somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঠ-প্রতিক্রিয়া ৬ - জীবন ও জীবিকার গল্প (গল্প সংকলন)

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বইয়ের নাম: জীবন ও জীবিকার গল্প
লেখার ধরণ: গল্প সংকলন
লেখিকা: ব্লগার সোহানী
প্রকাশনী: এক রঙ্গা এক ঘুড়ি
প্রচ্ছদ: চারু পিন্টু
প্রকাশ: বইমেলা ২০২১
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২
মলাট মূল্য: ২২০/=

এই গল্প-সংকলনের পাঠ-প্রতিক্রিয়া লিখতে বসে আমি বিচিত্র এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি। সম্ভবত এই প্রথমবার কারও লেখা পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে, নিজের লেখাই তো পড়ছি আমি। নিজের লেখার আবার কী পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখবো? এই অদ্ভুত অনুভুতির কারণে এর আগে বেশ কয়েকবার লিখতে বসেও এই পাঠ-প্রতিক্রিয়াটা লিখে শেষ করা হয়নি। এই গল্প সংকলনের বেশিরভাগ গল্পই আমি বেশ কয়েকবার করে পড়েছি।‌ গল্পকারের প্রতিটা গল্পের পিছনের গোপন সত্যটা বোঝার চেষ্টা করেছি। এবং প্রতিবারই আমি মুগ্ধ হয়েছি।

পৃথিবীতে প্রত্যেকটা লেখক/লেখিকার লেখার টোন, থিম, প্লট, ভিন্ন ভিন্ন হলেও কেউ কেউ জীবনকে কিছুটা ভিন্নদৃষ্টিতে দেখেন। অন্যরকমভাবে মানুষের ভেতরে লুকায়িত নির্মম সত্যটাকে সবার সামনে প্রকাশ করার চেষ্টা করে যান। আমাদের চারপাশের সমাজে, জীবনে কিংবা চাকুরি ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত আমরা বহুরকম ঘটনা ও দৃশ্যের সম্মুখীন হই। একজন সচেতন লেখক বা লেখিকাই এই দৃশ্যগুলো থেকে জীবনের হাহাকার এবং চাওয়া না পাওয়ার অন্তিম মুহূর্তের বেদনাবিধুর অনুভূতিগুলো কলমের খোঁচায় খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন। মানুষের অন্তর্নিহিত আবেগ, কষ্ট ও হাহাকারগুলো সবাই কলমের খোঁচায় ফুটিয়ে তুলতে পারে না। গল্পকার সোহানী সব্যসাচী লেখিকার মতোই অনায়াসে অন্যান্য লেখার মতোই এই গল্প সংকলনে প্রায় প্রতিটা গল্পেই এই কাজটা সুচারুভাবে করেছেন।

সামহোয়্যারইন ব্লগের সুপরিচিতা ব্লগার লেখিকা সোহানীর লেখার মান নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। যারা তাঁর লেখার সাথে পরিচিত তারা সহজেই আন্দাজ করতে পারছেন গল্পগুলো কতটা বাস্তব এবং জীবনধর্মী হতে পারে।
ব্যক্তিগত জীবনে উনি প্রবাসে থাকার কারণে অনেকগুলো গল্পের প্লট বিদেশের প্রেক্ষাপটে লেখা হয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনে কিংবা উচ্চপদস্থ চাকুরি জীবনে উনি যেইসব বিরূপ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, সেইগুলি গল্পের মাধ্যমে উনি পাঠকদের কাছে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।

যারা সাধারণ প্রেম ভালোবাসা বা জীবনের ঘটে যাওয়া সাধারণ ঘটনাগুলো নিয়ে গল্প পড়তে অভ্যস্ত, তারা এই গল্পগুলো পড়তে বসলে মনের ভিতরে ভিন্ন এক অনুভূতির সৃষ্টি হবে। তাদেরকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে, জীবনের মূল্যবোধকে বড় অতসী কাঁচের নিচে নতুন করে দেখতে শিখাবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি একজন লেখক লেখিকার সার্থকতা সেখানেই, যখন পাঠক-পাঠিকারা সেই গল্পটা পড়ার পরে সামান্য সময়ের জন্য হলেও থমকে গিয়ে ভাবতে বসে।

মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত হলেও পাপ এবং পূণ্য ওতপ্রোতভাবে মানুষের জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকে।‌ স্বার্থের চিরায়িত দ্বন্দ্বে খুব কম মানুষের পক্ষেই একেবারে নিঃস্বার্থ হয়ে উঠা সম্ভব হয়।‌ দোষ,গুণ, ভালো-মন্দ, পাপের প্রবৃত্তি এড়িয়ে যাওয়া বেশিরভাগ মানুষের পক্ষেই তা সম্ভব হয়ে উঠে না। লোভ, লালসা, অতৃপ্ত কামনা, কিংবা অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের কলুষিত আহ্বান এড়িয়ে যাওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। তার ফলে আমাদের চারপাশের মানুষদের দ্বৈত পরিচয়, ঘটনার প্রেক্ষাপটে এবং পারিপার্শ্বিকতা সাপেক্ষে হঠাৎ প্রকাশ পেলে আমরা চমকে উঠি, হতবিহ্বল হয়ে ভাবতে বসি, এই মানুষটার তো এইরকম হওয়ার কোনো কথা ছিল না।

এই গল্প সংকলনে সর্বমোট ১৪টা গল্প আছে। গল্পের আকারগুলো মাঝারি সাইজের অর্থাৎ পাঠক পাঠিকারা পড়তে বসলে দীর্ঘসূত্রিতার জন্য বিরক্তিবোধ করবে না, আবার গল্পগুলোর শেষ না করে উঠে যেতেও ইচ্ছা করবে না। গল্প লেখার সহজাত টোনেই লেখিকা সবাইকে নির্মম কোনো এক সত্যের সামনে নিয়ে এসে দাঁড়া করিয়ে ভাবতে বাধ্য করেন, পরিচিত সবকিছুকে নতুনভাবে দেখতে শেখান। এই গল্পগুলো সচেতন পাঠক পাঠিকাদের জন্য খুব চমৎকার একটা উদাহরণ। প্রায় প্রতিটা গল্প থেকেই পাঠক পাঠিকারা জীবন সর্ম্পকে নতুন কিছু শিখতে পারবেন, জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন।

এক রঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই গল্প সংকলনটা প্রকাশিত হয়েছিল ২০২১ বই মেলায়। গল্পের ঠাসা বুননে লেখা গল্পগুলো এডিটের কাজ করেছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্লগার ও গুরুজী ব্লগার আহমেদ জী এস। যে কারনে লেখায় কিংবা বানানে ভুল প্রায় নেই বললেই চলে। এই অসাধারণ কাজের জন্য উনাকেও অভিনন্দন।

এখানে ক্রমানুসারে গল্পগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে-

পার্ভাট (পৃষ্ঠা ১১ – ২০)
পাশ্চাত্য সমাজ ব্যবস্থাr নোংরা একটা দিক এই গল্পে খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। গ্রেড ইলেভেনের ছাত্রী ব্রুকলিনের বাবা ও মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় ওর সাতবছর বয়সে। এরপর থেকে ব্রুকলিন ওর বাবার সাথেই থাকে। মাঝে মাঝে মায়ের বাসায় বেড়াতে গেলে ওর মায়ের দ্বিতীয় স্বামী সুযোগ পেলেই ওর উপর শারীরিক নির্যাতন করতো যেটা ওর মা দেখার পরেও সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য এড়িয়ে যেত। বিনিময়ে কিছু ডলার ওর হাতেই ধরিয়ে দেওয়া হতো, যেটা দিয়ে ও নিজের আর্থিক প্রয়োজনগুলো মেটাতো। কারণ ওর বাবা ওকে বলে দিয়েছিল যে থাকা খাওয়ার খরচ বাদে আর কিছু ওকে দিতে পারবে না। এর মধ্যেই ব্রুকলিনের সাথে পরিচয় হয় ওর ক্লাসের বিল নামের এক ছেলের সাথে। সামান্য টাকা-পয়সার জন্য ব্রুকলিন কতটা নিচে নেমে গিয়েছিল তাই এই গল্পের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।

