আমার জবটা খুবই মজার। সারাদিন পেপার পড়ি, রিডিং লিখি আর প্ল্যান্ট সেফটি মুডে চলে গেলে সবার সাথে ছোটাছুটি করি। সকালে মাঝেমাঝে রিপোর্ট করতে হয় দুইজন মিলে এটাই যা কষ্ট থেকে বিরক্তির কাজ। কারণ অনেকসময় একজন ভুল করলেও দুইজনকেই ঝাড়ি খেতে হয়। আমার প্রথম ঝাড়ি খাওয়া এই রিপোর্টের জন্যে। আমার সহকর্মী ভুল করলেও যেহেতু আমারও ডিউটি তাই শোনতে হল
" চোখ কোথায় থাকে?" এরপর আর কখনও ঝাড়ি খেতে হয় নাই।
যাই হোক আজকে একটা মিটিং ছিল। যেহেতু সবচেয়ে জুনিয়র তাই আমাদের সাধারনত যেতে হয়না। কিন্তু আজকে এমডি স্যার নাকি সবাই কে আসতে বলেছেন।
আমি একটু পরে যেয়ে দেখি আমাদের দুজন স্যার এমডিস্যারের সামনে দাড়িয়ে আছেন, ঠিক স্কুলে পড়া না পারলে যেভাবে সবাই দাড়ায় ঠিক সেভাবে দাড়িয়ে আছেন। দেখেই হাসি পাচ্ছিল।
এরপরে বুঝা গেল স্যার সবাই কে দাড় করাচ্ছেন আর ঝাড়ি দিচ্ছেন, এক স্যার কে ঝাড়ি দিলেন মাথায় ক্যাপ পরে আসার জন্য, আর একজন কে আইডি কার্ডের জন্য।
আমরা নাকি কেপি ওয়ান ( মানে কি ? আমি কিন্তু জানি না ) বা এই টাইপের কিছু, তাই আইডি লাগে আরও কত কিছু।
সোজাবাংলায় ভয়াবহ কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার। মাঝে অফিসে যেতে হল। পরেরবার আমার সাথে এক ভাইয়া ঢুকলেন , তাকেও ঝাড়ি , ফরমাল ড্রেস না পরার জন্য। আমিতো আল্লাহ কে ডাকতেসি, কারন আমি আইডি কার্ড নিয়ে আসলেও গলায় ঝুলাইনি, আমার মনে হচ্ছে ঝাড়ি খেয়ে আমি হেসে না ফেলি। যাই হোক নতুন বলে নামধাম , কোথায় পড়াশুনা এগুলা জেনে আর কিছু বললেন না। এর পরে বললেন "আপনারা চা খান, আপনাদের অনেক কিছু বলেছি। "
হঠাৎ একস্যার বলে ফেললেন " অনেক কিছু খেয়েছি এখন চা খাই কেমন করে?", একথা শুনে সবাই হেসে ফেলল, আর পরিবেশটা অনেক সহজ হয়ে গেল।
আসলে ঝাড়ি খাওয়া খুব একটা খারাপ না , কি বলেন আপনারা?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১২ রাত ৮:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



