
যেখানেই যাই বই এবং বইয়ের দোকানে ঢু দেয়া আমার জন্য খুব স্বাভাবিক! নিজে লিখি, পড়ি এবং নামের শেষে প্রকাশক তকমাও যেহেতু আছে তাই এটা আমার জন্য রুটিন ওয়ার্কই বলা যায়।
এবার টোকিও যাবার পর একদিন জুয়েল ভাইয়ের সঙ্গে আমরা শিনজুকু এলাকায় ঘুরাঘুরি করতে গেলাম।
এক পর্যায়ে গেলাম সেখানে বিখ্যাত এক বইয়ের দোকানে
রাজ্যের বই সেখানে।
প্রতিটি সেকশন আলাদা করে রাখা। দেশ বিদেশের নানা ভাষার বই ছিলো সেখানে। আমরা সবাই ঘুরে ঘুরে দেখলাম। আমাদের সাথে ছিলেন শ্রদ্ধেয় সলিমুল্লাহ খান। তিনি কয়েকটি বই সংগ্রহ করলেন। আমরা কেউ কিনিনি কারণ বেশ দাম। বই ধরলেই ১৭/১৮ ডলার বা তারও বেশী। আমরা গরীব মানুষ এতো দামে বই কেনার সামর্থ্য নেই তাই দেখেই শান্তি।
আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখানের বইয়ে মান, প্রচ্ছদ, ভেতরের পাতার ইলাস্ট্রেশন বাইন্ডিং দেখলাম। এতো নিখুঁত আর পরিপাটি করে প্রতিটি বই বানানো যে বিস্মিত হলাম। একটা ভাজ নেই, কোথাও কোন ভুল নেই।
আমার বাচ্চাদের কথা মনে হলো। তারা এই বই পেলে দোকান থেকে তাদের নিয়ে আসা মুশকিল হতো। দোকানে বসেই পড়ার ব্যবস্থা আছে।
বই ছাড়াও সেখানে ছোট ছোট স্যুভেনির রয়েছে।
আছে ম্যাগাজিন। সহ নানা আইটেম।
জাপানে বইয়ের দোকান ছাড়াও সাধারণ চেইন শপগুলিতেও বইয়ের আলাদা সেকশন আছে। তেল নুন খাবার দাবারের পাশাপাশি কিনতে পারেন বইও। এই বিষয়টিও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। চলতি পথে বেশীরভাগ মানুষ যদিও মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রাখতে অভ্যস্ত কিন্তু আমি অনেককে দেখেছি বই পড়তেও। বইয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা রয়েছে।
টোকিও বইমেলা ২০১৯ এ আমাদের এক রঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনীর স্টলে এসে অনেক জাপানীকে বানান করে করে বাংলা পড়তে দেখেছি আমি। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে বাংলা শিখছেন বেশ বোঝা যায়।











প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে দেয়া আমার পোষ্ট
টোকিও বইমেলা নিয়ে বিস্তারিত পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