দ্বিচারিণী (পৃষ্ঠা ২১ – ৩১)
লোভী অহনার সাথে ওর বিয়ের আগে থেকেই সোহেলের গোপন সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সোহেলের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ থাকার কারণে অহনা স্বেচ্ছায় ফ্রান্সের প্রবাসী রাসেলকে বিয়ে করে বিদেশে চলে যায়। অহনাকে বিয়ে করার আগে রাসেলের দেশে শায়লা নামের একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল, কিন্তু মেয়েটা একটু বয়স্ক ও ততটা সুন্দরী না হওয়ার কারণে সুন্দরী অহনাকে দেখেই ওর পছন্দ হয়ে যায় এবং বিয়ে করে নিজের কাছে নিয়ে যায়। বিয়ের কিছুদিন পরেই রাসেলের উপর থেকে মন উঠে যায় অহনার এবং স্বামীর কাছে মিথ্যে কথা বলে টাকা নিয়ে সোহেলকে বিদেশে নিয়ে আসে। স্বামীর অবর্তমানে সেই ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বুদ্ধিমান সোহেল এই সুযোগ পুরোপুরি গ্রহণ করে অহনার কাছে থেকে দিনের পর দিন ইচ্ছেমতো টাকা পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়। অহনা ইচ্ছে করেই বৈবাহিক সম্পর্কে গন্ডগোল লাগায় যার ফলে রাসেল বাধ্য হয়ে ওর গায়ে হাত তুলতে। অহনাই এই সুযোগটা পুরোপুরি গ্রহণ করে রাসেলের সংসার থেকে বের হয়ে সোহেলের কাছে চলে যায়। ‌ দ্বিচারিণী অহনার শেষ পর্যন্ত পরিণতি কী হয় সেটা এই গল্পে ফুটে উঠেছে।

আশ্রয় (পৃষ্ঠা ৩২ – ৩৯)
বৃদ্ধা জেসিকার পাশের বাসায় থাকে প্রবাসী মেয়ে নীরা। জেসিকার সাথে সম্পর্ক ভালো থাকার কারণে বৃদ্ধার জীবনের অনেক কাহিনী নীরার জানা হয়ে গিয়েছিল। পাশ্চাত্যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সন্তানহীন একাকীত্বে ভরা জীবনের করুণ কাহিনী এই গল্পে ফুটে উঠেছে। চাকুরীরত অবস্থাতেই এরা ভবিষ্যত জীবনের পরিকল্পনা করে ফেলে। কারণ তারা জানে বৃদ্ধ অবস্থায় কোনো সন্তান-সন্ততি তাদের দেখাশোনা করবে না। হুট করেই জেসিকা আরেকজন বৃদ্ধ পুরুষকে প্রেমিক হিসেবে পেয়ে গেলে তার সাথে সেই বাসা ছেড়ে দিয়ে চলে গেল।‌ বাংলাদেশে বিধবা নিজের মায়ের সাথে জেসিকার তুলনা করে নীরার আত্ম উপলব্ধিগুলো এই গল্পে ফুটে উঠেছে।

একজন হাফ মানুষের গল্প (পৃষ্ঠা ৪০ – ৪৫)
জহির সাহেব একজন কাজ পাগল মানুষ। নিতান্ত সাদাসিধে সহজ-সরল এই মানুষটাকে চাকুরি জীবনে দিনের পর দিন সহকর্মী ও অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইচ্ছামতো শোষণ ও নিপীড়ন করে গিয়েছে। অফিসে কাজের চাপে নিজের পারিবারিক জীবনে কোনো সময় দিতে না পারা জহির সাহেব একসময় উপলব্ধি করে চাকরিগত জীবনে তাকে সবাই শুধু ঠকিয়ে গিয়েছে। প্রতিবার বিভিন্ন প্রজেক্টে তার তৈরি করা বিভিন্ন রিপোর্ট কর্মকর্তারা নিজের নামে চালিয়ে দিয়ে প্রশংসা, বোনাস ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জোর করে আদায় করে নিত কিন্তু ওকে কিছুই দিত না। শেষ পর্যন্ত একদিন জহির সাহেব উপলব্ধি করলেন অনেক হয়েছে, আর না। অফিসের হাফ মানুষটা একদিন হুট করেই পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠলেন।

