somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Granchester Meadow

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক্যামব্রিজ শহরের উপকন্ঠে অবস্হিত ছোট্ট একটা গ্রাম গ্রানচেস্টার। হেঁটে গেলে আমার আগের অস্হায়ি নিবাস, নিউনহ্যাম এলাকা থেকে মাত্র ২০ মিনিটের পথ আর সাইকেলে ১০ মিনিটের মত। ছায়া সুনিবিড়, শান্ত-সমাহিত, সবুজে মোড়া একটা জায়গা, যার কোল ঘেঁসে প্রবাহিত হয়েছে river Cam (আদি নাম Granata) । আমি অবশ্য একে ‘নদী’ বলতে নারাজ – নদীমাতৃক জন্মভূমি বাংলাদেশের বড়জোর একটা খালের সমান হবে প্রশস্তে, তবে আমাদের খালের তুলনায় বেশ কিছুটা দীর্ঘ। মানতে দ্বিধা নেই – এই কলেজ-সর্বস্ব, প্রাচীন শহরে এই নদীখানা বড়ই আরাধ্য, প্রাণবণ্ত। বিষণ্ণ একলা দুপুরে এর তীর ঘেঁসে হাঁটলে মন অনেকটাই ভাল হয়ে যায়।

সপ্তাহ শেষে, বিশেষত নিদাঘ গ্রীষ্মে আস্তা শহরের মানুষ, যাদের বেশীর ভাগই ক্যামব্রিজের বিভিন্ন কলেজ়ে পড়া তরুণ-তরুণী, গ্রানচেস্টারের দিকে ছোটে – পায়ে হেঁটে, সাইকেলে, কিংবা ছোট ছোট নৌকায় (Punt অথবা Kayak)। Punting এখানে খুব জনপ্রিয়, প্রায় সব কলেজেরই নিজস্ব নৌকা আর ঘাট আছে। শহরের মধ্যে থেকে গ্রানচেস্টার পর্যন্ত নৌকাভ্রমন সবচেয়ে বেশী আনন্দদায়ক হয়। সপ্তাহ শেষে তাই Cam এর তীর ঘেঁসে হাঁটলে পরে শোনা যায় নৌকাভর্তি প্রাণবন্ত তারুণ্যের কোলাহল। অনেক tourist বা বুড়ো-বুড়িও এ আনন্দে যোগ দেয়, তবে তাদের নৌকা বলাই বাহুল্য chauffeur –চালিত। যাত্রাশেষে গ্রানচেস্টারের সবুজ চারনভূমি (Granchester Meadows)-তে নেমে পিকনিক করে এরা – সবুজ প্রকৃ্তির কোলে, ঘাসের বিছানায় শুয়ে অনেকে পুরো দিনটাই পার করে।

আগ্রহী দের জন্য গ্রানচেস্টারে একটা resort এর মত করা আছে যেখানে চাইলে পানাহার বা রাত্রিযাপন সম্ভব। আরও আছে একটা বড় orchard আর ছোট্ট একটা সংরক্ষনশালা, অনেক নামি-দামি ব্যাক্তিদের লেখা বা ছবি দেখতে পাওয়া যায় সেখানে। এদের অন্যতম হলেন কবি Rupert Brooke এবং লেখিকা Virginia Woolf। Rupert Brooke এর গ্রানচেস্টার নিয়ে লেখা কবিতাটির (The Old Vicarage, Grantchester) কয়েকটি লাইন পড়লেই এর প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্যের কিছুটা স্বাদ পাওয়া যায়ঃ

‘Just now the lilac is in bloom,
All before my little room;
And in my flower-beds, I think,
Smile the carnation and the pink;
And down the borders, well I know,
The poppy and the pansy blow . . .
Oh! there the chestnuts, summer through,

Beside the river make for you
A tunnel of green gloom, and sleep
Deeply above; and green and deep
The stream mysterious glides beneath,
Green as a dream and deep as death.
---Oh, damn! I know it! and I know
How the May fields all golden show,
And when the day is young and sweet,
Gild gloriously the bare feet
That run to bathe . . . Du lieber Gott!’

উইকিপিডিয়ামতে (বা স্হানীয় ইতিহাসেও)গ্রানচেস্টার থেকে পৃথিবীর বেশীরভাগ নোবেল বিজয়ীরা বেড়িয়ে গেছেন। আমাদের রবিঠাকুরও এঁদের মধ্যে আছেন। আমার এবং অনেকেরই প্রিয় Pink Floyd এর জন্ম এই ক্যামব্রিজে। সর্বকালের অন্যতম সেরা লীড গিটারিস্ট ডেভিড গিলমর (David Gilmour)এর বাবা ছিলেন এখানকার zoology বিভাগের নামকরা প্রফেসর। ব্যান্ডটির অন্যান্য সদস্যরাও- Syd Barrett, Nick Mason এবং Roger Water এখানকার বিভিন্য স্কুলে পড়াশুনা করতেন, যখন কিনা ব্যান্ডটির জন্ম হয়। এদের কথা এজন্যই বলছি কারন এদের একটা অনবদ্য সৃস্টি, Pastoral ballad হল ‘ Granchester Meadows’ (http://www.youtube.com/watch?v=vfZPNQPNw-U) যা শুনলে গ্রানচেস্টার রূপ, রং, গন্ধ, শব্দ – সবকিছুরই স্বাদ পাওয়া যায়। অলস অবসরে তাই Roger Water এর অনবদ্য গিটার plucking আর পাখ-পাখালির শব্দে প্রায়ই হারিয়ে যাই গ্রানচেস্টারে:

‘Hear the lark and harken to the barking of the dog fox
Gone to ground.
See the splashing of the kingfisher flashing to the water.
And a river of green is sliding unseen beneath the trees
Laughing as it passes through the endless summer
Making for the sea.

In the lazy water meadow I lay me down.
All around me golden sun flakes settle on the ground.
Basking in the sunshine of a bygone afternoon
Bringing sounds of yesterday into this city room’


১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মৌলবাদ: ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যর্থ প্রযুক্তি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১




মজার বিষয়—

আজকের মৌলবাদীরা রোকেয়া বেগমকে মুরতাদ ঘোষণা করে বুক ফুলিয়ে হাঁটে, অথচ নিজেদের অস্তিত্ব টিকেই আছে যাদের ঘৃণা করে— সেই “কাফেরদের” বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে। ইতিহাস পড়লে এদের বুকফুলা হাওয়া বের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতী এখন পুরোপুরিভাবে নেতৃত্বহীন ও বিশৃংখল।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩



শেরে বাংলার নিজস্ব দল ছিলো, কৃষক প্রজা পার্টি; তিনি সেই দলের নেতা ছিলেন। একই সময়ে, তিনি পুরো বাংগালী জাতির নেতা ছিলেন, সব দলের মানুষ উনাকে সন্মান করতেন। মওলানাও জাতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাময়িক পোস্ট

লিখেছেন আরোগ্য, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬



ওসমান হাদী অন্যতম জুলাই যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, স্পষ্টবাদী কণ্ঠ, প্রতিবাদী চেতনা লালনকারী, ঢাকা ৮ নং আসনের নির্বাচন প্রার্থী আজ জুমুআর নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×