যে যুগ শুরু হইছে তাতে তাতে আজকালের বাচ্চারা মোবাইল হাতে নিয়েই জন্ম নেয়।
কিন্তু আমার নিজের মোবাইল হাতে পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। স্কুলে থাকতে দেখতাম আমার জুনিয়র ব্যাচের পোলাপান চায়না মোবাইল হাতে নিয়ে ধুমধাড়াক্কা গান বাঁজাত।অবশ্য তখন চায়না মোবাইল জিনিসটা অনেকেই বুঝত না।
সেসময় নিজের একটা মোবাইল পেতে খুব ইচ্ছা করত। বিশেষ করে গান শোনার জন্যই। তখন ইন্টারনেটও নাগালের মধ্যে ছিল না। আসলে ধারনাই ছিল না।
বন্ধুদের অনেকেরই মোবাইল ফোন ছিল। সবাই শুধু গান শুনত। গান আর গান।আমিও শুনতাম। এখনো শুনি।(বালামের এক মুঠো রোদ্দুর গানটা শুনলে বড় নস্টালজিক লাগে যদিও বালামের গান আর ভাল্লাগেনা
বাড়িতে মোবাইল কিনে দেবার কথা বলার সাহস ছিল না। জানতাম কিনে দেবেও না আবার মাইরও দেবে
বলেই দৌড় দেয়ার ধান্দায় ছিলাম কিন্তু না, আম্মু রাগ করেনাই। বলেছিল আচ্ছা দেবনে।
আহ মহাশান্তি।
ততদিনে আশা আশায় ছিলাম কবে পরীক্ষা শেষ হবে আর কবে আমার একটা মোবাইল হবে। তাইলে শুধু গান শুনব,ভিডিও দেখব আর বন্ধু বান্ধবের সাথে পার্ট নেব
যাহোক পরীক্ষা কোনরকম শেষ হতে না হতেই জ্বালাতন শুরু করলাম মোবাইলের জন্য। ততদিনে অবশ্য একটু বুঝতে শিখেছি। বায়না ধরেছি কিনলে নোকিয়াই কিনব।
আমার আম্মু আবার স্কুলের টিচার। তো আমার স্যার এসে আমাকে খালি বুঝাত চায়না মোবাইল কেনার জন্য।বোঝাত এতে ভিডিও তো টানা যায়ই আবার অডিও গানও টানা যায়
নাহ! আমি দমার পাত্র না।
অবশেষে ঢাকায় এসে কিনলাম বহু প্রতিক্ষিত মোবাইল ফোন। নোকিয়া ৫৫০০।
এই দেখেন ছবিঃ
আহ! কি আনন্দের ছিল তারপরের দিনগুলো। প্রথম ল্যাপটপ কেনার সময় অবশ্য এরকম একটা আনন্দ হয়েছিল।
ঢাকায় কলেজে ভর্তি হলাম। ভালই চলছিল দিনকাল।
হঠাত এক বন্ধু এসে বলল দোস্ত তোর মোবাইল টা একটু দে তো। একটা কল করি।
উনি আবার ষন্ডা লোক! মাস্তান টাইপের। অবলা আমি ভাল বুঝেই ফোনটা দিলাম কল করার জন্য। আর সে চম্পট দিল :-<
ছয়সাতদিন হয়ে যায় আর ত কলেজে আসে না
তারপর তো দিন গেল, রাত গেল।
আরো মোবাইল কেনা হল।
কিন্তু আমি মিস করি আমার সেই মোবাইলটিকে এখনো।
পুরণো মডেল ছিল, হয়ত এখনকারগুলা অনেকবেশী ফিচারসমৃদ্ধ,হয়ত আমি মোবাইলের খবরই রাখি না ল্যাপটপ নিয়েই পড়ে থাকি সারাদিন,
তবুও।
মিস ইউ মাই ফার্স্ট লাভ
আপনাদের কারো প্রথম মোবাইল কেনার অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করতে পারেন।যদি মনটা হালকা হয় আরকি!!
বিজ্ঞাপনঃ
আমার আগের কয়েকটা পোস্টঃ
যারা হিন্দি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের দাত ভাঙ্গা জবাব
মুক্তিযোদ্ধা সাঈদির কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরেঃবাকশালীদের জন্য সাবধানবানী
গোলাম আজম যে একজন ভাষাসৈনিক ছি্লেন তার স্বপক্ষে তথ্য প্রমান
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