কনফ্লিক্ট (পৃষ্ঠা ৪৬ – ৯৯)
রাহেলা ও আসিফ সুন্দর ভবিষ্যৎ জীবনে কল্পনা করে বিদেশে পাড়ি জামায়। নিজেদের একমাত্র সন্তান রিয়াকে নিয়ে দুইজনের একান্ত পরিকল্পনাগুলো প্রায় জোর করেই মেয়ের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিদেশি সমাজব্যবস্থা থেকে মেয়েকে আলাদা করে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় রাহেলা। আশপাশের প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই ঘরেই ছেলেমেয়েরা উচ্ছন্নে গেলেও রিয়া বাবা-মায়ের কথা যত সম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু রিয়ার এই ভালো থাকাটা আশেপাশের বাংলাদেশীদের মনে হিংসা জাগ্রত করে এবং রিয়ার অজ্ঞাতেই ওর বাবা-মার কাছে অনেক মিথ্যা রটনা তৈরি করে, যার ফলে ওর বাবা-মার ধারণা হয়, ও প্রায় উচ্ছন্নে চলে গিয়েছে। প্রায় বাধ্য হয়ে রাহেলা ও আসিফ মিথ্যা গল্প সাজিয়ে রিয়াকে নিয়ে দেশে ফিরে এসে প্রায় জোর করি বাংলাদেশী একটা ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। বুদ্ধিমতী রিয়া বাবা-মায়ের এই অভিপ্রায় বুঝতে পেরে কীভাবে নিজেকে এই বিপদ থেকে রক্ষা করে তাই এই গল্পের সুন্দর করে ফুটে উঠেছে।

জলে ভাসা পদ্ম (পৃষ্ঠা ৫৬ – ৬২)
নিজের ছেলেকে কেএফসিতে নিয়ে নাস্তা খাওয়াতে গিয়ে সিমির সাথে বহুদিন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু জাহিদের দেখা, সাথে জাহিদের নতুন স্ত্রী। অথচ এই জাহিদের সাথেই ওরা সব বন্ধুরা মিলে চাঁদা তুলে ক্লাসমেট রাইসাকে বিয়ে দিয়েছিল। রাইসার সাথে জাহিদের দাম্পত্য সম্পর্ক কেন ভেঙে গেল সেটাই এই গল্পে সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। স্বার্থপরতা যেখানে জায়গা করে নেয় সেখানে কোনো আবেগের সম্পর্কই চিরস্থায়ী হয় না।

একটা প্রোফাইল পিক এবং একজন সরিসৃপ (পৃষ্ঠা ৬৩ – ৬৮)
অল্প বয়স্কা অভিজ্ঞতাহীন মেয়েরা খুব সহজেই যে ইন্টারনেটের বিভিন্ন জটিল চক্রান্তে পড়ে নিজের জীবনকে ভয়ংকর বিপদে ফেলে দেয় তাই এই গল্পে ফুটে উঠেছে। ফেসবুক ঘাঁটাকাটি করতে গিয়ে ইহানা হুট করেই একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পায়, ছেলেটা পরিচয় দেয় সে আমেরিকায় থাকে। দিনের পর দিন ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে গড়ে উঠে সম্পর্ক, যা ধীরে ধীরে অন্যদিকে মোড় নেয়। পুলিশের ডিআইজি সাহেব হুট করে হারিয়ে যাওয়া ইহানার তদন্ত নেমে হতম্ভব হয়ে উপলব্ধি করেন কতটা ভয়ংকরভাবে তার মেয়েকে প্রতারণা করা হয়েছে। অল্পবয়স্কা প্রতিটা মেয়ের অবশ্যই এই গল্পটা পড়া ও জানা উচিৎ।

একজন জরিনা বা কোন এক আকবরের স্ত্রী (পৃষ্ঠা ৬৯ – ৭৩)
আর্থিক দুরবস্থা একটা মানুষকে কত শোচনীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে সেটাই এই গল্পে মুখ্য হয়ে উঠেছে। যে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আকবর চাকরি করতো, সেখানে জরিনাও চাকরি করতো। চাকুরির সুবাদে পরিচয় হওয়ার পরে জরিনাকে বিয়ে করার কারণে সেখান থেকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলো আকবর। ফ্যাক্টরিতে প্রমোশন পেয়ে উঁচু পোস্টে ওঠার পরিবর্তে চাকুরি হারিয়ে আকবর শোচনীয় অবস্থায় পড়ে গেল। অভাবে তাড়নায় শেষ পর্যন্ত আকবর পাপের কোন পথে এগিয়ে গেল সেটাই এই গল্পে ফুটে উঠেছে।

