somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

23-1-2005

১৭ ই নভেম্বর, ২০০৬ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহ! আজ দিনটি কত সুন্দর। আর কেনইবা হবেনা। আজ যে তোমার জন্মদিন। তোমার আরেকটি জন্মদিন। তোমার জন্য আজ আনন্দের পসরা নিয়ে সেজেছে নগরী। তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম বিছানা থেকে। শুধু তোমার জন্য আজ বেশ কদিন পর শেভ করলাম। তুমি প্রায়ই রাগ করতে আমি শেভ না করলে। আমার খোঁচা খোঁচা দাড়িতে তোমার অ্যালার্জি ছিল। সেকথা ভেবে নিজে নিজেই হাসলাম কিছুন। তারপর তোমার প্রিয় কাপড়ে জড়ালাম নিজেকে। অনেক দিন পর আজ নিজেকে আয়নায় দেখলাম ভালো করে। বাহ! ভালোই তো লাগছে, পছন্দ হবেতো তোমার? তাড়াতাড়ি কোনমতে নাস া করে ছুটে বের হলাম। এমনিতেই আমি বরাবর তোমার কাছে লেট ম্যান। আজ বোধহয় আরো বেশী লেট হবে। তোমার জন্য উপহার আগেই কেনা ছিল। তাই শুধু ফুল কিনলাম। ওহ! আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি, তোমার চিঠির উত্তরও এনেছি। প্রায় 25 মিনিট লেট করে পোঁছলাম তোমার কাছে। এসেতো আমি থ! হালকা নীল একটি শাড়ি পরেছ তুমি। কিযে সুন্দর লাগছিল তোমাকে। অবশ্য অভিমানে গোমড়া হয়েছিলে তুমি। তাই তাড়াতাড়ি তোমার হাতে ফুল দিয়ে জন্মদিনের উইশ করলাম। চিঠি দিলাম, উপহারও দিলাম। আর অবশেষে তোমার অনিন্দ্য সুন্দর মুখের জোছনা ছড়ানো হাসি দেখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। বললাম, "খুব সুন্দর লাগছে আজ তোমাকে।" তুমি কিছুই বললে না, শুধু হাসলে। তারপর আমার হাতটি ধরে হাঁটা শুরু করলে। আমাদের গন্তব্য সেই পুরোনো জায়গায় যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। তোমার সাথে আমার পরিচয়ের পর এটা তোমার 10ম জন্মদিন। ভাবতেই অবাক লাগে এক যুগ পেড়িয়ে গেল কিভাবে এত তাড়াতাড়ি। সেই ছোট্ট কিশোরী তুমি আজ এক নিটোল তরুনী।

কত জায়গায় ঘুরলাম আজ আমরা, কত কথা বললাম। দ পুরে তোমায় নিয়ে খেলাম অতিপরিচিত সেই রেস োরাতে। শেষে কাটলাম তোমার জন্মদিনের কেক। দেখতে দেখতে বিকেল হয়ে গেল। এবার আমাদের ফিরবার পালা। সময় কত নিষ্ঠুর! অপোর পালা ফুরায়না, অথচ ভালোলাগার নগুলো কত তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায়। আমায় যেতে দিতে চাইছিলেনা তুমি। বললে, "আবার কবে দেখা হবে?" আমি বললাম, "কেন? কালইতো আবার দেখা হবে। আর তুমিতো সারানই আছ আমার মাঝে। আমার ুদ্র শক্তি দিয়ে আমি সারান আঁকড়ে রাখি তোমায়।" তোমার ছলছল চোখের দিকে তাকালাম। কিসের যেন আবদার। চিবুক তুলে ফেরালাম আমার দিকে। হালকা পরশ দিলাম তোমার বন্ধ দুটি চোখে। তোমার ঠোট দুটো কেমন যেন কেঁপে উঠলো। আস ে করে আমার অধর ছোয়ালাম তোমার অপেমান অধরে . . . . . . . . . . .।

চমকে জেগে উঠলাম আমি। দেখি আমার ঘর অন্ধকার। ঘড়িটা একাকী একঘেয়ে শব্দে টিকটিক করে চলছে। ঘড়ি দেখলাম, 23শে জানুয়ারী-ভোর 4টা 27, 2005। বিছানা থেকে উঠে লাইট জ্বাললাম। পুরো ঘর খুঁজলাম। কিন্তু কোথাও পেলামনা তোমার জন্য কেনা উপহারটি। পেলামনা আমার লেখা কবিতা ও তোমার সেই চিঠির উত্তর। হঠাৎ মনে পড়ল আজ তো তুমি অন্যের। আমি বারবার ভুলে যাই আজ আর তুমি আমার নও। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার ঘর অন্ধকার করে ফিরে এলাম বিছানায়। অন্যপাশ ফিরে শুলাম। তবুও ঘুম আসছেনা। বুকের মাঝে কেমন যেন তোলপাড় হচেছ, বড়ো ব্যথা করছে। চোখে পানি চলে এলো। ব্যথায় না অন্য কারনে ঠিক বুঝলাম না। মনে মনে বললাম, "শুভ জন্মদিন সোনামনি। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভকামনা আর আদর রইলো। আজতো আমার কোন অধিকার নেই তোমার উপর, তাই তোমার জন্য আদর গুলোকে জমিয়ে রাখছি আমি নিজের মাঝে। তুমি দেখে নিও, একদিন আমি ঠিকই ফিরে আসবো তোমায় সবকিছু ফিরিয়ে দিতে। আমি প্রতিদিন থাকি সেই দিনটির প্রত্যাশায়। তাই আজ তোমায় দুর থেকে স্মরন করছি। ভালো থেকো রাজকুমারী সকাল, দুপুর, বিকেল ... ... অহর্নিশ । . . . . . . . . .এরপর আর কিছু মনে নেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×