
একদল এমন ভাবে বলছে যেন মনে হবে বাংলাদেশ এই আগামীকাল সকালে উঠেই নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করবে। আর একদল এমন ভাবে বলছে যেন দেউলিয়া দূরে থাক, আম্রিকা কিংবা চীন ও বাংলাদেশের কাছে কোন কিছু না।
কেউ বলছে উগান্ডা, কেউ বলছে আগুনে আলু পোড়া খাওয়ার স্বপ্ন।
দুই দলের কেউই উপলব্ধী করতে পারছে না যে দেশ উগান্ডা হলে জনতা সেই উগান্ডার অধীবাসী, আর কেউ আগুনে আলু পোড়া খাইলে জনগন নিজেরাই সেই পোড়া আলু।
বাংলাদেশে বেশ একটা চালচার দাড়িয়ে গেছে; কোন সিরিয়াস বিষয় নিয়ে ফেসবুক-পত্রিকা সহ বিভিন্ন জায়গায় মজা করতে পারলেই সবার কাজ শেষ।
বিবিসি রিপোর্ট করেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট গত ৪বছররে মধ্যে ৩বছর কিছু ইনকাম করতে পারে নি। এটা আমার আপনার মত জনগনের জন্য বড় একটা বাঁশ। কিন্তু এই বাঁশ খেয়েও জনতা বিবিসির পেজ এ এত এত মজার মন্তব্য করছে যে বোঝাই যায় যে জনতার মগজ পঁচে গেছে।
আমার একজন শিক্ষক ছিলেন, উনি বলতেন যে সব ক্যান্সার সারানো গেলেও ব্রেইন ক্যান্সার সারানো যায় না (ঘটনা সত্য বা মিথ্যা আমি জানি না)। আমাদের মনে হয় ব্রেইনেই ক্যান্সার হয়ে গেছে।
দেশ সিঙ্গাপুর নিউইয়র্ক হবার স্বপ্ন দেখছে অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত প্রবাসীদের দিকে তাকিয়ে। আর দেশের উচ্চশিক্ষিত বেকারেরা বসে বসে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছে, আর ফেসবুকে আজে বাজে কমেন্ট করে বেড়াচ্ছে।
ব্লগেও যখন সেই ফেসবুকের ছোঁয়া চলে আসে, তখন বুঝেই নেওয়া যায় যে শিক্ষিত জনতা আসলে শিক্ষিত না!
ইউক্রেণে যুদ্ধ লেগেছে, ইউক্রেণের জনগন পলাচ্ছে ইউরোপ আমেরিকার অন্য দেশ গুলিতে, আর সবাই তাদের কাছে টেনে নিচ্ছে। কিন্তু শ্রীলংকায় পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কেউ কিন্তু শ্রীলংকানদের কাছে টেনে নিচ্ছে না (যদিও কেউ তর্ক করতে পারেন যে যুদ্ধ তো বাধে নি)।
বাংলাদেশের অবস্থা খারাপ হলে সেই আগুনে কিন্তু আলুপোড়া দেশের কেউ খাবে না; খাবে বিদেশীরা।
তাই দেশকে উগান্ডা ঘোষণা দেওয়া আর অন্যরা আলুপোড়া খাওয়ার কথা বাদ দিয়ে এমন কিছু করেন যাতে দেশটা ঠিক ঠাক থাকে।
দিন শেষে এটাই আমাদের দেশ, আমাদের যাওয়ার আর কোন জায়গা নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