এক টুকরো ভালোবাসা (পৃষ্ঠা ৭৪ – ৭৮)
দীর্ঘ সাতবছর প্রবাস জীবনের পরে অবশেষে আশিক ও রোমেলা ঠিক করলো এবার তারা সামারে বাংলাদেশে বেড়াতে যাবে।‌ দুইজন ক্রমাগত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সামান্য যে কয়টা টাকা রোজগার করে, তাও সন্তান-সন্ততি এবং খেয়ে-পড়ে কোনোরকমে চলতে পারে তারা। তবুও বহুবছর ধরে দেশে যায় না ভেবে অবশেষে ঠিক করলো এইবছর বেশি পরিশ্রম করে অতিরিক্ত কিছু টাকা জোগাড় করে দেশে একবার হলেও ঘুরে আসবে তারা। কোনোরকমে আসা-যাওয়া টাকা সহ সামান্য কিছু বাড়তি টাকা জোগাড় করে টিকিট কেটে দেশে আসছে, এটা জানাতেই কাছে ওদের কাছের ও দূরের সমস্ত আত্মীয়-স্বজন বিশাল সব ফিরিস্তি পাঠালো কিনে নিয়ে আসার জন্য। নিরুপায় আশিক ও রোমেলার পক্ষে কোনোভাবেই সেই দামি দামি সবার জন্য উপহার কিনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলো না। যার ফলে এতবছর ধরে সবাইকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করলেও সবার চাহিদামতো উপহার না নিয়ে যাওয়ার কারণে দেশে ফিরে সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর আত্মীয়-স্বজন তাদের সাথে কী আচরণ করলো সেটাই এই গল্পের ফুটে উঠেছে।

যোদ্ধা (পৃষ্ঠা ৭৯ – ৮৩)
চোখে পড়ার মতো সুন্দরী হওয়ার কারণে খুব অল্প বয়সেই রাজিয়ার বাবা-মা ওকে প্রকৌশলী আসাদের সাথে বিয়ে দিতে বাধ্য হোন। ক্লাস টেনের পরে বিয়ের কারণে আর কোনোভাবেই পড়া সম্ভব হয়নি ওর। টাকা পয়সা সঞ্চয়ের ব্যাপারে আসাদের ভিন্ন ধারণা ছিল। হুট করে বিয়ের দশবছরে মাথায় আসাদ মারা গেলে রাজিয়ার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। একমাত্র সন্তানের জন্য কোনো টাকাই সঞ্চয় করে রেখে যেতে পারেনি আসাদ। স্বার্থপর ও সুযোগ সন্ধানী আসাদের ভাই-বোন ও বাবা-মা প্রায় এক কাপড়েই বাসা থেকে বের করে দেয় রাজিয়াকে সন্তান সহ। চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়লে শেষ পর্যন্ত রাজিয়াকে আসাদের অফিসেই নিম্নতর একটা পোস্টে চাকুরি দেওয়া হয়। অল্পবয়সী বিধবা একটা মেয়ে পুরুষ শাসিত একটা সমাজে চাকুরি করতে গেলে কী ধরনের বিষম প্রতিকূলতা সম্মুখীন হয় তাই এই গল্পে খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে।

মানুষ কিংবা অমানুষ (পৃষ্ঠা ৮৪ – ৯১)
বাবা মা‌ সারাজীবন কষ্ট করে টাকা পয়সা সঞ্চয় করে সন্তানদের বাইরে পাঠানো উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য। তোফাজ্জল সাহেব ও আমেনাও ঠিক এই কাজটাই করেছিলেন। অনেক কষ্টে সব টাকাপয়সা জমিয়ে দুই সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণের পরে তোফাজ্জল সাহেব আমেনাকে নিয়ে একাই ঢাকার ধানমন্ডির বাসায় থাকতেন। হঠাৎ করেই তোফাজ্জল সাহেব হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলে উনার পরিচিত সবাই পক্ষাক্ষাতগ্রস্ত স্ত্রী আমিনার ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ল। খুব আশা নিয়ে আমেনা নিজের দুই প্রবাসী ছেলেকে ফোন দিলে কী নির্মম ঘটনা ঘটে সেটাই এ গল্পের শেষে এসে পাঠকদের মনে নাড়া দিয়ে যাবে।

সিদ্ধান্ত (পৃষ্ঠা ৯২ – ৯৬)
সম্ভবত এই গল্পের শুরুর কয়েকটা অংশ লেখিকা নিজের প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছেন। পাশ্চাত্য সমাজ ব্যবস্থায় অল্পবয়সী মেয়েদের জীবনে ক্রমাগত ঠকে যাওয়া এবং একসময় তলানিতে পৌঁছে যাওয়ার কাহিনীগুলো এখানে খুব সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। নিজের জীবন ও দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে চরম হতাশ সুমনা বহুবছর ধরে নিজের সাথে তিলে তিলে যুদ্ধ করে অবশেষে এক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। এই গল্প সংকলনের অন্যতম সেরা গল্প এটা।

