আজ অন্তুর মন ভালো নেই। আকাশের মেষগুলো না, বড্ড পাজি। কিসের এত দুঃখ তার, সারাদিন থেমে থেমে কাঁদছে। মেঘের দুঃখ কি অন্তুর দুঃখের চেয়ে বেশি? জানালার পাশে বসে আদ্যপান্ত এসব ভারছিল সে। ইদানিং অন্তুর শরীরটা ভালো নেই, মাঝে মাঝে জ্বর আসে, তীব্র জ্বর। পা দুটোতে বল পায় না। দিনদিন কেমন নিস্তেজ নিরব অসার হয়ে পরেছে ।ভালোভাবে দাঁড়াতে পারে না সে, সারা শরীর কাঁপতে থাকে। দুচোখ দিয়ে পানি চলে আসে, তার দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে। মাঝে মাঝে পৃথিবীকে উল্টো মনে হয়, হ্যা উল্টো। পৃথিবীর সব কিছু মনে হয় বড়ই স্বার্থপর। গ্রামের ছিমছাম পরিবেশে ছিমছাম বাড়ি অন্তুর বাবার, মোতালেব হোসেন, আইনজীবি। বাড়িভরা লোক, বড়আপা, কলিম দাদু, রহিমাবুয়া, রবি, অন্তুর বাবা আর সত্ মা। কেউ কথা বলে না তন্তুর সাথে। কারন অন্তু বোবা। অন্তুর ঘরটাও যেন কেমন, একটা টেবিল, একটা চেয়ার আর চৌকি একটা। আর দেয়ালে বাধানো অন্তুর মায়ের ছবি। অন্তু মা মারা গেছে ছয় বছর আগে, অন্তু তখন অনেক ছোট। কলিম দাদু বলেছেন, অন্তুর মা নাকি আকাশের তারা হয়ে গেছে। আকাশ ভরা তারার মাঝে অন্তু তার মাকে ঠিক খুজে বের করেছে। প্রতিদিন যে তারাটি আগে ওঠে আর সবার পড়ে মিলিয়ে যায় সেই তারাটিই হলো অন্তুর মা। ঘরে একটা ছবি আছে, অন্তুর মায়ের। অন্তু ঘরে থাকলে মায়ের সাথে কথা বলে, মনে মনে। অন্তু তো সবার সাথে মনে মনে কথা বলে, মনে মনে সবার কথা শোনে। মায়ের ছবির সামনে এলে অন্তুর চোখ দুটি ছলছল করে ওঠে, বুকফেটে কান্নাপায় তার। পৃথিবীতো সে কান্না শুনতে পায় না, যদি শুনতে পেত! সে কান্নাতো শব্দের প্রকাশে প্রকাশ পায় না, প্রকাশ পায় চোখের পানিতে। মেঘ তো কাঁদতে পারে, কাঁদে, অন্তুতো তাও পারে না। এ একঅদ্ভুদ আক্ষেপ। সিড়ি থেকে নামতে দুটো ডালিম গাছ, দুপাশে। অন্তু সিড়ির উপর দাড়িয়ে বুকভরে শ্বাস নেয়। একপাশের ডালিম গাছে নীড় গড়েছিল দুটো টুনটুনি। অন্তুর সত্ভাই রবি পাখিদুটোর বাসা ভেঙে দিয়েছিল। দুটো ডিমওছিল বাসায়। ভেঙে ফেলেছে। টুনটুনি দুটোর সে কি চেচামেচি কি কান্না। হিজিরবিজির করে কী যেন বলতে চাচ্ছিল অন্তুকে, অন্তু কিছু বলতে পারেনি। কারন ও তো এ পরিবারে উটকো ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। মেঘ মনে হয় কাঁদবে আবার, ঘরের এক কোনায় এসে বসে পরে অন্তু। বাইবে আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অন্তু নাকি বেশিদিন বাঁচবে না, আপু দুলাভাইকে বলছিল, লুকিয়ে লুকিয়ে শুনেছে অন্তু। জানালা দিয়ে বাইরে তাকালো সে।হাত বের করে বৃষ্টির পরশ নিলো। মিটমিটকরে হাসলো সে আকাশের দিকে তাকিয়ে। সূর্যটা মেঘের আরাল থেকে উকিঁ দিতে চেষ্টা করছে আবার আস্তে আস্তে কালো মেঘে ঢাকা পড়ছে। কে জানে এভাবে অন্তুর দিন ফুরিয়ে যাচ্ছে, নিকটতর হচ্ছে অন্তূর অনন্তযাত্রা।
আলোচিত ব্লগ
তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???
তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???
আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।
১ম ধাপঃ
দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি
গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
জানা আপুর আপডেট
জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।
বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন
বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।
এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন