somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাসনা ছুরি - ০৭

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আগের পর্ব - Click This Link

হঠাৎ একটা গাড়ি এসে থামলো রীণার সামনে। রীণা চমকে উঠলো। ওর ভাবনায় ছেদ পড়লো। এটা তো মি: আশরাফের গাড়ি। রীণা তাকিয়ে দেখলো ড্রাইভিং সিটে বসে আছেন মি: আশরাফ। ওকে ইশারায় গাড়িতে উঠতে বলে সামনের আসনের দরজাটা খুলে দিলেন। রীণা গাড়িতে উঠে বসলো।
---স্যার আপনি এখানে?
অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো রীণা। মি: আশরাফ একটু হেসে বললেন,
---তোমার বুদ্ধিসুদ্ধি কবে হবে বলো তো? এভাবে অন্যমনস্ক হয়ে রাস্তা দিয়ে কেউ হাঁটে। কখন থেকে হর্ণ বাজাচ্ছি তোমার কোন খেয়ালই নেই।
রীণা লজ্জা পেয়ে মাথা নোয়ালো। আসলে এত বেশি ভাবনায় ডুবে গিয়েছিল যে হর্ণের শব্দ কানেই ঢোকেনি।
---আপনাকে বাসাায় পৌঁছে দিতে এলাম। বুঝতে পারছি আপনার মন খুবই বিক্ষিপ্ত আজ।
মি: আশরাফ কখনো ওকে তুমি করে বলেন কখনো আবার আপনি। রীণা হেসে বলল,
---আপনি আমাকে তুমি করেই বলবেন স্যার।
---স্যরি। তুমি বয়সে প্রায় আমার অর্ধেক হবে। তাই তুমি বেরিয়ে পড়ে মুখ দিয়ে।
---তাই তো বললাম তুমি করে বলবেন আমাকে।
মি: আশরাফ হাসলেন। কিছু বললেন না।
---আমি কিছু বুঝতে পারছি না স্যার। সন্দেহটা অমূলক নয়তো। আবীরকে আমার বেচারা টাইপের একটা মানুষ বলেই মনে হল এবার। অনেকটা যেন উদ্ভ্রান্ত।
---বেচারা!
বলে বিদ্রুপের হাসি হাসলেন মি: আশরাফ।
---তুমি যাকে বেচারা বলছ সে একটা ক্রিমিনাল। তুমি কি চাও না তোমার বোনের হত্যার বিচার হোক?
---কিন্তু স্যার, আমার দুলাভাই আর আমার বোনের সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল। ওরা দুজন দুজনকে কী যে ভালবাসতো তার সাক্ষী তো আমি নিজেই। বরং আমার বোনের সুইসাইড প্রবনতা ছিল। তিন তিনবার সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আর দুলাভাইই তাকে বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। উনার যদি আপুকে খুন করার ইচ্ছে থাকতো তাহলে বার বার উনি আপুকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন কেন? দুইবার ঘুমের ঔষধ খেয়ে, একবার গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ও। আমি নিজের চোখে দেখেছি কিভাবে দিনরাত সেবা শুশ্রূষা করে আপুকে সুস্থ করে তুলেছিলেন দুলাভাই।
---কিন্তু তোমার আপু আত্মহত্যা করতে চাইতো কেন তা ভেবে দেখেছ?
---তারও কারণ ছিল। আমার বোন মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল।
---তোমার বোন কি প্রথম থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল?

প্রশ্নটা শুনতেই একটা বিষাদের ছায়া নেমে এলো রীণার চোখে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই দিনের স্মৃতি। এইচ এস সি পরীক্ষা শেষে লম্বা ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিল বোনের বাসায়। ইচ্ছে ছিল সারপ্রাইজ দেয়ার। সময়টা ছিল বিকেলবেলা। এই সময় দীনা সবসময়ই বাগানের পরিচর্যা করে। রীণা ভেবেছিল দীনাকে বাগানেই পাওয়া যাবে। কিন্তু বাড়িতে ঢুকে দীনাকে বাগানে পেল না ও। তাছাড়া বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই বাড়ির পরিবেশটা অন্যরকম ঠেকলো রীণার কাছে। ঠিক আগের সেই পরিচিত ভাবটা নেই। কেমন যেন খা খা করছে সারা বাড়ি। অথচ খা খা করার কোন কারণ নেই। বরং আগের চেয়ে আরও সরগরম থাকার কথা এ বাড়ির। যেহেতু কদিন আগেই উপরতলায় ভাড়াটে এসেছে। দীনার কাছ থেকেই ফোনে এ খবর পেয়েছে রীণা কদিন আগে। বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো রীণার।

অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠেছিল বুক। দীনার কিছু হয়নি তো! কিংবা তিতলির? কাঁপা কাঁপা হাতে কয়েকবার বেল বাজানোর পর দরজাটা খুলে দিয়েছিল দীনা। পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল তিতলি। তিতলি আর দীনা দুজনকে ঠিকঠাক দেখে রীণা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল। তিতলি খালামনি বলে দৌড়ে এক লাফে কোলে উঠে গিয়েছিল রীণার। কিন্তু একি! দীনা অনুভূতির তো কোন পরিবর্তন হল না। এতদিন পর বোনকে দেখে আনন্দে জড়িয়েও ধরলো না। যেন রীণার এই আগমন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। উদাস চোখে একবার রীণার দিকে তাকিয়ে নিজের রুমে ফিরে গেল দীনা। ভারী অবাক হয়েছিল সেদিন রীণা। এ তো রীণার পরিচিত সেই দীনা নয়, যে রীণার আগমনে খুশিতে সারা ঘর ভাসিয়ে দিতো। এ তো অন্য কেউ। রীণা তিতলিকে জিজ্ঞেস করলো,

---কীরে কী হয়েছে তোর মামনির? অসুখ করেছে বুঝি?
---না তো। মামনি আমাল সাথে আল আগেল মত খেলে না, কথা বলে না।
---বাবাইর সাথে ঝগড়া করেছে বুঝি?
---না তো। ঝগলা তো কলেনি। তবে বাবাল সাথেও মামনি কথা বলে না।
তারপর দীনার কাছে গিয়ে অনেক কথা বলানোর চেষ্টা করলো রীণা। দুই একটা হু হা উত্তর দিয়ে ফের অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছিল দীনা। দীনার এই রূপ দেখে কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল রীণার। আবীর এলে আবীরকে জিজ্ঞেস করলো,

--- কী ব্যাপার কী হয়েছে বীরু। আমার আপু এমন কেন হয়ে গেছে? কী হয়েছে খুলে বল তো আমাকে।
আবীর ধপ করে সোফায় বসে পড়ে বলেছিল,
---আমি কিছুই বুঝতে পারছি না রীণা। হঠাৎই তোমার আপু এমন হয়ে গেল। আমার সাজানো সংসারটা এলোমেলো হয়ে গেল রীণা।

বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল আবীর সেদিন। কাঁদছিল রীণাও। কাঁদতে কাঁদতেই জিজ্ঞেস করেছিল,
---এতদিন তুমি আমাদেরকে কিছু জানাওনি কেন?
এই তো কদিন হল মাত্র। আমি তো নিজেই কিছু বুঝতে পারছি না। তোমাদের কী জানাবো বল।
রীণা আবীরকে সান্ত্বনা আর সাহস দিয়ে বলেছিল,
---সব ঠিক হয়ে যাবে বীরু। তুমি চিন্তা করো না। আপুকে খুব ভাল একজন ডাক্তার দেখাতে হবে। তারপর থেকে শুরু হল দীনার চিকিৎসা। রীণা একমাস থেকেছিল ঐ বাসায়। এই একমাস প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল রীণাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার। আবীরও যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু রীণার অবস্থার কোন উন্নতি তাতে হল না। বরং দিনকে দিন ওর উদাসীনতা বেড়েই চলেছিল।

---কী হল রীণা কোথায় হারিয়ে গেলে? আমার প্রশ্নের জবাব দিলে না? তোমার বোন কি প্রথম থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল?
---একদম না। আমার বোনের প্রাণবন্ত হাসিখুশি সুস্থ একটা মানুষ খুব কমই দেখা যায়। সব সময় হাসিখুশি থাকতে ভালবাসতো ও।

রীণা সব খুলে বলল মি: আশরাফকে। সব শুনে মি: আশরাফ বললেন,
---এমন হাসিখুশি প্রাণবন্ত একটা মানুষ হঠাৎই এমন পাগল হয়ে গেল! অথচ তোমাদের কারো মনে কোন প্রশ্ন জাগলো না যে কারণটা কী?
---বীরু মানুষটা এত ভাল যে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ ছিল না আমাদের।
---কারণটা কিন্তু তোমার ঐ অতি ভালমানুষ বীরুই।
রীণা বোকার মত তাকিয়ে রইলো। মি: আশরাফ একটু হেসে বললেন,
---কারণটা কি জানতে চাও তুমি?
---কী কারণ স্যার?
---কারণটা হল তোমার দুলাভাইর এক্সট্রা ম্যারিটেল অ্যাফেয়ার। আর সেটা জেনে গিয়েছিল তোমার বোন।
বিস্ময়ে হতবাক হয়ে রীণা জিজ্ঞেস করলো,
---কী বলছেন এসব স্যার?
---এটাই সত্যি রীণা।
---এত দৃঢ়তার সাথে কী করে বলছেন? এটা তো সত্যি নাও হতে পারে।
---দৃঢ়ভিত্তি ছাড়া কোধ কথা আমি কখনও বলি না।
গম্ভীর কণ্ঠে জবাব দিলেন মি: আশরাফ।