পিশাচ (পৃষ্ঠা ৯৭ – ১০৪)
অল্প বয়সে পিতা হারিয়ে ফেলা রাশিদাকে বড় করেছিল ওর মা তিলে তিলে যত্ন করে। কোনোরকমে ভাইয়ের সংসারে থেকে বহুকষ্ট করে নিজের মেয়েকে মানুষ করেছিল। লেখাপড়া শেষ করে রাশিদা একটা বাইং হাউজে চাকরি নেয়। সেখানে পরিচয় হয় রাফায়েত নামে একজন ইন্সুরেন্স এজেন্ট ব্রোকারের সাথে। ধনী পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও রাফায়েল স্বেচ্ছায় রাশিদাকে বিয়ে করে এবং খুব সুন্দর করে সংসার করা শুরু করে। দুইজনের নিঁখুত ভালোবাসার সংসার দেখে সবাই অবাক হয়ে মুগ্ধ হয়ে যেত। হুট করে একদিন নিজের বাসায় রাশিদা মারা যায়। কেন মারা যায় আর কেনই বা রাশিদার অশিক্ষিত মা এসে রাফাতকে খুঁজে পায় না সেটার উপর ভিত্তি করে এই গল্পটা গড়ে উঠেছে। দুর্দান্ত ক্রাইম থ্রিলারের গল্প।

পাত্রী চাই (পৃষ্ঠা ১০৫ – ১১২)
ভূমি অফিসের চরম দুর্নীতি পরায়ণ কেরানী রহমান সাহেবের পুত্র সুমন বড় হয়েছে প্রচণ্ড ভোগ বিলাসিতার মাঝে। দুর্নীতি মাধ্যমে অর্জিত অঢেল টাকা পয়সা যথেচ্ছা খরচ করে সুমন। টাকা পয়সার মাধ্যমে যেকোনো মেয়েকে পটিয়ে নিজের সুবিধা আদায় করে নিত ও। স্মার্ট সুন্দরী মেয়েদের সাথে দিনের পর দিন সম্পর্ক রাখলেও বিয়ের সময় গিয়ে আনস্মার্ট একজন ধার্মিক মেয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে বিয়ে করার জন্য সুমন। সব জায়গায় খোঁজখবর নিয়ে অবশেষে একটা মেয়েকে খুঁজে বের করলো ওর আত্মীয়-স্বজন। মেয়েটাকে ও যেরকম চেয়েছিল সেরকমই পেয়েছে। মেয়েটার ফেসবুক ঘাঁটাঘাটি করে খুব খুশি হয়ে গেল ও। আজকাল এত ধর্মভীরু মেয়ে পাওয়া সত্যিই কঠিন। বিয়ের পরে রাতের বেলা বাসরঘরে গিয়ে মেয়ের সাথে সামান্য কিছুক্ষণ কথা বলেই রীতিমত চমকে উঠল সুমন। এই গল্প সংকলনে অন্যতম সেরা গল্প এটা।

চরিত্র চিত্রায়ন:
বেশিরভাগ গল্পেই নারীকেন্দ্রিক চরিত্রগুলো মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। সামাজিক অসুস্থতা কিংবা বিরূপ পরিবেশে দাঁড়িয়ে জীবন সংগ্রামে‌ নারীদের মনস্তাত্ত্বিক টানাপড়েন ও সিদ্ধান্তহীনতা অনেক ক্ষেত্রেই এই গল্পগুলোতে বারবার আবর্তিত হয়েছে। লেখিকার নিজের জীবনে দেখা বাস্তব ঘটনাগুলো হয়তো এই গল্পের বিভিন্ন নারী চরিত্রে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। খুব কাছ থেকে দেখার কারণেই গল্পগুলোকে গল্পের চাইতে বাস্তব ঘটনা বলেই মনে হয়েছে। যদিও ছোটগল্পে অনেকেই অনেকগুলো চরিত্র নিয়ে আসেন তবে এক্ষেত্রে লেখিকা গল্পগুলোর সুনির্দিষ্ট থিমকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোর সংখ্যা একেবারেই কম রেখেছেন, যেটা পাঠককে সেই চরিত্রগুলোর মধ্যেই বেঁধে রাখতে পেরেছে। এবং গল্পগুলো পড়া শেষে পাঠকরা সহজে উপলব্ধি করবেন লেখিকা এই গল্পের মাধ্যমে কোন মেসেজটি পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন।

