somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুড়ির ফুড ব্যাংক টিমের প্রথম প্রচেষ্টা!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গতোকাল রাত সাড়ে এগারটায় ফোন পেলাম। একটি আয়োজনে প্রায় ১০০ বেশী মানুষের খাবার বেঁচে গেছে! আমাদের সাথে তারা যোগাযোগ করেছে খাবারগুলো সংগ্রহ করা যায় কিনা! আমরা ফোন পাবার পর আরো ৩ট অর্গানাইজেশনের সাথে যোগাযোগ করলাম। তাদের কোন টীম পাঠাতে পারবে কিনা জানতে।

একটি সংস্থার লোকজন কুমিল্লা। তারা নিতে পারছে না। অন্য একটি সংগঠনের একটি টিম ব্যস্ত। অন্য ভলান্টিয়াররা এভেইলএবল না। তাছাড়া রাত বাজে ১২টা। ওয়েদার খারাপ।
বুলবুল এর প্রভাবে রাত নেমেছে আগেই আজ। দিনভর টিপটিপে বৃষ্টি। কেউ নেই আশেপাশে।
তারপর জানালাম আরো একজনকে। তারা সময় নিলো।
রাত বাজে ১২-১৫, জানলাম তারাও পারছে না!

তারপরই আমরা ঘুড়ি থেকে প্রথমবারের মতোন প্রস্তুতি নিলাম খাবার সংগ্রহের জন্য। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনেকেই আমরা এই কাজটি করি। কোন অনুষ্ঠান/আয়োজনের খাবার বেঁচে গেলে, তা সংগ্রহ করি এবং সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে দুস্থ অসহায় শিশু অথবা আর্তজনের মাঝে বিলিয়ে দেই।

আমি কবি অয়ন আবদুল্লাহকে ফোন দিলাম।
সে ফোন ধরে না।
পরে ফোন দিলাম তুষারকে। তাকে রেডি হতে বলে উবারে কল দিয়ে গাড়ি নিলাম।
রাস্তাঘাট খালি। আমরা দ্রুতই এগুতে থাকলাম। আমরা সূত্রাপুর থানার সামনে পৌঁছলাম পৌনে একটায়। সেখানে অপেক্ষা করছিলো ফাহিম ও দিপ। দেরি না করে দুটি ডেকচি ও ২টি ব্যাগে খাবারগুলো রাখা হলো। একেবারে গরম বিরিয়ানি!
চারপাশ বিরিয়ানির গন্ধে মৌ মৌ!
আমি ফিরে আসার জন্য আবার উবার খুঁজতে লাগলাম। আমাদের তারা ধন্যবাদ দিলো এতো রাতে খাবার সংগ্রহের জন্য। আমরা তাদের কৃতজ্ঞতা জানালাম খাবারগুলো অসহায় মানুষদের মাঝে দেবার উদ্যোগের জন্য।

ফেরার সময়েও রাস্তা খালিই পেলাম।
প্রায় ১০০ জনের বেশী মানুষের জন্য খাবার সংগ্রহ করে ফিরতে পেরে ভালো লাগছিলো। এটা সুখ। আনন্দ তৃপ্তি। যারা এমন কাজে কখনো যুক্ত হননি তারা চেষ্টা করেও এই আনন্দ আর সুখের খোঁজ পাবেন না। আমরা যারা বস্তির শিশু, পথের শিশুদের নিয়ে কাজ করি তারা জানি এ সব শিশুরা একটু ভালো খাবারের জন্য কেমন উন্মুখ হয়ে থাকে। ভাল কিছু পেলে তার কিভাবে খায়, খুব কাছে থেকে আমরা দেখছি।

আমি আর তুষার রাত ২টার দিকে এক রঙ্গা এক ঘুড়ি তে পৌঁছলাম। তারপর সে সব খাবার সংরক্ষণ করে রেখে ঘুমাতে ঘুমাতে বাজলো রাত ৩টা।
ঘুমিয়ে যাবার আগেও চোখে ভাসছিলো- গভীর রাতে সংগ্রহ করে নিয়ে আসা এই খাবার খেয়ে ১০০র বেশী শিশু কি আনন্দ পাবে, কি তৃপ্তি নিয়ে খাবে সে দৃশ্য!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৪
১৯টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×