দশ

ভোরের আলো ফুটে উঠেছে বাইরে। পাখিদের কিচির মিচির ডাক শোনা যাচ্ছে। মাথাটা ঝিমঝিম করছে এখনও। সারাটা রাত দুটি চোখের পাতা এক হয়নি রীণার। কানের ভেতর শুধু একটি কথাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বার বার। "এক্সট্রা ম্যারিটেল অ্যাফেয়ার"। তার মানে পরকীয়া। আশ্চর্য এই কথাটা তখন একবারও মাথায় আসেনি। একবারও মনে হয়নি, কেন হঠাৎ করেই একটা জলজ্যান্ত প্রাণবন্ত ভাল মানুষ পাগল হয়ে গেলো। একবারও মনে হয়নি, তার কারণ তো আবীরই হতে পারে। এরকম একজন নিপাট ভাল মানুষ যে এই রকম একটা বিভৎস অপরাধ করতে পারে কেই বা তা ভাবতে পারে। রীণাদের মনেও তাই এতটুকু সন্দেহের উদ্রেক হয়নি। এখনও এমনটি ভাবতে কষ্ট হচ্ছে রীণার। কিন্তু দীনার মৃত্যুর পরের ঘটনা গুলোকে একে একে সাজালে পাজলের মত সব সলভ হয়ে যায়। মৃত্যুর একমাসের মধ্যেই আবীরের বিয়ে করা। তাও আবার উপর তলার ভাড়াটের মেয়েকে। এত ভালবাসা মাত্র একমাসেই গায়েব হয়ে যায় কীভাবে? একমাসেই কী করে আবীর ভুলে যেতে পারে দীনার সব স্মৃতি!

তারপর দীনার মৃত্যুর পর রীণাদের সাথে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দেয়া। রীণাদের সাথে আবীরের সম্পর্ক কি এতটাই ঠুনকো ছিল? তারপর রীণার বাবা মারা যাওয়ার পর লোকটা দেখতে আসা তো দূরে থাক একটা খবর পর্যন্ত নেয়নি। রীণার বয়স তখন খুব অল্প। এভাবে তাই তখন ভাবতে পারেনি ও। তার উপর বোনের মৃত্যুর সাথে সাথে বাবারও চলে যাওয়া। এতকিছু ভাবার মত মনের অবস্থাও তখন ওদের ছিল না।

এখন যখন মি: আশরাফ সব চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন ভাবনাগুলোও যেন হুড়হুড় করে মনে জমা হতে লাগলো। অতীত আর বর্তমানকে জোড়া লাগালে সব যেন মিলে যায় আবার মিলেও না। সেদিন ঐ বাড়িতে যাওয়ার পর ওদের বিব্রত হওয়া, চোখে ভেতর ভীতির ছায়া, অপরাধী অপরাধী ভাব, আবীরের উদ্ভ্রান্তী, রীণার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা, সর্বোপরি তিতলির অস্বাভাবিকতা সবকিছু যেন একই দিকে নির্দেশ করছে।

কিন্তু সেই নির্দেশনা যে সঠিকই হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। এসব সন্দেহ তো অমূলকও হতে পারে। কিন্তু যদি সন্দেহটা ঠিক হয়ে থাকে তাহলে একটা খুনি কত সহজে পার পেয়ে যাবে। ওর বোনের খুনি। শুধু বোন না। ওর বাবারও খুনি বলতে গেলে ওই লোকটাই। বড় মেয়ের এই অকাল মৃত্যু সইতে না পেরেই তো বাবাও চলে গিয়েছিলেন। দীনার মৃত্যুর পর থেকেই ভেঙে পড়েছিলেন বাবা। আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন নি। ওদেরকে অথৈ সাগরে ফেলে চলে যান পরপারে। পুরো একটা সংসার ভেঙে খান খান হয়ে যায়। তখন রীণার বয়স মাত্র সতেরো বছর। হেসে খেলে নেচে বেড়ানোর বয়স। সেই বয়সে পুরো একটা সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে ওর ঘাড়ে।

