আজকাল মানুষের জীবনে ফেসবুক যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। এই সময়ে এটা ব্যবহার করেন না এই রকম লোকের সংখ্যা খুবই অপ্রতুল! বিভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনে ফেসবুক ব্যবহার করেন। ফেসবুকে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের বন্ধুত্বের হাতছানি। অনেকসময় জীবনের নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্ব কাটাতে অনেকেই যার যা প্রয়োজন সেখান থেকেই বেঁচে থাকার আশ্রয় বেছে নেন। ঠিক এরকমই হঠাৎ করেই বরেলিতে এক যুবক ও যুবতীর আলাপ হয় ফেসবুকে। সে তো এখন অহরহই এখানে সেখানে হচ্ছে। বরেলিতেও তাই হয়েছে। খুঁজতে খুঁজতেই জুটে যায় মনের মত এক বন্ধু যা তারা প্রত্যেকেই এতদিন ধরে খুব করে খুঁজে ফিরছিলেন। দুজনেই খুলেছিলেন ফেক আইডি, দিয়েছিলেন ফেক ছবি আর ফেক এ্যাড্রেস। প্রথমে সাধারন কথা, বিভিন্ন আলাপ, সেই আলাপ ক্রমশ ঘনিয়েছে রসালো কথাবার্তায়। ফেসবুক থেকে সেটা শেষেমেষ গড়াল ম্যাসেঞ্জারেও। সেখানেও অবারিত ভাবে এসেছে শরীর, মন, একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা এবং আর যা যা এই সব ওয়ান-টু-ওয়ান চ্যাটের ক্ষেত্রে হয় তার প্রায় সবকিছুই!
বেশ কিছুদিন ধরে অন্তরঙ্গ চ্যাট করার পরে দুইজনই কিভাবে কিভাবে যেন একে অন্যের গভীর প্রেমে পড়ে গেল। এর পরে যা হয় তাই হলো? দূরত্ব কি আর আর প্রেম ভালবাসা ঠেকাতে পারে? দুইজনেই মনস্থির করেন, জল এবেলা অবেলা করে অনেকদুর গড়িয়েছে! এইবারে দুইজনের দেখা করতেই হবে! শরীর মন সব ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মতো! আটকাবে সেই সাধ্য কার?
তবে আটকাল নিয়তি। আর কি বা বলা যেতে পারে?
দেখা হবার সাথে সাথেই দু’জনের প্রায় অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা!
এ কি দেখছেন দুইজন আর কাকে দেখছেন চোখের সামনে?
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে স্বামী / স্ত্রী। ফেসবুকে দুইজনই ফেক প্রোফাইল খুলেছিলেন।
আর দুইজনই জানিয়েছিলেন “অ্যান-ম্যারিড”।
পুলিশ পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে। কি বলছে পুলিশ জানতে ইচ্ছে করছে? যে অফিসারের তত্ত্বাবধানে বিষয়টি রয়েছে, মুচকি হেসে তিনি জানালেনঃ ‘‘ফেসবুকে তো আজকাল এমন বন্ধুত্ব হরহামেশাই হয়। কিন্তু কপাল একমাত্র পোড়া হলেই এরকম পরিণতি হতে পারে।’’
স্বনির্বদ্ধ সর্তকীরনঃ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কাকে, কি, কখন, বলছেন বা বলে এসেছেন সেই ব্যাপারে এখনই সর্তক হউন, অন্তত বড়সড় কোন ঘটনা ঘটার আগেই! ভুলে যাবেন না কিন্তু, ঘটনা যে কোন সময় দুর্ঘটনাও হয়ে যেতে পারে.......................
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জুলাই ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০