশনে বয়াতির মত মাথা দুলিয়ে খালেদা জিয়াকে নানা উপদেশ দেন।
আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা সীমাব্দ্বতা আছে কিনত এই সীমাব্দ্বতার মধ্যেও তারা সাম্প্রতিক সময়ে যে পারফর্মেন্স দেখিয়েছে তা দেশে বিদেশে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। গুলশানে মাত্র ১২ মিনিটে কোন ক্যাজুয়ালিটি ছাড়া জঙ্ঘীদের যেভাবে পরাস্ত করেছেন আর শোলাকিয়ায় মূল ঈদগাহে মাঠে আক্রমণের প্লান দুজন পুলিশ সদস্যের জীবনের বিনিময়ে যেভাবে রুখে দিয়েছেন তা সত্যিই অভাবনীয় সাফল্যের দাবী করতে পারে। ভেবে দেখুন তো যে গ্রেনেডের আঘাতে দুজন পুলিশ মারা গেল জঙ্গিরা যদি সেটা ঈদগাহ মাঠে বিস্ফোরণ ঘটাতে সমর্থ হত কত লোক মারা যেত। শুধু গ্রেনডের আঘাতে নয় বিস্ফোরণের শব্দে যে প্যানিক সৃষ্টি হত তাহলে লক্ষ লোকের সমাবেশে পদদলিত হয়ে কত লোক মারা যেত ? বিচিত্র কিছু নয় গত হজ্বের চাইতেও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার যে যেখানে আছ গুলশানে হাজির হাজির হও রেডিও বার্তা পেয়ে বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন গুলশান ট্রাজেডির দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। নিজের জীবনের বিনিময়ে সে জঙ্গিদের পালিয়ে যাওয়া রুখে দেন। অথচ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বনানী থানার ওসি কেন গুলশান থানায় গেল সমালোচনা করে এবং ওসির মরণোত্তর বিচার দাবী করে। কতটা অসভ্য অভব্য ইতর হলে একজন সাহসী পুলিশ অফিসারের মরণোত্তর বিচার দাবী করতে পারে? জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নিকট অতীতের কিছু কর্মকান্ডের দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝা যাবে তার পুলিশের সমালোচনা হঠাৎ কোন মুখ ফসকে যাওয়া বেফাঁস উক্তি নয় ।
জামাতের নিয়োগ করা লবিস্ট সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ জানিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে গত বছর ১০ই জুন জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এজলাসে আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টা দাড় করিয়ে রাখেন ট্রাইব্যুনাল-২। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই দিনই জাফরুল্লাহ এজলাসে সাজা ভোগ করলেও অথর্দণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় ২৮ জুলাই তাঁর সাজা বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
আরও একবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে টকশো’তে বিরুপ মন্তব্য করায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহসহ চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের বিরুদ্ধে জারি করা আদালত অবমাননার অভিযোগে কারণ দর্শাও নোটিশ প্রেরণ করেন। পরে এর শুনানিতে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন মন্তব্য করেন “আপনারা তো জানেন না, খোঁজ রাখেন না। না জেনেই মন্তব্য করে ফেলেন। না জেনে কোনো কথা বলবেন না। আপনারা জ্ঞানী লোক, আমরা আপনাদের সম্মান করি। আপনাদের কথা মানুষ শোনেন এবং অনুসরণ করেন। টকশো’র কথা উল্লেখ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ সময় আরো বলেন, আপনি ওইখানে উল্লেখ করেছেন ‘হাসনাইন নামের জজ সাহেব’ সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র বিচারপতিকে কি এভাবে সম্বোধন করতে পারেন? এছাড়া বলেছেন ‘আমাদের মোজাম্মেল সাহেবের কাছে আবেদন করেছেন’ আপনি আপনার ড্রয়িংরুমে এভাবে বলতে পারেন। কিন্তু প্রকাশ্যে দেশের প্রধান বিচারপতিকে এভাবে সম্বোধন কিভাবে করেন? উনি কি আপনার ক্লাসমেট?”
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর ফরহাদ মাজহার নাস্তিক হয়েও জঙ্গি জামাতের যে আনুকল্য পায় তাদের এই সমস্ত জঙ্গি তোষণ মন্তব্যের কারণেই ।
প্রকৃত পক্ষে জামাতের মিলিয়ন ডলারের জালে আটকে পড়া এই বুদ্বিজীবি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এই ধরনের অভদ্র মন্তব্য আমাদের পু্লিশ বাহিনীর নৈতিক মনোবল কে দূর্বল করবে পক্ষান্তরে জঙ্গিদের উৎসাহিত করবে। জামাত বিএনপি চায় দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে এবং দেশের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। এই সমস্ত বুদ্বিজীবিরা অত্যন্ত সুচতুর ভাবে জামাত বিএনপি তথা জঙ্গিদেরই পারপাস সার্ভ করছে।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:২৭
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×