যা ভালো নাও লাগতে পারে:
বইয়ের ছাপার কাগজে কিছু সমস্যা আছে। বেশ কিছু পেজ আমি ছেড়া পেয়েছি যা আশা করিনি। এই প্রকাশনী থেকে আমি নিজেও আগে বই বের করেছিলাম, কিন্তু এই সমস্যায় আমি পড়িনি। বাঁধাইও ততটা মজবুত মনে হয়নি। এই দায়িত্বহীনতার অপরাধ সম্পূর্ণ প্রকাশকের। লেখিকা বিদেশে থাকা কারণে উনি এটা দেখতেও পারেননি।

যারা সস্তা প্রেমের কাহিনী ভালোবাসেন ও পড়তে চান তাদের জন্য অবশ্যই এই গল্প সংকোলন উপযুক্ত হবে না। এটাতে এই ধরণের কোনো কিছু নেই বরং আমাদের চারপাশের সমাজের (দেশের ও বাইরের) বাস্তব জীবনের নির্মম লুকায়িত সত্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

পরিশেষ:
একটা প্রকাশিত বইকে তুলনামূলকভাবে রেটিং জন্য নিন্মোক্ত পদ্ধতি আমি সবক্ষেত্রে ব্যবহার করি-
* থীম / প্লট - ১
* কথোপকথন - ১
* চরিত্র বিন্যাস - ১
* ট্যুইষ্ট / পাঠকের আকর্ষন – ১
* লেখার মুন্সিয়ানা – ১

আমার দৃষ্টিতে 'জীবন ও জীবিকার গল্প' এর জন্য মার্কিং হবে-
* থীম / প্লট – ১
* কথোপকথন – ০.৭৫
* চরিত্র বিন্যাস – ০.৭৫
* ট্যুইষ্ট / পাঠকের আকর্ষন – ১
* লেখার মুন্সিয়ানা – ১
[*চরিত্র বিন্যাসে কম দেয়ার কারণ: বেশিরভাগ সময় অল্পকিছু চরিত্র নিয়ে লেখার আবর্তন]

কিছু কিছু গল্প একবার পড়লে মন ভরে না। বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন নির্দ্বিধায় তারা এই বইটা সংগ্রহ করতে পারেন। পড়ার পরে নিরাশ হওয়ার প্রশ্নই উঠবে না। এই ধরনের বহুমাত্রিক গল্প সংকোলন খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়।

প্রতিটা গল্পে পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার আকর্ষনটা আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। ঝট করে শুরু হয়ে অসমাপ্ত থাকার আশংকা নিয়ে গল্প ধীরে ধীরে সেটা এগিয়ে যায় নিজস্ব গতিধারায়। পাঠকের মনে বার বার প্রশ্ন উঠে শেষ পর্যন্ত কী ঘটেছিল? কিন্তু গল্প শেষ করার পরে অন্যরকম এক অনুভূতি এসে পাঠকের হৃদয়কে গ্রাস করে নেয়। এভাবেই গল্পরা শেষ হয়ে যায় কিন্তু তার রেশ রয়ে যায় পাঠকের মনে।

উৎসর্গ: ব্লগার সোহানী। বহুমুখী প্রতিভার এই লেখিকার আরেকটা বই পড়ার অপেক্ষায়……

যারা এর আগে আমার লেখা পাঠ প্রতিক্রিয়াগুলো পড়তে চান, তাদের জন্য-
পাঠ প্রতিক্রিয়া ১ - সাদাত হোসাইনের অর্ধবৃত্ত
পাঠ প্রতিক্রিয়া ২ - শায়মা হক এর “বসন্তদিন (বরুণা ও প্রতিফলন)”
পাঠ প্রতিক্রিয়া ৩ - যে সূর্যটা রানুর জন্য উঠেছিল
পাঠ প্রতিক্রিয়া ৪ – তামান্না জেনিফার এর ‘আঁধারের কাহন'
পাঠ প্রতিক্রিয়া ৫ - মেঘ ছুঁয়েছে মনের আকাশ

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জানুয়ারী ২০২৩

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
১৫টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×