২০১৭ সালে দেশের বাইরে প্রথমবারের মত পা রাখি*; সারজাহ বিমান বন্দরে এসে সৌদী আরব আসবার জন্য ট্রান্জিটের ২ঘন্টা কাটাতে হবে এখানে।
সবার আগে যে বিষয়টি খেয়াল হলো, তা হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা। ঢাকা বিমান বন্দরে বিভিন্ন কারণে ঢোকা লেগেছে বহুবার; কিন্তু এই লেভেলের পরিচ্ছন্নতা কখনও চোখে পড়েনি।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি খেয়াল হলো, তা হলো সুগন্ধী। আরব দেশ গুলিতে সুগন্ধী প্রচন্ড জনপ্রিয়। প্রায়সই ফাঁকা লিফটে ঢুকে প্রচন্ড কড়া সুঘ্রাণ নাকে আসে; বোঝাই যায় যে কেউ গায়ে আতর/পারফিউম মেখে এই লিফটে উঠেছিলো।
সেই আরবদের মাঝে আমরা বাঙ্গালীরা যে কত বড় দুর্ঘন্ধযুক্ত বস্তু তা নিজেই দু-বার টের পেয়েছি।
প্রথমে একবার প্রচন্ড অসুস্থ হলাম; ঘ্রাণ শক্তি বেড়ে গেলো। প্রতি ধরণের গন্ধ/ঘ্রান যেন আলাদা আলাদা করে পেতাম। সেবারই প্রথম ভালো করে বুঝতে পারলাম আমার গায়ের গন্ধটা আমার নিজের কাছেই পছন্দ না। আমার বউ কি করে সহ্য করে আল্লাহ জানেন!
দ্বিতীয়বার বুঝতে পারলাম করোনা কালে; করোনা হয়েছিলো যখন। করোনা হলে অনেকেরই খাবারের স্বাদ, আর নাকের গন্ধানুভতি চলে যায়। আমার গিয়েছিলো খাবারের স্বাদ। মুরগি খাই আর শাক খাই আর মাছ খাই; সবই একই।
যাই হোক। করোনা হবার পর কোয়ারেন্টাইন থেকে ফিরলাম; এক বাংলাদেশী ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিলো। উনি সৌদীদের কষ্টের কথা বুঝেন!
বললেন যে প্রথম যখন করোনার জন্য সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলো; তখন নাকি তিনি জীবনে প্রথম বুঝেছিলেন যে উনার মুখে প্রচন্ড গন্ধ। এত বেশীই যে উনি মুখে মাস্ক রাখতে পারতেন না।
কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য হলাম, তো এখন কি নিয়মিত দাঁতব্রাশ করেন?
খ্যাঁক খ্যাঁক করে খানিকটা হেসে উত্তর দিলেন, না, এখন অভ্যাস হয়ে গেছে!
* আসলে সারজাহতে প্রথম বললে ভুল হবে; এর আগে একাধিকবার কয়েকটি ল্যান্ডপোর্ট দিয়ে হেটে ভারতের ভিতরে সামান্য গিয়ে ঘুরে আবার চলে এসেছি!
**** ছবিটি দ্যা ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।
https://thefinancialexpress.com.bd/views/views/covid-19-use-of-face-mask-1586188663
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