মা আর রীণা মিলে কী করে যে টেনে টেনে সংসারটাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে তা তো শুধু ওরাই জানে। এ সবের জন্য ওই লোকটাই যদি দায়ী হয়ে থাকে তাহলে কী করে ঐ খুনীকে ছেড়ে দিবে ও। কিন্তু ওর বোনের খুনিকে শাস্তি দিয়ে মি: আশরাফের কী লাভ? উনি কেন এই খুনের সুরাহা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন।

রীণা বিছানা থেকে উঠে গিয়ে জানালাটা খুলে দিলো। অনেক দিন ভোর দেখা হয় না। বাবার সাথে ভোর বেলায় হাঁটার অভ্যাস ছিল। মাঝে মাঝে রীণাকে ঘুম থেকে তুলে সাথে নিয়ে যেতেন। রীণা আধো ঘুম আর আধো জাগরণে ঢুলে ঢুলে হাঁটতো বাবার সাথে। ভোরের মৃদুমন্দ বাতাসে হাঁটতে হাঁটতে বাবা মেয়েতে মিলে ভোরের সূর্যোদয় দেখতো ওরা। ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে মায়াবী আলোয় অন্য রকম এক ভাল লাগায় শরীর মন আবিষ্ট হয়ে পড়তো। আজ অনেকদিন পর ভোরের সেই সূর্যকে দেখতে বড় ইচ্ছে করছে। রীণা দরজা খুলে বেরিয়ে এলো বাইরে। এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে। বাতাসে তাই বৃষ্টি ভেজা মাটির গন্ধ। রীণা চোখ বুজে ভেজা মাটির গন্ধটাকে বুক ভরে টেনে নিলো।

এগারো

রীণা অফিসে বসে তিতলির আঁকা ছবি গুলো পর্যবেক্ষণ করছিল। প্রত্যেকটা ছবিই কালো রঙে আঁকা। কালো রঙ দিয়ে তিতলি কী বুঝাতে চাইছে? নিশ্চয়ই ওর অবচেতন মনে কিছু একটা লুকিয়ে আছে। সেই অবচেতন মনই ওকে দিয়ে কালো রঙে ছবি আঁকাচ্ছে। কিন্তু ওর সচেতন মন সেটা বুঝতে পারছে না। এমন সময় ইণ্টারকমটা বেজে উঠলো।
---রীণা কিছু বের করতে পারলে?
---এখনো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না স্যার।
---আচ্ছা ছবিগুলো নিয়ে আমার কেবিনে আসো।
রীণা ছবিগুলো হাতে করে মি: আশরাফের কেবিনে ঢুকলো।
---বসো। কয়েকটা ছবি আমার কাছে দাও।
ছবিগুলো হাতে নিয়ে মি: আশরাফ গভীর মনোযোগের সাথে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন।
---সব ছবিই প্রায় একই ধরণের। মনে হচ্ছে ওর সাবজেক্ট একই জিনিস।

----হ্যাঁ স্যার। আমারও তাই মনে হচ্ছে। আরেকটা ব্যাপার, মনে হচ্ছে ও ওদের বাড়িটা আঁকার চেষ্টা করেছে। ঐ বাড়িতে অনেক গাছপালা আছে।

---হ্যাঁ কালো রঙের ভেতর পেন্সিল দিয়ে গাছের অবয়ব এঁকেছে।
---কিন্তু এতে করে তো কিছুই প্রমাণ হয় না। একটা বাচ্চা তো নিজের বাড়ির ছবি আঁকতেই পারে, তাই না?
---কিন্তু পুরো ছবিটা কালো রঙে আঁকা কেন প্রশ্নটা সেখানে। এমন কি গাছগুলোতেও সবুজ রঙ না দিয়ে কালো রঙ করেছে। একটা ছোট বাচ্চা, তার ছবিতে রঙের বাহার থাকবে, বিষয়ের ভিন্নতা থাকবে। সে কেন বার বার কালো রঙের ছবি আঁকবে এবং একই ছবি আঁকবে?
হঠাৎ রীণা বলে উঠলো,
---ও রাতের ছবি আঁকতে চাইছে না তো?
মি: আশরাফের চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো। রীণার দিকে সপ্রশংস দৃষ্টিতে তাকিয়ে উত্তেজিত কণ্ঠে বললেন,
---বাহ! তুমি তো দেখি দারুণ ইণ্টেলিজেণ্ট! ঠিক ধরেছ। এটাই হবে। রাতের বেলা গাছপালা সব কিছু কালো দেখায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×