আরেকটু হলেই চুরি করতুম!!
জয় বাবা ফেলুনাথ সিনেমাটায় সৌমিত্রর একটা ডায়লগ মনে পড়ছে খুব।'যার মনে চুরি সেই ত চোর'।পরশু দিন থেকে কথা টা বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে মনে,চোর হয়ে গেলাম শেষ পর্যন্ত??
ব্যাপারটা খুলেই বলি।মাস্টার্সের আবেদন করব ঠিক করেছি,নতুন করে পড়ালেখা শুরু করব,বহু কস্টে ব্যাক্তিগত,মানসিক সমস্যা গুলোকে ঝেড়ে কাটানোর চেষ্টা করছি। ১ তারিখ ছিল কোলোন ইউনির ডেডলাইন,আর আমিও এমন ঢিলা পাবলিক যে শেষ দিনেই কাজ কর্ম করব ঠিক করে রাখি।তা ১ তারিখ যে রবিবার,শনিবার পোস্ট করলে তা কোলোন যাবে সোমবার,বাতিল কাগজের ঝুড়িতে খাম চলে যাবে নিশ্চিত।তাই শুক্রবার রাতে মাথা খারাপ করে কাজ করছিলাম।স্টেটমেন্ট অব পারপাস যেখানে ১ মাস সময় নিয়ে লেখার কথা বলে সবাই,সেখানে ৪ ঘ্ন্টায় লিখলাম।কোলোনের প্রোগ্রামটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে,যেমন জিনিস পড়তে চাইছি ঠিক তাই।এটাই চাই আমার। যাই হোক পরদিন দুপুরে কোলোন চলে গেলাম,প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে অফিস খুজে বের করলাম।শনিবারের অফিস পাড়া খাঁ খাঁ করছে।অফিসের মেইলবক্স নিয়ে একটু সন্দিহান ছিলাম,তাই মেইলবক্সের ঢাকনা খুলে উকিঁ দিলাম,দেখি খামে উপচে পড়ছে,সব একদম আমি যেমন খামে ভরে এনেছি তেমন,কোন খামই জার্মানীর বাইরে থেকে এসেছে বলে মনে হলনা।কি মনে করে দু আন্গুল ভিতরে ঢুকিয়ে একটা খাম কায়দা করে বের করে দেখি,ডাকটিকিট নাই,মানে এক জার্মান ব্যাটার খাম।মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল।ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে তোরা আবেদন করবি ক্যান?? ঐ মুহূর্তেই মন জিঘাংসায় ভরে গেল,হাত ঢুকিয়ে আরো কয়েকটা খাম তুলে নিলে আমার সুযোগ আরো বেড়ে যাবে,হয়ত যে ব্যাটার খাম হাতে নিয়ে আছি সে ব্যাটার জন্যই আমার চান্স হাতছাড়া হয়ে যাবে।বাড়ি নিয়ে গিয়ে দেখতে পারব ব্যাটাগুলোর কোয়ালিফিকেশন কেমন,কি কি লিখেছে সব। পর মুহূর্তেই সম্বিত ফিরে পেলাম,এ আমি কি করতে চাইছি??কোনরকমে খামটা ঢুকিয়ে নিজের খামটাও তার নিচে ঢুকালাম।বেকুবের মত কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম মেইলবক্সটার দিকে। নিজেকে বোঝালাম,সুযোগ কপালে থাকলে এমনিতেও হবে,আর না থাকলে আমি সব গুলো খাম সরিয়ে নিলেও পাবনা। আর কেউ না দেখলেও আমার বিবেক ত দেখবে আমি কি করেছি? এখন খুব অনুশোচনা হচ্ছে যে আমি এমন চিন্তাও বা করতে পারলাম কি করে?এমন প্রলোভন,প্ররোচণা আমার মনে এলো কি করে?মানসিক ভাবে কি এতই দূর্বল হয়ে গেছি? আসলেই কি সুযোগের অভাবে আমরা সৎ?
এখন ভাবছি,হয়ত মনে এই কুচিন্তা আসল বলেই সুযোগ পাবনা,খুব খারাপ লাগছে।অনেক আশা নিয়ে ছিলাম এই কোর্সটার জন্য।না হলে আর কিচ্ছু করার নাই,পাগলখানায় যেতে হবে।
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?
,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন