সবাই তো ১৮+ পোস্ট দেয় তাই ১৮- বিশেষত যদি কেউ ডিপ্লোমা বা ৯-১০ম শ্রেণীর কেউ থাকে তাদের জন্য:
জারন ও বিজারন একই সাথে ঘটে – ব্যাখা কর।
অথবা
জারন ও বিজারনের ইলেকট্রনীয় মতবাদ -ব্যাখা কর।
উত্তরঃ
আধুনিক সংজ্ঞানুযায়ী,
যে বিক্রিয়ায় কোনো রাসায়নিক সত্তা (অণু, পরমাণু, মূলক, আয়ন) ইলেকট্রন দান করে তাকে জারন এবং যে বিক্রিয়ায় কোনো রাসায়নিক সত্তা (অণু, পরমাণু, মূলক, আয়ন) ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারন বলে।
যেমন- সোডিয়াম এবং ক্লোরিন বিক্রিয়া করে সোডিয়ামক্লোরাইড উৎপন্ন করে।
2Na + Cl2 2NaCl
Cl2 2Cl ……(1)
Na Na+ +e- (জারন বা ইলেকট্রন দান)……(2)
Cl + e- Cl- (বিজারন বা ইলেকট্রন গ্রহন)
(2)×2+1 :
2Na+Cl2 2Na+Cl- বা 2NaCl
এ বিক্রিয়ায় সোডিয়াম পরমাণুর সাথে ঋণাত্মক ক্লোরিন সংযুক্ত হয়েছে অর্থাৎ সোডিয়ামের জারন ঘটেছে। আবার ক্লোরিন পরমাণুর সাথে ধনাত্মক সোডিয়াম যুক্ত হওয়ায় বিজারন ঘটেছে।
সোডিয়ামের ২টি পরমাণু একটি করে ইলেকট্রন দান করে ২ টি ধনাত্মক সোডিয়াম আয়ন এবং ১টি ক্লোরিন অণুর ২ টি পরমাণু একটি করে ঐ ইলেকট্রন গ্রহন করে ২ ঋণাত্মক ক্লোরিন আয়নে পরিণত হয়। আমরা জানি আয়ন বস্তুর একটি অস্থিতিশীল অবস্থা।তাই ধনাত্মক সোডিয়াম আয়ন এবং ঋণাত্মক ক্লোরিন আয়ন পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে সোডিয়ামক্লোরাইড যৌগ গঠন করে।
অর্থাৎ জারন বিজারন হচ্ছে একটি বিক্রিয়া সংঘটিত করার জন্য রাসায়নিক সত্তার ইলেকট্রন আদান প্রদান করার ঘটনা। যেহেতু কোনো রাসায়নিক সত্তার ইলেকট্রন দান করাকে জারন এবং ইলেকট্রন গ্রহন করাকে বিজারন বলে সুতরাং বলা যায় জারন বিজারন যুগৎপত অথবা একই সাথে ঘটে।
এই মতবাদই জারন ও বিজারনের ইলেকট্রনীয় মতবাদ নামে পরিচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



